Search

আবাসতাম্বুর অধ্যয়ন

আবাস তাম্বুর গঠন

সম্পর্কিত শিক্ষা

· সমাগম তাম্বু নির্মাণের উপাদান, যা দ্বারা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপিত হয় (যাত্রা পুস্তক ২৫:১-৯)

সমাগম তাম্বু নির্মাণের উপাদান, যা দ্বারা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপিত হয়
(যাত্রা পুস্তক ২৫:১-৯)
“পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি ইস্রায়েল সন্তানদিগকে আমার নিমিত্ত উপহার সংগ্রহ করিতে বল; হৃদয়ের ইচ্ছায় যে নিবেদন করে, তাহা হইতে তোমরা আমার সেই উপহার গ্রহণ করিও। এই সকল উপহার তাহাদের হইতে গ্রহণ করিবে; স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মসীনা সূত্র ও ছাগ লোম ও রক্তকৃত মেষ চর্ম, তহশ চর্ম ও শিটীম কাষ্ঠ, দীপার্থ তৈল এবং অভিষেকাৰ্থ তৈলের ও সুগন্ধি ধুপের নিমিত্তে গন্ধ দ্রব্য; এবং এফোদের ও বুক পাটার জন্য গোমেদক মণি প্রভৃতি খচনীয় প্রস্তর। তাহাতে আমি তাহাদের মধ্যে বাস করিব। আবাসের ও তাহার সকল দ্রব্যের যে আর্দশ আমি তোমাকে দেখাই, তদনুসারে তোমরা সকলই করিবে।”
 
 
আবাসতাম্বু
অসহায় জীবন
 
A Psalm of life, নামে একটি কবিতায় Henry Wadsworth Longfellow লিখেছেন, “দুঃখের সাথে আমাকে বলনা জীবনটা স্বপ্নসম অসার।”
যাহোক, আপনি যদি এই বিষয় বাস্তবিক এই বিষয় চিন্তা করেন, দেখবেন সত্যই মানুষের জীবন খুবই অসহায়। মানুষের জীবন যদিও এই পান্থশালারূপ পৃথিবীতে একাকী অসারতায় কাটানোর পরে ধূলিতে প্রতিগমন করে, তাই বলে এই পৃথিবী তার চূড়ান্ত গন্তব্য নয়। পাপের কারণে প্রতিটি মানুষের চূড়ান্ত পরিণতি অনন্তকালীয় ভয়ঙ্কর নরক।
তবুও, মানুষের মৃত্যুর পরের জগত স্বাভাবিক ভাবেই ভিন্ন। এই পৃথিবীতে মানুষ তাই উদ্দেশবিহীন ভাবে জীবন-যাপন করে, নরকের দিকে ধাবিত হয়, পরিত্রাণকর্তা ঈশ্বরের দেখা পায় না। এটাই জীবন। কিন্তু তাই যদি হত, তবে আমাদের জীবনটা কত অসহায় এবং দূর্ভাগ্যজনকই না হত?
এই ধরণের জীবনের জন্য মসিহ অপেক্ষা করবেন। মনুষ্য যদি এই উন্মুক্ত পৃথিবীতে অবিবেচকের ন্যায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে থাকে, ও অন্ধকারে হারিয়ে যায়, তাহলে বাস্তবিক তারা জঘন্য ও দুঃখদায়ক পরিস্থিতিতে ধাবিত হবে। আমরা কেবল আমাদের চর্তূদিকে দৃষ্টি করেই এই সমস্ত বিষয় উপলব্ধি করতে পারি।
এক দিন আমি যখন গাড়ীতে ছিলাম, আমি দেখলাম, ৬০ বছর বয়স্ক একজন বৃদ্ধ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আমার পিছন দিয়ে কুঁজো হয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তার মাথা ছিল নিচের দিকে ঝুঁকে পড়া এবং চারিদিকে নির্জীব ভাবে দেখছিলেন। যখন আমি ভেঁপু বাজাইলাম, সে ফিরে তাকাল, এবং আমি দেখলাম যে, মুখমন্ডল ছিল দুঃখকষ্টে জর্জরিত। এই বৃদ্ধ লোকটির অভিব্যক্তি দেখে আমি কিছু সময়ের জন্য গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়লাম। এই বৃদ্ধ লোকটি হয়তো ভাবছিলেন যে তার জীবন কত অন্তঃসার শূণ্য। এই একাকীত্বের নিঃসঙ্গতা তাকে আরও নিঃস্ব করে দিচ্ছিল, জীবনের অসারতা সম্পর্কে হয়তো তাকে আরও বেশি ভাবাচ্ছিল। শুধু এই লোকটিই নয়, কিন্তু প্রতিটি মানুষের জীবনই অসহায়।
মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের শরীরে বয়সের ছাপ দেখতে পায়, ততক্ষণ উপলব্ধি করতে পারে না যে, তারা বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জীবনে এত বেশি সমস্যার সম্মুখিন হয় যে, তাদের বিশ্রাম নেওয়ার বা ফিরে তাকাবার সুযোগ থাকে না। তারা কোথায় যাচ্ছে তা দেখার সুযোগ থাকে না। যদিও সব পিতামাতাই তাদের সন্তানদের জন্য, পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, কিন্তু যখন তারা অন্তিম সময়ের সম্মুখিন হয়, তাদের জীবনে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, সেই সময়ের দুঃখদূর্দশাকে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।
আবেগে আপ্লুত হয়ে খুব তাড়াতাড়ি তারা চোখের জলে ভাসে। এভাবে যখন অনেক সময় বা অনেক দিন চলে যায়, অবশেষে কোন এক সময় তারা পিছন ফিরে তাকায়, তখন তারা বুঝতে পারে যে, কতটা বিপদের ঝুঁকি নিয়ে তাদের অতীতটা কেটেছে। শরতে যেমন সব পাতা ঝরে যায় এবং শুধু শীতের অপেক্ষা থাকে, তেমনি ভাবে তারা মনে করে যে তাদের জীবনও এভাবে একদিন হারিয়ে যাবে। তখন তাদের মনে হয় যে, বিষয়টা বুঝতে তাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে, তারা দুঃখিত হয়। এই ধরণের লোকেরা যখন প্রভুকে না জেনে বিলীন হওয়ার পথে, তখন তাদের আর কি প্রত্যাশা থাকতে পারে? এ রকম প্রভুকে না জেনে যারা নিঃশেষ হয়ে যায়, তারা চিরকাল অসহায়।
আমি যখন প্রভুর সাক্ষাতে ছিলাম না, তখন আমি নিজেও ঘৃণ্য জীবনে ছিলাম। তখন আমি নিজেও ঘৃণ্য জীবনে ছিলাম। আপনি? যদি এখনো প্রভুর সাক্ষাতে না এসে থাকেন, তাহলে আপনি কোন দিকে অগ্রসর হবেন? এই পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যারা প্রভুর সাক্ষাত না পেয়ে অসুখী জীবন- যাপন করে।
আমি যখন এই সমস্ত লোকের বিষয় চিন্তা করি যে, তারা এখনো অসুখী রয়েছে, তখন আমার হৃদয় ভেঙ্গে যায়। শুকরেরা খেয়ে-দেয়ে বাঁচে এবং এক সময় শেষ হয়ে যায়, কিন্তু আমাদের জীবন তাদের থেকে ভিন্ন। আমাদেরকে অবশ্যই এই জীবনের পরের অনন্তকালীন সম্পর্কে ভাবতে হবে। অনেকেই তাদের শেষ দিনে বিলাপ করবে। যদিও তারা জানে যে, অনন্ত স্বর্গরাজ্য রয়েছে, তথাপি তারা বুঝতে পারবে যে, স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করার যোগ্যতা তাদের নেই, কেননা তারা পাপে পরিপূর্ণ। এরকম অনেক জীবন রয়েছে, যারা সব সময় দুঃখ ও বিলাপ করে।
আমরা যখন এই সমস্ত জীবনের বিষয় চিন্তা করি যে, তারা ঈশ্বরের প্রস্তুত করা উত্তম জায়গায় যেতে অক্ষম এবং তাদের জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন না করতেই তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, তখন আমরা কেবল এই সমস্ত আত্মার জন্য দুঃখ ও বিলাপ করতে পারি। এই কারণেই জীবনকে ঝঞ্চা বিক্ষুব্ধ সমুদ্র- যাত্রার সাতে তুলনা করা হয়, জীবন সম্পর্কে মানুষ এই রকম বলে, তিক্ততাপূর্ণ এই জগতে বাঁচার জন্য তারা লড়াই করে। কারণ জন্ম মুহূর্ত থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্য তাদেরকে কষ্ট ভোগ করতে হয়, ছটফট করতে হয় এবং চিৎকার করতে হয়।
যখন আমরা বুঝতে পারি যে, জীবনটা এ রকমই, আমরা নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারি যে, মানুষের কাছে সমাগম তাম্বুর সত্য তুলে ধরা উচিত এবং তাদেরকে প্রভুর কাছে নিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ। কেন? কারণ ঈশ্বর বলির উপহারের মধ্যে দিয়ে তাঁর নিজস্ব স্বর্গীয় আবাসে মানুষের সাথে মিলিত হতে চান বলেই তিনি পাপী মানুষকে পাপ থেকে রক্ষা করার পরিত্রাণ দিয়েছেন। সমাগম তাম্বু হচ্ছে মরুভূমিতে স্থাপিত ঈশ্বরের আবাস। ঈশ্বরীয় এই আবাসে, সমাগম তাম্বুতে, বলির উপহারের দ্বারা সাধিত পাপের ক্ষমার অনুগ্রহের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর পাপ মুক্ত পাপীর সাথে মিলিত হতেন। ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, “আমি তোমাদের আমার আবাস গৃহ তৈরী করতে বলব এবং এই তাম্বুতে, অনুগ্রহ-সিংহাসনে আমি তোমাদের সাথে মিলিত হব।” একমাত্র সমাগম তাম্বুতে কেউ ঈশ্বরের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়।
জগতের কোন কিছুর সাথে সমাগম তাম্বুর এই বিশ্বাস তুলনা করা যাবে না। এবং এটা এত মূল্যবান যে, কোন কিছুর বিনিময়ে এটা পাওয়া যায় না। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের মধ্যে যাদের খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস রয়েছে, যারা যীশু খ্রীষ্টকে ত্রাণকর্তা রূপে বিশ্বাস করে তাদের যথাযথ জ্ঞান রয়েছে, এবং এই সমাগম তাম্বুতে সঠিক বিশ্বাস হল আরও আশীর্বাদযুক্ত পথে অগ্রসর হওয়া।
 
