• 所有新生命宣教会 The New Life Mission 网站上的电子书和有声书均可免费下载
  • 探索以多种语言提供的全球性讲道
  • 查看我们已翻译成27种语言的网站
  • 第1卷新修订版已全新推出
Search

关于基督教信仰的常见问题解答

话题3:启示录

3-11. আপনি বলছেন সাধুগণের রূপান্তরের উদ্দেশ্যে প্রভু যীশু আবার আসছেন এবং তিনি হরমাগিদোন-এর যুদ্ধের পুরস্কার দিতে নেমে আসবেন৷ এর দ্বারা কি আপনি এটাই বলতে চাইছেন যে, প্রভু দুবার এই পৃথিবীতে নেমে আসবেন? এই দুবারের মধ্যে পার্থক্য কি?

সাধুগণের রূপান্তরের উদ্দেশ্যে স্বর্গ থেকে যীশুর নেমে আসা এবং হরমাগিদোন-এর যুদ্ধের মাধ্যমে দিয়াবলের বিচার করতে আসা- এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে৷ 
মহাক্লেশের প্রথম সাড়ে তিন বছরের শেষে এবং খ্রীষ্টারীর উত্থানের অল্পকালের মধ্যেই সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরপরই প্রভু স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন৷ এই সময়ে, যে সব সাধুগণ কবরে নিদ্রাগত রয়েছেন এবং যে সমস্ত জীবিত সাধুগণ বিশ্বাস রক্ষার জন্য মহাক্লেশের মধ্যেও পশুর ছাব গ্রহণ করেন নি, এরা সকলে পুনরুত্থিত হয়ে আকাশে নীত হবেন এবং প্রভুর সাথে মধ্যাকাশে সাক্ষাত করবেন৷ এই মুহূর্ত থেকে সাধুগণ প্রভুর সাথেই থাকবে এই সময় প্রভু পৃথিবীতে নামবেন না৷ কেন? কারণ, সপ্তবাটির মহামারী বা শয়তান বা খ্রীষ্টারীর বিচার করবে, তা তখনও পৃথিবীতে ঢেলে দেওয়া হবে না৷
প্রেরিত পৌল তাই ১ থিষলনীকীয় ৪:১৭ পদে বলেছেন, “পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত সকসঙ্গে তাহাদের সহিত মেষযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।” যে সব সাধুগণ নিজেদের বিশ্বাস রক্ষার জন্য খ্রীষ্টারীর সাথে যুদ্ধ করে সাক্ষ্যমর হয়েছেন, তারা প্রথম পুনরুত্থানের অংশী হবেন, আকাশে প্রভুর সাক্ষাত পাবেন, পৃথিবীতে নয় এবং যীশু খ্রীষ্টের সাথে অর্থাৎ বরের সাথে মেষশাবকের বিবাহবাটিতে প্রবেশ করবেন৷
এর পরে ঈশ্বর তাঁর ক্রোধপূর্ণ সপ্তবাটির মহামারী পৃথিবীতে ঢেলে দেওয়ার জন্যে দূতগণকে আদেশ দেবেন, সৃষ্টির আদি থেকে তিনি খ্রীষ্টারী এবং তার অনুসারীদের প্রতি এবং পৃথিবীস্থ সমস্ত পাপীদের প্রতি দীর্ঘসহিষ্ণু রয়েছেন৷ তাই পৃথিবী এত ভয়ানক পরিমানে মারী দ্বারা আক্রান্ত হবে যে, তা ইতিপূর্বে কেউ কখনও দেখে নি৷ যে সব সাধুগণ প্রভুর সাথে মধ্যাকাশে মিলিত হবেন, পৃথিবীতে সপ্তবাটির মারী ঢেলে দেওয়ার পরে তাঁরা প্রভুর প্রশংসা করবেন৷
নিজেদের পুনরুত্থান এবং রূপান্তরে প্রভুর সাথে অংশী হওয়ার পরে তারা অগ্নি মিশ্রিত এক কাঁচের সমুদ্রে থেকে পৃথিবীর নিমিত্তে ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের জন্য ঈশ্বরের প্রশংসা করবেন৷ এই জন্য যে সব সাধুগণ সাক্ষ্যমর হয়েছেন এবং প্রভুর পরাক্রমে পুনরুত্থান এবং  রূপান্তরের ভাগী হয়েছেন, তারা অবিরত প্রভুর প্রশংসা করবেন; কারণ তিনি তাদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছেন এবং তাঁর সর্বময় ও সর্বব্যাপী ক্ষমতায় তিনি খ্রীষ্টারীর বিচার করেছেন৷