 
আমরা আমাদের আশীর্বাদ যুক্ত জীবনে বেঁচে থাকি
 
আমার হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ এটা চিন্তা করে যে, হয়তো অন্য কেউ আছে যারা আমাদের মতই এইরূপ আশীর্বাদ যুক্ত জীবন-যাপন করছে। যদিও আমাদের জীবন এই রূপ দুঃখ-বেদনায় পূর্ণ, তথাপি, অনেকে রয়েছে যারা সম্পূর্ণ রূপে অদৃষ্টের উপর নির্ভর করে জীবন-যাপন করছে। ঈশ্বর তাদেরকে বুঝাতে চান যে, তাঁর সম্মুখে তাদের জীবন কতটা একগুয়েমীপূর্ণ, এবং তিনি তাদের হৃদয়কে অনুতপ্ত করতে চান। অপর দিকে ঈশ্বর তাদেরকে বিনামূল্যে যে সুসমাচার দিয়েছেন, সেই সুসমাচার না শুনে তারা এখনো অবাধ্য জীবন-যাপন করছে, এমন কি তারা তাদের হৃদয়ের ক্ষুদ্রতম জায়গা টুকুও মুক্ত করছে না।
ফরৌনের প্রতি ঈশ্বর যে দশটি মারী আনয়ন করেছিলেন সে বিষয় যাত্রাপুস্তক আমাদের বলে। দশটি মারী সবগুলোই মিশরে আনয়ন করা হয়েছে। ঈশ্বর মিশর থেকে তাঁর লোকদের দাসত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ফরৌনকে আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি ফরৌনকে বলেছিলেন, যদি সে তাঁর আদেশ পালন না করে, তাহলে তিনি তার প্রতি দশটি মারী আনয়ন করবেন। কিন্তু ঈশ্বর ফরৌনকে যা বললেন সেই কথায় কর্ণপাত করল না, বরং একগুয়েমী তাঁর আদেশের বিরোধীতা করল, আর ঈশ্বর যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন শেষ পর্যন্ত ফরৌন সেই দশটি মারীর সবগুলোই ভোগ করল। ফরৌনের অবাধ্যতা বা জেদীমনোভাব ছিল পশ্চাদপদ। ঈশ্বরের সমস্ত শাস্তি ভোগ করার পর সে ইস্রায়েল জাতিকে মুক্ত করেছিলে এর কারণ সে শয়তানের দ্বারা চালিত ছিল। এটা আমাদের নিজেদের অবাধ্যতাকে বুঝায় যা আমাদের প্রত্যেকে মধ্যে পাওয়া যায়।
যাহোক, এই ধরণের লোকেরা সমাগম তাম্বুতে স্থাপিত ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত পাপের ক্ষমা বহন করতে পারে, এবং বিশ্বাসে তাঁর সাথে বসবাস করতে পারে। কিন্তু এরা এত বেশি একগুয়ে যে, গাধার ন্যায় একগুয়েমীতার সাথে অবিরত পাপের ক্ষমা প্রত্যাখান করেছে এবং ঈশ্বরের সত্যে বিশ্বাস করে না। এ কারণেই অনেকে রয়েছে যারা ঈশ্বরীয় সত্য বুঝতে ব্যর্থ হয়, পাপীদের ন্যায় জীবন-যাপন করে এবং অবশ্যম্ভাবী ভাবে তাদের ধংসের সম্মুখিন হয়। এই দুঃখ আমাকে দুঃখিত করে। ঈশ্বরের সাক্ষাতে এভাবে অনেক লোকই অবাধ্য।
কেননা, এই ধরণের লোকেরা যখন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়, তখন অল্প সময়ের জন্য নতি স্বীকার করে, কিন্তু পরে আবার পিছনে ফিরে যায়, যেভাবে তারা পূর্বে ঈশ্বরের ইচ্ছাকে প্রত্যাখান করে আসছে এবং তাদের বিরূপ পথে চালিত হয়েছে, তারা দ্বিতীয় মারী ভোগ করবে। এই দ্বিতীয় মারীতে তারা কিছুক্ষণের জন্য স্বীকার করবে। কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তারা আবার ঈশ্বরকে অমান্য করতে শুরু করবে, এবং তাঁকে চ্যারেঞ্জ করবে। আর এই রূপে তারা তাদের তৃতীয় মারীর শিকার হবে, এভাবে চতুৰ্থ,পঞ্চম,সপ্তম, অষ্টম এবং নবম মারীর সম্মুখীন হবে, যতক্ষণ পর্ষন্ত না তারা শেষ মারীর পূর্বে আত্মসমর্পণ করছে তারা ধংস হয়ে যাবে।
যখন সর্ব শেষ মারী আসবে তখন অনেকে মসিহ তাদের যে যা করেছেন তাতে বিশ্বাস না করার জন্য নরক যন্ত্রনা ভোগ করবে। এই প্রকার লোকের জীবন কি নির্বোধের মত? এই কারণে প্রত্যেকের জীবন এত দুঃখময়।
যদিও ঈশ্বরের সাক্ষাতে মানুষের জীবন কেবল দুঃখময়, তথাপি, আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, সমাগত তাম্বুতে ঈশ্বরের সাথে মিলিত হওয়া আপনার জন্য আশীর্বাদের এবং এটা উপলব্ধি করার দ্বারা আপনি সমাগম তাম্বুর বাক্যে অবস্থিতি করবেন। 
 
 
ঈশ্বর আমাদের কাছে যে উপহার আশা করেন
 
ঈশ্বর মোশিকে সীনয় পর্বতে আসতে আজ্ঞা দিলেন এবং তাঁকে পূর্ণ ব্যবস্থা দিলেন। সমস্তই দশটি আজ্ঞার মাধ্যমে দিলেন: “আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক; তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক লইও না; তুমি বিশ্রাম দিন স্মরণ করিয়া পবিত্র করিও: তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও; নরহত্যা করিও না; ব্যভিচার করিও না; চুরি করিও না; তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না; এবং তোমার প্রতিবেশীর গৃহে লোব করিও না।” সেই সাথে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে অন্যান্য ব্যবস্থার কথাও বলেছিলেন যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে পালন করতে হত, সেগুলো ছিল ৬১৩ টি আজ্ঞা ও ব্যবস্থা।
 ৬১৩ টি আজ্ঞা দ্বারা বিভিন্ন বিষয় কর্তব্য নির্দেশ করা হয়েছে, যেমন গবাদিপশু হারিয়ে গেলে কি করতে হবে, অন্যে গবাদি গর্তে পড়ে গেলে কি করতে হবে, তারা যেন ব্যভিচার না করে; যেন সপ্তম বছরে দাসদের মুক্ত করে দেয়, তাদের দাসীরা এবং তাদের যদি সন্তান হয়, তবে সপ্তম বছরে সেই দাসকে তার নিজের মত বাঁচার জন্য যেন মুক্ত করা হয়, এবং এরকম আরও অনেক বিষয়ে মোশিকে ঈশ্বর এই সব নৈতিক ব্যবস্থা দিয়েছিলেন, যেন ইস্রায়েলীয়রা প্রতিদিনের জীবনে সেগুলো পালন করতে পারে।
পরে ঈশ্বর মোশিকে পর্বতে নীচে নেমে যেতে বললেন এবং প্রাচীনবর্গকে একত্রিত করে তাঁর আজ্ঞা জ্ঞাত হতে বললেন। ঈশ্বরের বাক্য শুনে ইস্রায়েল জাতি তা পালন করতে সম্মত হল, আর তাদের রক্তের দ্বারা প্রতিজ্ঞা করল যে তারা সমস্ত আজ্ঞাই পালন করবে (যাত্রা পুস্তক ২৪:১-৪)।
তখন ঈশ্বর পুনরায় মোশিকে পর্বতে ডাকলেন এবং সমাগম তাম্বু স্থাপন করতে বললেন।
ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদিগকে আমার নিমিত্তে উপহার সংগ্রহ করতে বল; হৃদয়ের ইচ্ছায় যে নিবেদন করে, তাহা হইতে তোমরা আমার সেই উপহার গ্রহণ করিও”(যাত্রা পুস্তক ২৫:২)। তারপর তিনি উপহার গুলির তালিকা করতে বললেন, “আর এই সকল উপহার তাহাদের হইতে গ্রহণ করিবে; স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল; এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মসীনা সূতা ও ছাগলোম; ও রক্তীকৃত মেষচৰ্ম্ম, তহশ চৰ্ম্ম ও শিটিম কাষ্ঠ; দিপার্থ তৈল এবং অভিষেকাৰ্থ তৈলের ও সুগন্ধি ধূপের নিমিত্তে গন্ধ দ্রব্য; এবং এফোদের ও বুকপাটার জন্য গোমেদক মনি প্রভৃতি খচনীয় প্রস্তর”(যাত্রাপুস্তক ২৫:৩-৭)।
তাদের দ্বারা এই উপহার আনার পিছনে ঈশ্বরের একটা বিরাট উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্দেশ্য হল যেন তারা এই পৃথিবীতে আলোক উজ্জল দীপ্তমান ঈশ্বরের গৃহ তৈরী করতে পারে, যেখানে কোন পাপ থাকবে না, যেখানে ঈশ্বর বাস করতে পারেন, যেন তিনি সেখানে ইস্রায়েল জাতির সঙ্গে মিলিত হতে পারেন, এবং তাদের পাপ মুছে ফেলতে পারেন। যাহোক, এই অর্থ এই নয় যে, ঈশ্বর তাদেরকে স্মরণীয় অট্রালিকা তৈরী করতে টাকা পয়সা আনতে বলেছেন, যেভাবে আজকের মন্ডলীগুলো তৈরী হচ্ছে। বর্তমান খ্রীষ্টিয়ান সমাজের ভ্রান্ত ভাববাদীগন যখন তাদের অভিলাষ পূর্ণ করতে তাদের গীর্জাঘর তৈরী করতে চেষ্টা করে, তখন তারা এই অনুচ্ছেদের ভুল প্রয়োগ করে।
 অপর দিকে ঈশ্বর ইস্রায়েলদেরকে তাঁর কাছে এই সমস্ত উপহার আনতে বলেছেন, যেন, তিনি এগুলোকে তাঁর গৃহ তৈরী করতে ব্যবহার করতে পারেন এবং তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে আশীর্বাদ করতে পারেন। বস্তুত: ঈশ্বর যে সমস্ত কারণে এ সমস্ত উপহার গ্রহণ করেছেন, তাহল আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করতে এবং আমাদের সমস্ত বিচার থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে তিনি গ্রহণ করেছেন। আমরা যারা দুঃখবেদনাময় জীবন-যাপন করি, আমাদের পাপ ধৌত করতে, আমাদের পাপ মুছে ফেলতে, এবং আমাদেরকে তাঁর সন্তান করতে আমাদের সঙ্গে মিলিত হতে ঈশ্বর নিজেই এটা করেছেন।
 
 
ঈশ্বর তাঁর কাছে যে উপহার গুলো আনতে বলেছিলেন, সেই উপহার গুলোর আত্মিক নিগুঢ়তত্ত্ব
 
আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে, আসুন আমরা সেই সব উপহারের আত্মিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করি, যে উপহার গুলো ঈশ্বর তাঁর কাছে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তারপরে এই আলোকে আমরা আমাদের বিশ্বাস পরীক্ষ করব।
 
 
স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তল
 
প্রথমেই আমাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন কোথায় কোথায় স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তল ব্যবহৃত হয়। সমাগম তাম্বুতে পবিত্র স্থানে, মহাপবিত্র স্থানে এবং এর মধ্যে যে সমস্ত বস্তু পাওয়া যেত; সেই সাথে দীপবৃক্ষ, দর্শনরুটির মেজ, সুগন্ধী ধূপের বেদি, অনুগ্রহ-সিংহাসন, এবং সাক্ষ্য-সিন্দুকে স্বর্ণ ব্যবহার হত। স্বর্ণ ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বস্ততার নিদর্শন। আর রৌপ্য পরিত্রাণের অনুগ্রহের নির্দশন। এগুলো আমাদের বলে যে, মসীহ-দত্ত উপহারে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। আরো বিশ্বাস রয়েছে যে, প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং আমাদের জন্য বিচারিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সমাগম তাম্বুর স্তম্ভের চুঙ্গি, প্রক্ষালন পাত্রে, হোমবলির বেদিতে পিত্তল ব্যবহার করা হত। সমস্ত পিত্তল নির্মিত পাত্রগুলো হয় মাটির নীচে পুঁতে রাখা হত, নয়তো মাটির উপরে রাখা হত। এর দ্বারা মানুষের পাপের শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে এবং পিত্তল দ্বারা আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, পাপ করার কারণে ব্যবস্থা লঙ্ঘনের দ্বারা আমরা বিচার-দন্ডের যোগ্য।
তাহলে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং পিত্তলের আত্মিক অর্থ কি? তারা ঈশ্বর কর্ত্তৃক প্রদত্ত পরিত্রাণের দান গ্রহণের দ্বারা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করেছে। বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, যারা সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থাকে ধরে রাখতে পারে নাই, তারা সকলেই পাপী, তাই আমাদের পাপের কারণে আমরা মৃত্যুবরণ করব, আর তাই আমাদের মৃত্যুর বিপরীতে প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং সমাগম তাম্বুতে প্রদত্ত পাপার্থক ও মঙ্গলার্থক বলি হয়ে, আমাদের স্থলে আমাদের পাপের জন্য দন্ড ভোগ করেছেন।
পাপীরা তাদের পাপের সমস্যা সমাধান করতে একটি নিষ্কলঙ্ক পশু সমাগম তাম্বুতে নিয়ে আসত, এবং বলির প্রথা অনুযায়ী পশুর মস্তকে হস্তার্পণ করত, এর মাধ্যমে বলি উপরে তাদের পাপ অর্পিত হত; পরে এটাকে হত্যা করে এর রক্ত ছিটানো হত। এরূপ করার পর ইস্রায়েলীয় লোকেরা যারা নরকে (পিত্তল) যে বাধ্য ছিল, তারা তাদের পাপের (রৌপ্য) ক্ষমা গ্রহণ করত এবং এভাবে বিশ্বাসের(স্বর্ণ) দ্বারা তারা পাপের দন্ড থেকে রক্ষা পেত।
 
 

নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মসীনা সূতা

নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মসীনা সূতাএখানে প্রায় ব্যবহৃত আর একটি বস্তু হচ্ছে, নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকানো মসীনা সূতা সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণের দ্বারে, পবিত্র স্থানের দ্বারে এবং পবিত্র স্থান ও মহাপবিত্র স্থানের মাঝে যে পর্দা ছিল, এই সূতা সেই সব স্থানে ব্যবহার করা হয়েছিল। আদি পুস্তক ৩:১৫ পদে যে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিল, এই সূতা তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রভু নারীর বংশ হয়ে এই পৃথিবীতে আসবেন, এবং আমাদের প্রভু সত্যিই এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং বাপ্তাইজিত হয়ে ও ক্রুশারোপিত হয়ে, তিনি নিজেই আমাদের উদ্ধার করেছেন।
এই চার প্রকারের সূতা কেবল সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণের দ্বারেই ব্যবহৃত হত না, বরং এছাড়াও মহাযাজকের বস্ত্রে ও সমাগম তাম্বুর প্রথম আবরণে ব্যবহৃত হত। এটা ঈশ্বরেরই নিয়ম ছিল যে, যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে আসবেন, এবং নীল, বেগুনে ও লাল সূতার কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করবেন। আমাদের প্রভু বাস্তবিকই এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছেন এবং আমাদেরকে জগতের পাপভার থেকে উদ্ধার করেছেন।
 সমাগম তাম্বুর দ্বারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল নীল সূতা। যীশু খ্রীষ্ট কেন মসিহ রূপে এই পৃথিবীতে এসে ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছিলেন? কারণ তিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন নীল সূতা যীশুর বাপ্তিস্মের নিদর্শন, বেগুনী সূতা আমাদের বলে যে, যীশুই রাজা, এবং লাল সূতা তাঁর ক্রুশারোপন ও রক্ত সেচন প্রকাশ করে। নীল, বেগুনে ও লাল সূতা ও পাকানো মিহি মসীনা সূতা হল নির্মাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যার মধ্যে যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া পরিত্রাণের অনুগ্রহ নিহিত, তিনি মসিহ রূপে এই পৃথিবীতে এসে নিজের উপরে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন।
 এই পৃথিবীর অনেকে কেবলমাত্র এই বিষয়ে জোর দেয় যে, যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পুত্র এবং তিনি স্বয়ং ঈশ্বর। কিন্তু সমাগম তাম্বুর মাধ্যমে ঈশ্বর পরিষ্কার ভাবে আমাদের বলেন যে এই শিক্ষা পরিপূর্ণ সত্য নয়।
প্রেরিত পৌল ১ পিতর ৩:২১ পদে বলেছেন, “আর এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম- অর্থাৎ মাংসের মালিন্যত্যাগ নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিকটে সৎসংবেদের নিবেদন- তাহাই যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদিগকে পরিত্রাণ করে।”
 এটা আমাদের কাছে সাক্ষ্য দেয় যে, যীশু খ্রীষ্ট তাঁর পরিত্রাণের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেছেন এবং বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করেছেন, এবং এই প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। কে আমাদের মসিহ? মসিহ অর্থ ত্রাণকর্তা আমাদেরকে বলছেন যে, তিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হওয়ার মাধ্যমে নিজের উপরে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং সত্যিই তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে নিজের উপরে সেগুলো তুলে নিয়েছিলেন।
ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দেরকে নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মিহি মসীনা সূতা দ্বারা সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণের দ্বার তৈরী করতে বলেছিলেন। যিনি রাজাদের রাজা এবং স্বর্গের প্রভু, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, মানুষের বেশে এই পৃথিবীতে এসে নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতার সত্য পূর্ণ রুপে সাধন করবেন। আমাদের প্রভু মাংস ময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং মানব জাতির প্রতিনিধি যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নেওয়া মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা সাধন করেছিলেন।
পুরাতন নিয়মের বলিদান প্রথার সাথে এটা নিবিড় ভাবে সম্পর্কযুক্ত, মহাযাজকের হস্তার্পণের দ্বারা যেমন ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত পাপ বলির উপরে অর্পিত হত এবং তাদের পাপের কারণে বলিটি তাদের পক্ষে দোষীকৃত হত। অন্যভাবে বলতে গেলে, এই বলিদান প্রথার অনরূপে নূতন নিয়মে যীশু এই পৃথিবীতে এসে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং সেই কারণে, জগতের পাপভারের কারণে দোষীকৃত হয়েছিলেন। যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু ঈশ্বরের মেষশাবক হিসাবে নীল সূতার কাজ সাধন করলেন এবং এই বাপ্তিস্মের দ্বারা তিনি একবারেই নিজের উপরে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন।
যে কারণে অধিকাংশ খ্রীষ্টিয়ানেরা জগতের অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকদের চেয়ে বেশি মন্দ, তার কারণ হল তারা এই নীল সূতার সত্য অর্থাৎ যীশুর বাপ্তিস্মকে বুঝতে ও তাতে বিশ্বাস করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই কারণে তারা তাদের পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারেন। আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়ে যীশু যে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন, খ্রীষ্টিয়ানেরা যখন এর সঠিক ব্যাখ্যা না জানে তখন শুরু থেকেই তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি সত্যে উপরে স্থাপিত হয় না।
নীল সূতা হল একটি পদ্ধতি এবং সত্য যা সম্পন্ন করতে মসিহ এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং নিজের উপরে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। আর লাল সূতা যীশুর রক্তকে, অর্থাৎ, ক্রুশবিদ্ধ ও রক্ত সেচন করে; যীশু যে, ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছিলেন, তার কারণ হল বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তিনি আমাদের সমস্ত তুলে নিয়েছিলেন। যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে যীশু যে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, তার কারণ হল যেন তিনি এই পাপ নিয়ে ক্রুশে মরতে পারেন আর এটাই এই ঘটনার কারণ যেন আমাদের জন্য ক্রুশের উপরে তাঁর বলি মূল্যহীন না হয়ে পড়ে। কারণ যীশু খ্রীষ্টই মসিহ, যিনি তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশারোপনের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করেছেন, যেন তিনি আমাদের পরিত্রাণ করতে পারেন।
বেগুনা সূতার অর্থ হচ্ছে, যীশু খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বর এবং রাজাদের রাজা। যদিও যীশু খ্রীষ্ট রাজাদের রাজা (বেগুনী সূতা) ছিলেন তথাপি তিনি কি মানব জাতির প্রতিনিধি যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হন নাই, এবং তারপর তিনি কি আমাদের পাপ নিজে (নীল সূতা) উপর তুলে নেন নাই এবং ভয়ানক যন্ত্রনা ও ব্যথা নিয়ে ক্ৰুশে (লাল সূতা) মরেন নাই? তাই যদি না হত, তাঁর মৃত্যু মূল্যহীন হয়ে পড়ত। উজ্জল মসীন সূতা আমাদেরকে বলে যে, পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর যে ভাববাণী করেছিলেন, নূতন নিয়মে তা পরিপূর্ণ লাভ করেছে।
 
 