দূতেরা যখন বাটিগুলো পৃথিবীতে ঢেলে দেবেন, তখন পৃথিবীস্থ সকলে মহা যাতনাগ্রস্থ হবে, ব্যথাজনক দুষ্ট ক্ষতের মহামারী থেকে শুরু করে, সমুদ্র রক্তে পরিনত হওয়া মারী, জল রক্তে পরিণত হওয়ার মারী, সূর্যের উত্তাপে তাপিত হওয়ার মারী, অন্ধকার ও বেদনার মারী পর্যন্ত৷ যখন ষষ্ঠ দূত ইউফ্রেটিস মহানদীতে তার বাটি ঢাললেন, নদীর জল শুকিয়ে গেল, তাতে পূর্ব দিক থেকে আগমনকারী রাজাদের পথ প্রস্তুত হল৷ এই মারীতে মহাদুর্ভিক্ষের আবির্ভাব হবে যাতে মানুষের ভয়ানক কষ্ট হবে৷ এবং দিয়াবল ইতস্ততঃ ছুটোছুটি করবে এবং খ্রীষ্টারী ও ভ্রান্ত ভাববাদীর মাধ্যমে মানুষের হৃদয় দখল করবে৷
তারপর দিয়াবলের আত্মা জগতের রাজাদের অন্তরে প্রবেশ করে তাদেরকে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে হরমাগিদোন-এ যুদ্ধ করার জন্য একত্র করবে৷ এখানেই, শয়তান এবং ঈশ্বরের মধ্যে শেষ যুদ্ধটি হবে৷ কিন্তু যেহেতু যীশুই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তিনি তাঁর বাহিনীসহ একটি সাদা ঘোড়ায় উপবিষ্ট হয়ে নেমে আসবেন, শয়তানকে পরাজিত করবেন এবং পশুকে অগ্নি ও গন্ধকের প্রজ্বলিত হ্রদে নিক্ষেপ করবেন (প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-২১)৷ কারণ, তখন দ্বিতীয় আগমনকারী প্রভু হিসাবে যীশু খ্রীষ্টের সর্বময় ক্ষমতা থাকবে, এবং তিনি জগতের বিচার করতে এবং পশুকে ধ্বংস করতে পৃথিবীতে আসবেন৷
তাই আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, সাধুগণের রূপান্তরের সময়ে যীশু স্বর্গ থেকে নেমে এলেও পৃথিবীতে আসবেন না; বরং সাধুগণকে তুলে নেওয়ার জন্য এবং তাদেরকে স্বর্গরাজ্যে বিবাহভোজে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি মধ্যাকাশে আসবেন৷ প্রভু যখন আবার এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তিনি আসবেন, শয়তানের উপরে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধ শয়তানের বাহিনীর উপরে হরমাগিদোন-এর যুদ্ধে জয় লাভ করার উদ্দেশ্যে এবং শয়তানকে অগ্নি ও গন্ধকের হ্রদে নিক্ষেপ করার জন্য এবং তার অনুসারীদেরকে শেষ করার জন্য৷ প্রভুর মধ্যাকাশে আগমন এবং পৃথিবীতে দ্বিতীয় আগমন এই দুই আগমন সম্পর্কে আমাদের যথাযত জ্ঞান ও বিশ্বাস থাকতে হবে৷
তারপরেও অনেকে চিন্তা করে যে, যখন রূপান্তর ঘটবে তখন প্রভু বিরতিহীনভাবে পৃথিবীতে নেমে আসবেন৷ এটা প্রমানিতভাবেই ভুল৷ যখন রূপান্তর ঘটবে তখন প্রভু পৃথিবীতে আসবেন না, মধ্যাকাশে আসবেন৷ অন্যভাবে যদি বলা হয়, তিনি সাধুগণকে আকাশে তুলে নিয়ে যাবেন৷
তাই, আপনাকে এই চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে হবে যে, রূপান্তরের সময় প্রভু পৃথিবীতে আসবেন, বরং তার পরিবর্তে লিখিত বাক্যের ভিত্তিতে আপনাকে এটা অনুধাবন করতে হবে যে, যখন সপ্তম দূত তুরী বাজাবে, তখন সাধুগণের রূপান্তর ঘটবে৷
The New Life Mission

参加我们的调查

您是如何了解到我们的?