আজকের খ্রীষ্টিয়ান সমাজ নীল সূতার অর্থ হারিয়ে ফেলেছে

 
অধিকন্তু, আজকের খ্রীষ্টিয়ান সমাজে চার প্রকার সূতার মধ্যে নীল সূতাকে অবজ্ঞা করার এবং নিজের ইচ্ছা মত খামখেয়ালী ভাবে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করার প্রবনতা রয়েছে, এই মহাপাপ নিশ্চয় দন্ডিত হবে।
নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান মসীনা সূতা সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনের দ্বারে ব্যবহৃত হত, যা আমাদেরকে পরিত্রাণের সত্য সম্বন্ধে বলে, আমাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে যীশু খ্রীষ্ট আমাদের মশীহরূপে এই পৃথিবীতে মাংসময় দেহে এসেছেন, বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন এবং ক্রুশারোপিত হয়েছেন। যীশু নিজের উপর আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন।
যীশু কিভাবে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন? তিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্যদিয়ে সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন। কেবল মাত্র আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নেওয়ার দ্বারাই যীশু আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্ত্তা হয়েছেন। এ কারণে সমাগত তাম্বুর দ্বার এই চার প্রকার সূতায় বোনা ছিল, কাজেই সেগুলো আমাদেরকে বলে, যীশু যিনি এই পৃথিবীতে এসেছেন, বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন এবং মৃত্যু থেকে পুনরায় জীবিত আয়ে উঠেছেন, তিনি নিজেই ঈশ্বর।
 আর তাই সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনের দ্বার ছিল এই নীল, বেগুনে, লাল সূতা এবং পাকান মসীনা সূতায় বোন। যীশু হছেন পরিত্রাণের দরজা, যিনি স্বর্গরাজ্যের দিকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই দরজা হচ্ছে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান মমীন সুতায় বোনা একটি দরজা। যীশুই হলেন পাপীদের ত্রানকর্ত্তা । যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশারোপন হল তাঁর পরিত্রাণের দান, যার পাপীদেরকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছে। 
আজকের খ্রীষ্টিয়ান সমাজ যীশুর বাপ্তিস্মকে সঠিকভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই তারা প্রকৃত ঈশ্বরকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছে, জগতের অন্যান্য পার্থিব ধর্মের মত একটি ধর্মে পরিণত হয়েছে। যেহেতু আমাদের বিশ্বাসটাই হচ্ছে আসল কথা, তাই নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার ভিত্তির উপরে আমাদের বিশ্বাসকে প্রথমে দৃঢ় করতে হবে। বিশ্বাসের এই ভিত্তি হল, আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসে আপনাকের এবং আমাকে ননীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতা দ্বারা জগতের পাপ ভার থেকে উদ্ধার করেছেন।
যীশু এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং তাঁর পরিত্রাণের কাৰ্য্য সম্পন্ন করেছেন, তাঁর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্ত যা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছে। অন্যভাবে বলা যায়, যীশু মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছেন, জগতের সমস্ত তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্যদিয়ে নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, ক্ৰুশীয রক্তের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন, আর এভাবে ক্রুশীয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমাদের পাপের দন্ড ভোগ করেছেন। এই যীশু, যিনি আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন তিনি জল ও রক্ত দিয়ে এসেছেন (১ যোহন ৫:৪-৮)। বিশেষতঃ তিনি সৃষ্টির প্রভু, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তিনিই এক, যিনি আমাদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছেন। এই যীশুই আমাদের প্রকৃত ত্রাণকৰ্ত্তা হয়েছেন, যিনি আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন ও শাস্তি ভোগ করেছেন। এগুলোই সমাগম তাম্বুর সেই উপাদান যা আমাদেরকে বলা হয়েছে।
সুতরাং, এই উপাদানের বিশ্বাসের দ্বারা আমরা অবশ্যই আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ়তার সঙ্গে স্থাপন করব। যীশু, যিনি আমাদের ত্রাণকর্ত্তা হয়ে মশীহ হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছেন, সেই যীশুতে আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব। তিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছন, আমাদের পাপের জন্য ক্রুশে শাস্তি ভোগ করেছেন, এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, আমরা আমাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে এতে বিশ্বাস করব। ত্রাণকৰ্ত্তা, যিনি তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে পাপ থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন এবং ক্ৰুশে রক্ত সেচন করেছেন, তিনি কেবল একজন মানুষ হতে পারেন না, বরং তিনি সৃষ্টিকৰ্ত্তা, যিনি মানবজাতি এবং সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন। আমরা অবশ্যই আমাদের বিশ্বাসে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় স্বীকার করব। এরূপ বিশ্বস্ত স্বীকার ব্যতিরেকে এটা বিশ্বাস করা অসাধ্য যে, যীশুই ত্রাণকৰ্ত্তা।
 আপনি কি কখনও নিরবে শব্দের মিল করণের খেলা খেলেছেন? একজন ব্যক্তি থেকে এই খেলা শুরু করা হয়, যাকে একটি কার্ডে একটি বাক্য লিখে দেয়। প্রথম ব্যক্তি বাক্যটি খুব সতর্কতার সাথে পড়ে, এবং পরে বাক্যটি নিরবে কেবল মাত্র ঠোঁটের ভঙ্গিমায় বর্ণনা করে। তখন পরের জন ঠোঁটের ভঙ্গিমা পড়ে এটিকে তৃতীয় ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেয়। এই ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তির ঠোঁটের ভঙ্গিমা পড়ে চতুর্থ ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি শেষ ব্যক্তির নিকটে না পৌঁছায়, ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে। এই খেলার মূল উদ্দেশ্য হল, যেন শেষ ব্যক্তিটি মূল বাক্যটির হুবহু বলতে পারে। খেলাটি এই কারণে মজার যে, বাক্যটি মৌলিকত্ব খুব সহজেই বিলীন হয়ে যায়। ধরুন খেলাটি শুরু হয়েছে এই বাক্য দ্বারা, “পাখাটি চালিয়ে দাও।” বাক্যটি কয়েকজনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হওয়ার পর দেখা গেল যে, ইতিমধ্যেই এটা অনেকটা পরিবর্ত্তিত হয়ে গেছে। শেষ ব্যক্তির কাছে গিয়ে দেখা গেল বাক্যটি হয়ে গেল, “পাকা আম খান।” অর্থাৎ বাক্যটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্ত্তিত হয়ে গেছে।
যেভাবে সর্বশেষ ব্যক্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাক্য নিয়ে এসেছে, ঠিক তেমনিভাবে আজকের খ্রীষ্টান সমাজেরও ভ্রান্ত ধারনার বিশ্বাস রয়েছেন, যেভাবে নিরব শব্দের মিল করনের খেলা হয়েছিল। এই ঘটনাটি কেন হয়? এর কারণ হল, নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাসের উপর বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজকের খ্রীষ্টিয়ান সমাজের বিশ্বাসের ভিত্তিমূল এই নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাসের ভিত্তিতে গঠিত নয়। যখন এই বিশ্বাসের ভিত্তি স্খলিত হয়, তখন আমরা যতই দৃঢ়তার সাথে যীশুতে বিশ্বাস করি এবং তাঁর শিক্ষা আমদের জীবনে যত বেশী প্রয়োগ করতে চাই কেন, আমরা সাধারণত তা করতে পারি না।
ঈশ্বর যখন ইস্রায়েলদেরকে সমাগম তাম্বু তৈরী করতে তাদের উপহার সমূহ আনতে বললেন, তখন তিনি তাদেরকে প্রথমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তল আনতে বললেন, এবং পরে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান মসীনা সূতা আনতে বললেন। এই সমস্ত উপাদানসমূহ এটা প্রকাশ করে যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণ, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করতে তাঁর রক্ত সেচন এবং তাঁর পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন।
নীল সূতা কেবল মাত্র সমাগম তাম্বুর সকল দ্বারেই ব্যবহার করা হত না, বরং মহাযাজকের বস্ত্র এবং সমাগম তাম্বু আচ্ছাদনে ব্যবহার করা হত। এটাই সুসমাচার, যা আমাদেরকে বলে কিভাবে আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং কি নিখুতভাবে তিনি আপনাকে এবং আমাকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। আর তাই এটা আমাদেরকে বলে, বিশ্বাসের ভিত্তির এই চারটি ধরন কত গুরুত্বপূর্ণ, - অর্থাৎ নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান মসীনা সূতা - বাস্তবিকই আমাদের বিশ্বাসের জন্য। এই বাক্যের উপরে ভিত্তি করে আমরা অবশ্যই দৃঢ়ভাবে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তিমূল স্থাপন করব। কেবল তখনই আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারি এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারি। তাঁর দাস হয়ে যারা এই বাক্য প্রচার করে এবং এইরূপ বিশ্বাসের লোক হয়, আর এর পর প্রভু যখন পুনরায় আসবেন তখন এইসব লোকেরা আস্থার সাথে ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াতে পারবে।
কোরিয়াতে এখনও এই সংস্কার চলে আসছে যে, বিদেশী পণ্যই ভাল। আমার দেশের ধর্মতত্ত্ববিদদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়, যারা ওয়েষ্টার্ণ ধর্মতত্ত্ববিদদের বক্তব্যে বেশী গুরুত্ব দেয়, এমনকি তারা ঈশ্বরের বাক্যের চাইতে তাদের কথায় বেশী প্রাধান্য দেয়। এই অজ্ঞতা থেকে তাদেরকে অবশ্যই মুক্ত হতে হবে, এবং তাদেরকে অবশ্যই সত্যিকারভাবে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করতে হবে, তাঁর উপরে নির্ভর করতে হবে এবং তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের প্রভুর বাপ্তিস্ম, তাঁর রক্ত এবং এই ঘটনা, যে তিনি নিজেই ঈশ্বর, এই সত্য অবশ্যম্ভাবীভাবে আমাদের পরিত্রাণের দরজা হয়েছে। 
ঠিক যেভাবে প্রেরিত পিতর স্বীকার করেছেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র,” (মথি ১৬:১৬) আপনি যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন এবং যদি বিশ্বাস করেন যে, আমাদের পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাহলে অবশ্যই জেনে থাকবেন এবং বিশ্বাস করবে যে, প্রভু তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, তিনি ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছেন এবং পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছেন, আর এভাবেই তিনি আমাদের প্রকৃত পরিত্রাণের ঈশ্বরন হয়েছেন। আমাদের প্রভুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্ত হচ্ছে প্রকৃত বিশ্বাসের ভিত্তি, যা আমাদেরকে পরিত্রাণ গ্রহণে সক্ষম করে তোলে। আমরা যদি ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাসে বিশ্বাস করতে না পারি তাহলে আমরা কি করে বলতে পারি এটা সত্য বিশ্বাস?
 
 
ব্যবস্থা আগামী উত্তম উত্তম বিষয়ের ছায়াস্বরূপ
 
সমাগম তাম্বুর উপাদান সমূহ আমাদেরকে দেখায় যে, আমাদের প্রভু মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, তাঁর ক্রুশারোপনের দ্বারা আমাদের পাপের দন্ড ভোগ করেছেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে জেগে উঠেছেন; আর এইভাবে তিনি আমাদের ত্রাণকৰ্ত্তা হয়েছেন। নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা দ্বারা আমাদের প্রভু পুরাতন নিয়মে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি আমাদেরকে পরিত্রাণ দান করবেন। যিনি এই নিয়ম দিয়েছেন তিনি যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া অন্য কেউ নন। যিনি রাজাদের রাজা, তিনি পাপীদের উদ্ধারের জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছেন এবং ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন। অন্যভাবে বলা যায়, এই ঈশ্বর আমাদের কাছে মশীহ ঈশ্বররূপে এসেছেন। তাই এই সত্য ভালভাবে জানা ও বিশ্বাসে দ্বারা আমরা অবশ্যই এই সত্যে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করব। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা সকলে অবশ্যই পরিত্রাণের দান গ্রহণ করব।
স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তল সমাগম তাম্বুর উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হত। এই উপাদান সমূহ আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি প্রকাশ করে। আমাদের পাপের কারণে, ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমরা নরকে না যেয়ে পারি না। কিন্তু আমাদের মত এইধরণের লোকদেরকে আমাদের প্রভু পরিত্রাণে দান দিয়েছেন, যেন তারা এতে বিশ্বাস করে। সমগ্র মানব জাতির জন্য বলির উপহার হিসাবে যীশু খ্রীষ্ট যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন আর এভাবে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। নরকে যাওয়া প্রতিহত করার জন্য আমাদের আর অন্য কোন পথ নেই, কেননা আমরা কেবল মাত্র জেনেছি যে, আমাদের পাপের জন্য আমরা শাস্তি পেতে বাধ্য, এবং জানিনা যে, কিভাবে আমরা বিশ্বাস করতে পারি যে, আমাদের পাপ মুছে গেছে। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে পরিত্রাণ। যে যীশু এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, ক্রুশে মরেছেন এবং এভাবে আমাদের সমস্ত পাপ এবং শাস্তির সমাধান করেছেন – আর এটাই পরিত্রাণের দান। 
ঈশ্বর পরিত্রাণের কাৰ্য্য সম্পন্ন করেছেন, এবং এই পরিত্রাণের দান আমাদেরকে দিয়েছেন, এই বিশ্বাসে দ্বারা আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছি। এই কারণে ঈশ্বর স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তলের বিশ্বাস তাঁর কাছে আনতে বলেছেন, যেন যারা নরকে যেতে বাধ্য তিনি তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেন। এই কারণে আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসে আমাদের পাপ নিজের উপরে তুলে নেয়ার দ্বারা, আমাদের সমস্ত শাস্তি বহন করার দ্বারা বাস্তবিক আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, যেন আমরা পরিত্রাণের দানে বিশ্বাসের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উদ্ধারিত হই।
যীশু খ্রীষ্ট এখন আমদের প্রকৃত ত্রাণকৰ্ত্তা হয়েছেন। অতএব আমরা অবশ্যই তাঁর পরিত্রাণের দান নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান মিহি মসীনা সূতা বিশ্বাসে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াব। অতএব কোন কিছু ভালভাবে জানা ব্যতিত ঈশ্বর আদৌ আমাদের কাছে স্বেচ্ছাচারী ও অন্ধ বিশ্বাস চান না।
 
 
ছাগলোম, রক্তীকৃত মেষচর্ম, ও তহশ চর্ম
ছাগলোম, রক্তীকৃত মেষচর্ম, ও তহশ চর্ম
সমাগম তাম্বু আচ্ছাদন করতে এগুলো ব্যবহার করা হত। প্রথম আচ্ছা ছিল নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান মিহি মসীনা সূতায় বোনা, আর দ্বিতীয় আচ্ছাদন ছিল ছাগলোমের। তারপর এটা রক্তীকৃত মেষচর্ম দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল এবং সর্বশেষে উপরের ছাদ তহশ চর্ম দ্বারা আবৃত ছিল। এইভাবে সমাগম তাম্বুর আচ্ছাদনের চারটি ভিন্ন স্তর আচ্ছাদন করা হয়েছিল।
সমাগম তাম্বুর উপর সর্বশেষ যে আচ্ছাদন দেয়া হয়েছিল, তা ছিল তহশ চর্মের। তাহলে কেবল এই তহশ চর্মে আচ্ছাদিত সমাগম তাম্বুর বাহ্যিক চেহারা কিরূপ ছিল। তহশ হচ্ছে সমুদ্রের ভোঁদড়। এটার চর্মের আকার প্রায় একটা মানুষের মত অথবা সামান্য ছোট হতে পারে, আর এই চর্ম ছিল ওয়াটার প্রুফ। এই কারণে এর চর্ম সমাগম তাম্বুর ছাদে ব্যবহার করা হত। একারণে সমাগম তাম্বুর বাহ্যিক অবয়ব ততটা আকর্ষণীয় ছিল না এবং নিশ্চিতভাবে এটা মনমুগ্ধকর ছিল না। এটা আমাদের বলে যে, যীশু যখন আমাদের জন্য এই পৃথিবীতে এসেছিলেন তখন বাস্তবিক তিনি দরিদ্র বেশে এসেছিলেন, তাঁর চেহারায় কোন চাকচিক্য ছিল না।
রক্তীকৃত মেষ চর্ম আমাদেরকে বলে যে, যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে আসবে এবং আমাদের স্থলে উৎসর্গীকৃত হবেন, যেভাবে ছাগলোম আমাদেরকে বলে যে, তিনি আমাদের বলির উপহাররূপে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা আমাদেরকে উদ্ধার করবেন, আর এভাবে নিজের উপর আমাদের পাপ বহন করবে এবং ক্রুশের উপর বলি হবেন।
অন্যভাবে বলা যায়, সমাগম তাম্বু আচ্ছাদনের এই উপাদান সমূহ হচ্ছে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি। এই সত্য হচ্ছে বিশ্বাস তৈরীর উপাদান যা আদৌ বাদ পড়তে পারে না। আমাদের পরিত্রাণের উপহার দান করতে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত বলির উপহার হিসাবে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। পুরাতন নিয়মে ইস্রায়েলদের পাপ ক্ষমার নিমিত্তে ঈশ্বর বলিদানের প্রথা স্থির করেছিলেন; নিস্কলঙ্ক বলির পশু (ছাগল, মেষ, গরু) ইস্রায়েলীয়দের পাপ স্থানান্তরের জন্য এই পশুর উপর তাদের হস্ত অৰ্পণ করত এবং তাদের স্থলে এই পশু উৎসর্গ করা হত, তাদের রক্ত ছিটানো হত এবং পোড়নো হত, আর এভাবে সমস্ত পাপ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হত।
যীশু খ্রীষ্ট বলির মেষরূপে এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজের উপর আমাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছেন, আর এটাই হস্তাৰ্পণ। যেভাবে ইস্রায়েল জাতির পাপ গ্রহণের জন্য বলির পশুর উপর হস্তার্পণ করা হত এবং পশুর রক্ত হোমবেদির উপর পোড়ানো হত, ঠিক তেমনিভাবে যীশু খ্রীষ্ট আমাদের সমস্ত পাপের শাস্তি গ্রহণের নিমিত্ত বাপ্তাইজিত হয়েছেন, ক্রুশে মরেছেন, আর এইভাবে জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন।
যেহেতু বলিদান প্রথায় হোমবলির বেদির শৃঙ্গে বলি রক্ত ছিটানোর মাধ্যমে বিচারের পুস্তকে লিখিত নামগুলো মুছে ফেলা হত, তাই যীশুর বাপ্তিস্ম এবং রক্ত সেচন করার কারণ হচ্ছে, এই রক্ত দ্বারা তিনি আমাদের অনন্ত কালীন প্রায়শ্চিত্ত সাধন করেছেন এবং জগতের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন। অনুরূপভাবে সমাগম তাম্বুর সব উপকরণের মাধ্যমে যীশু খ্রীষ্ট এবং তাঁর কাৰ্য্য সম্বন্ধে প্রকাশ করা হয়েছে, বলা হয়েছে যে, এইভাবে তিনি জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। পুরাতন নিয়ম থেকে নূতন নিয়ম পর্যন্ত বাক্যের মাধ্যমে যীশু যে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, তা পূর্ণরূপে সত্য এবং যেকোন ত্রুটিমুক্ত।
আজকাল অনেক খ্রীষ্টিয়ানেরাই বিশ্বাস করে না যে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের বলির উপহার হিসাবে এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে বহন করেছেন, বরং বিপরীতে তারা নিঃশর্তভাবে কেবল তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুতে বিশ্বাস করে। এই ধরণের খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস নীল সূতা বিহীন সমাগম তাম্বুর দ্বারের বিশ্বাস, অর্থাৎ এই বিশ্বাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, দ্বারটি কেবল লাল ও বেগুনে সূতার তৈরী ছিল। তাদের বিশ্বাস ভ্রান্ত, তারা নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতার প্রয়োজন মনে করে না, বরং তার পরিবর্তে শুধুমাত্র দুইটি আবরণ অর্থাৎ ভেড়ার শুকনো লাল চামড়া এবং তহশের চামড়ায় বিশ্বাস করে। 
যখন আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সমাগম তাম্বুর তৈল চিত্র দেখতে পাই, সেগুলোর অধিকাংশের মধ্যে বিন্দুমাত্র নীল সূতা দেখা যায় না। কারণ যারা এই ছবিগুলো এঁকেছে, তারা জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে জানত না, তাই সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনের দ্বারের রং লাল ও সাদ করেছেন। কিন্তু এই ধরণের বিশ্বাস ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সঠিক বিশ্বাস হতে পারে না।
সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনের দ্বারে যে সূতা ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ছিল পর্যায়ক্রমে নীল সূতা, এরপর বেগুনে সূতা, তারপর লাল সূতা এবং তার পর সাদা সূতা। সুতরাং আমরা যখন প্রাঙ্গনের দ্বারের দিকে তাকাই তখন এই চার প্রকার রং তাৎক্ষণিরভাবে আমাদের দৃষ্টিতে আসে। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যাদের বিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে যীশুর বাপ্তিস্মের জ্ঞানে অজ্ঞ। সমাগম তাম্বুতে ব্যবহৃত চার রঙ্গের সূতার তারা সকলে অজ্ঞ এবং বিপরীতে কেবল মাত্র দুই প্রকার সূতায় তাদের সমাগম তাম্বুর দ্বার স্থাপিত।
 যাদের ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান সীমিত এবং তাঁর বাক্য সম্বন্ধে যারা খুবই অজ্ঞ, তারা অনেক লোককে প্রতারিত করছে। এরা সবাই ভ্রান্ত ভাববাদী। এই সমস্ত লোকদেরকে মনোযোগ আকর্ষণ করতে, যীশু নিজেই তাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, যেমন শত্রু এসে গমের মধ্যে শ্যামা ঘাসের বীজ বপন করে, তারাও তেমনি (মথি ১৩:২৫)। অন্যদিকে বলা যায়, মানুষ যারা নীল সূতার মধ্যে থেকে ভ্রান্ত মিথ্যা প্রচার করছে, তারা সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনের দ্বারের বাইরে রয়েছে। এই কারণে অনেক লোক এখনও যীশুতে বিশ্বাস করেও পাপী রয়েছে, যীশুতে তাদের বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, পাপের কারণে তারা ধংসের পথে যেতে বাধ্য।
আমাদের বিশ্বাসে ভিত্তি অবশ্যই দৃঢ় হতে হবে। ব্যবস্থা বিহীনতা বিশ্বাসের ভিত্তির উপর দাঁড়ালে তাতে আপনার দীর্ঘ ধর্মীয় জীবন যাপন কালে আপনার আত্মা কি ভাল ফল হবে? এক মুহূর্তের নোটিশে আপনার ভ্রান্ত বিশ্বাস চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আমাদের বাড়ী যত চমৎকারই হোক না কেন, তা যদি নড়বড়ে হয় তাতে কি লাভ। যত পরিশ্রমের সাথে ঈশ্বরের কাজ করি না কেন, আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি যদি নড়বড়ে হয়, তাতে প্রমাণিত হয় যে, আমরা বালুচরে ঘর বেঁধেছি। যখন ঝড় আসবে, বাতাস বইবে, বন্যা আসবে সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে পড়বে।
 কিন্তু যাদের ভিত্তি মজবুত তাদের বিশ্বাস কেমন? যতই এটা ঝাকানো হোক না কেন, এটা কখনই ভেঙ্গে পড়বে না। ঈশ্বর আমাদেরকে সত্যের পাষাণের উপর নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতায় একটি ঘর তৈরী করতে বলেছেন, যা কখনও ভেঙ্গে পড়বে না। এটাই প্রকৃত ঘটনা। পাষাণের বিশ্বাস কি? এটা সেই বিশ্বাস, যা নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতার সত্যে বিশ্বাস করে। এই প্রকার বিশ্বাসে যারা তাদের গৃহ নির্মাণ করেছেন, তার কখনই ভেঙ্গে পড়বে না। এই কারণে আমাদের বিশ্বাসের জন্য দৃঢ় খাঁটি ভিত্তি তৈরী করতে, এটা চরম সংকটপূর্ণ। প্রভু আমাদের জন্য কি কাৰ্য্য করেছেন তা স্বীকার করা ব্যতিত, যদি বিশ্বাস করি, তাহলে এই বিশ্বাস ভ্রান্ত ধর্মের বিশ্বাসে পরিণত হবে, যা ঈশ্বরের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
 
 
শিটীম কাষ্ঠ, তৈল ও সুগন্ধি
 
সমাগম তাম্বুর স্তম্ভ, হোমবলির বেদি এবং কাষ্ঠ ফলক ও পবিত্র স্থানের বিভিন্ন বস্তু, সবই ছিল শিটীম কাষ্ঠের তৈরী। বাইবেলে মানবিক বিষয় হিসাবে গাছকে ব্যবহার করা হয়েছে (বিচারকর্ত্তৃকগণ ৯:৮-১৫, মার্ক ৮:২৪)। এছাড়া আমাদের মানবিক চরিত্র বহন করে; এই কারণে স্তম্ভ, হোমবলির বেদির জন্য শিটীম কাষ্ঠ ব্যবহার করা হত এবং সমাগম তাম্বু নিজেই আমাদেরকে বলে যে, ঠিক যেমন শিটীম গাছের মূল সর্বদা মাটির গভীরে, আমাদের ভিত্তিও তেমন, যেন আমরা সর্বদা পাপ না করে পারি না। মানুষকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, তারা অধার্মিক এবং সর্বদা পাপ না করে পারে না।
একই সাথে শিটীম কাষ্ঠ যীশু খ্রীষ্টের মানবীয় বিষয়ও প্রকাশ করে। মশীহ, যিনি মাংসময় দেহে এসেছেন, জগতের সমস্ত পাপ বহন করেছেন, তিনি সমগ্র মানব জাতির নিমিত্ত ভয়ঙ্কর বিচারে বিচারিত হয়েছেন। তিনি নিজেই ঈশ্বর। নিয়ম সিন্ধুক, দর্শণরুটির মেজ, সুগন্ধি ধূপের বেদি এবং সমাগম তাম্বুর পার্শ্বকাষ্ঠ সবই ছিল শিটীম কাষ্ঠের তৈরী, খাঁটি স্বর্ণ দ্বারা আচ্ছাদিত।
আলোর নিমিত্ত তৈল ও অভিষিক্ত তৈলের জন্য সুগন্ধি এবং সুমিষ্ট সুগন্ধি আমাদের বিশ্বস্ততা বহন করে, যা আমরা যীশু খ্রীষ্টকে প্রদান করি। যীশু খ্রীষ্ট মসিহ, যিনি আপনাকে এবং আমাকে উদ্ধার করেছেন। “যীশু” এই নামের অর্থ হচ্ছে “একজন যিনি তাঁর সন্তানদেরকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন,” এবং “খ্রীষ্ট”এই নামের অর্থ হচ্ছে “অভিষিক্ত ব্যক্তি” এটা আমাদেরকে বলে যে, যীশু খ্রীষ্ট নিজেই ঈশ্বর এবং স্বর্গের মহাযাজক, যিনি আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে, আমাদের প্রভু মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছেন, বাপ্তাইজিত হয়েছেন, আমাদের স্থলে নিজেকে ক্ৰুশে উৎসর্গ করেছেন, আর এইভাবে আমাদেরকে পরিত্রাণের দান দিয়েছেন। মহাযাজকের ভূমিকা যীশু নিয়েছেন, যিনি আমাদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছেন, তিনি বাস্তবিক খুবই চমৎকার কাৰ্য করেছেন।
 
 
মহাযাজকের এফোদ বস্ত্রে এবং বুকপাটায় আকিক পাথরসহ অন্যান্য মূল্যবান পাথর বসানোর নিয়ম ছিল
 
এখানে বার প্রকার বিভিন্ন মূল্যবান পাথর দেখানো হয়েছে, যা মহাযাজকের বুকপাটায় এবং এফোদ বস্ত্রে বসানো হবে। মহাযাজক প্রথমে অন্তর্বাস পরিধান করবেন, তারপর উপরে নীল পটুকা পরিধান করবেন, এবং তারপর পটুকার উপর এফোদ বস্ত্র পরিধান করবেন। এরপর বুক পাটা এফোদ বস্ত্রের উপর স্থাপন করা হত, যা বলিদান অনুষ্ঠানের সময় পরিধান করা হত, এবং এই বুকপাটার উপর বার রকমের মূল্যবান পাথর বসানো হত। এই বিষয়টি আমাদের দেখায় যে, ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার জন্য মহাযাজকের ভুমিকা হল, ইস্রায়েল জাতির সাথে অন্য সব জাতিকে আলিঙ্গন করা এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে তাদের বলির উপহার উৎসর্গ করা।
যীশু, অন্তকালীন স্বর্গের মহাযাজক, তিনি জগতের সমস্ত জাতিকে তাঁর বক্ষে আলিঙ্গন করেছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিতে তাঁর দেহকে দান করেছেন এবং আমাদের জন্য উৎসর্গীকত হয়েছেন, আর এভাবে পিতা ঈশ্বরের কাছে তাঁর সন্তানদেরকে পবিত্র করেছেন। বুক পাটার উপরে যে বার প্রকারের মূল্যবান পাথর বসানো হয়েছিল তা এ জগতের সমস্ত জাতিকে প্রকাশ করে এবং যে মহাযাজক এগুলো পরিধান করবেন তা যীশুকে প্রকাশ করে, যিনি এমনিভাবে জগতের সমস্ত জাতিকে উদ্ধার করেছেন এবং তাঁর বক্ষে আলিঙ্গন করেছেন।
 সুতরাং এগুলোই ছিল সেই উপহার যা ঈশ্বর তাঁর নিমিত্ত সমাগম তাম্বু তৈরী করতে ইস্রায়েল জাতিকে আনতে বলেছিলেন। ঈশ্বর যে তাদেরকে সমাগম তাম্বু তৈরী করতে বলেছিলেন এর একটি আত্মিক তাৎপর্য রয়েছে, তাহল এই উপহারই তাঁর আবাসস্থল। ইস্রায়েলজাতি সর্বদাই পাপ করত, কেননা ঈশ্বর তাদেরকে যে ব্যবস্থা দিয়েছিলেন তা তারা পালন করতে পারত না। এই কারণে সমাগম তাম্বুতে বলিদানের উপহারের দারা পাপের ক্ষমা নিশ্চিত করা হয়েছে। অপরদিকে; ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের উপহার গ্রহণের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন, তাঁর গৃহ নির্মাণ করতে এই সমস্ত উপহার গ্রহণ করা হয়েছে, এবং বলিদানের প্রথা অনুযায়ী তাঁকে তাদের বলির উপহার দানের দ্বারা তাদেরকে প্রস্তুত করেছেন। আর এই ভাবে ঈশ্বর সমাগম তাম্বুতে ইস্রায়েল জাতির সঙ্গে বাস করতে পারেন।
যাহোক, এই পৃথিবীতে অনেক খ্রীষ্টিয়ান রয়েছে যারা সাধারণত, নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা ও পাকান সাদা মসীনা সূতায় বিশ্বাস করে না। ঈশ্বর যখন তাদেরকে স্বণ, রৌপ্য ও পিত্তল তাঁর কাছে আনতে বললেন, এই উপহারের মধ্যে যে সত্য নিহিত, কেন তারা এতে বিশ্বাস করে নাই?
আমাদের পাপের কারণে আমরা কি নরকে যেতে বাধ্য ছিলাম না? আপনি খ্রীষ্ট ধর্ম সম্পর্কে এমন বিশ্বাস করেন যে, এটা জগতের অন্য ধর্মের মত একটি ধর্ম, কারণ আপনি যদি এভাবে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনুতাপ করতে হবে এবং নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং পাকান সাদা মসীনা সূতার সত্যে ফিরে আসতে হবে। আর আপনাকে পূর্বে অবশ্যই ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রিত আজ্ঞা সমূহ বুঝতে হবে যে আপনি একজন ভীষণ পাপী, আর আপনি এই পাপের জন্য নরকে যেতে বাধ্য, আর এজন্য আপনাকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে।
এখন আপনাকে অবশ্যই সুসমাচারের সত্যে বিশ্বাস করতে হবে, যেহেতু আপনি নরকে যেতে বাধ্য ছিলেন, তৎসত্ত্বেও আমাদের প্রভু মসিহরূপে এই পৃথিবীতে এসেছেন, বাপ্তিস্মের দ্বারা আপনার সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, এই পাপ ক্রুশের উপর বহন করেছেন এবং ক্রুশের উপর রক্ত সেচনের দ্বারা নিজেই বলি হয়েছেন, আর এইভাবে আপনাকে এবং আমাকে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন ও আমাদের পাপের শাস্তি ভোগ করেছেন। নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় প্রতীয়মান জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ব্যতিত আমরা কখনই সম্পূর্ণরূপে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি দৃঢ়রূপে স্থাপন করতে পারি না।
 
 
আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে
 
ঈশ্বর আমাদেরকে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় বিশ্বাস রাখতে বলেছেন, আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত বাস্তবিক এই নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় আমাদের বিশ্বাস রয়েছে না কি। নীল সূতা ব্যতিত আমরা কেবল বেগুনে ও লাল সূতায় প্রতীয়মান সত্যে বিশ্বাস করি।
আমাদেরকে নিজেদেরকে দেখার প্রয়োজন, এবং দেখার প্রয়োজন যে, আমরা নিজেদের তৈরী ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের সম্মুখে যাচ্ছি কি না। ঈশ্বর যখন তাঁর কাছে তাঁর নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা আনতে বললেন, তখন কি আমরা এই সুযোগে তাঁকে কাল রঙ্গের নাইলন সূতা দেই নাই? “ঈশ্বর, আমাকে যে সূতার কথা বলেছিলেন, সমাগম তাম্বুর জন্য তা মূল্যহীন, মনে হয় এটা বৃষ্টিতে পঁচে যাবে। এটা অনুসন্ধান করা এবং নিয়ে আসা ক্লান্তিকর। এর পরিবর্ত্তে নাইলন সূতা দিয়ে চেষ্টা কর। আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, এটা প্রায় পঞ্চাশ বছর টেকসই হবে, এমনকি তুমি যদি এটা ভালভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা তবে প্রায় দশ বছর স্থায়ী হবে। আর এমনকি তুমি যদি এটা মাটিতে পুঁতে রাখ তাহলে এটা দুশো বছর পরেও পঁচবে না। এটা কি চমৎকার না?”
আমরা ঈশ্বরকে যা বলেছি, যে কোনক্রমে এটা কি তাই নয়? আমাদেরকে অবশ্যই নিজেদের দিকে ভালভাবে দেখতে হবে এবং বিবেচনা করতে হবে যে, আমরা আসলে মোহাচ্ছন্ন বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হচ্ছি কি না। যদি আমাদের সে রকম বিশ্বাস থাকে, তবে এখনই আমাদের সঠিক অনুতাপ করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের ফিরে আসতে হবে। 
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা নিজেরা চিন্তা করে যে, তারা খুব ভাল খ্রীষ্টিয়ান, কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখলে দেখা যায় যে, তাদের জ্ঞান ভ্রান্ত এবং তাদের বিশ্বাসও এমন ভ্রান্ত।
 
 
অতীন্দ্রিয়বাদ খ্রীষ্টিয়ান সমাজকে প্রভাবিত করছে
 
বর্তমানের অধিকাংশ খ্রীষ্টিয়ানের বিশ্বাস অতীন্দ্রিবাদে। এ ধরনের লোকদের কোন ধারনাই নাই যে, প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বরের বাক্য কি বলছে। কাণ মসিহ আমাদেরকে যে সত্য বাক্য দিয়েছেন তারা তা জানে না, তারা তাদের নিজেদের আবেগ ও অনুভূতিতেই প্রভুর অনুসন্ধান করে এবং এতেই বিশ্বাস করে। আর তারা নিশ্চিত যে, তাদের এই অনুভূতি সত্য। তারা নিজেরা ঐকান্তিকভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, এবং বিশ্বস্তভাবে তাদের আবেগ ও অনুভূতি অনুসরণ করে তাদের প্রার্থনায় তারা সেটা অনুভব করে। কেননা তারা নিজেরা ঐকান্তিকভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে এবং তারা তাদের প্রার্থনার মধ্যে তাদের বোধ শক্তির আবেগ অনুভূতির অনুসরণ করে, কিন্তু ঈশ্বরের সত্য বিশ্বাস কি তা তারা বুঝতে পারে না। 
 এখানে যারা নিজেদের আবেগ ও অনুভূতি অনুসারে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে যা তাদের চিন্তা চেতনাকে অস্থির করে তোলে তা রহস্যাবৃত বিশ্বাস। মানুষ যারা এই অনুভূতির ভিত্তিতে ঈশ্বরে বিশ্বাস করত, তারা উপবাস করত, বিশ্বাস করত, ভোরের প্রার্থনা করত, তারা প্রার্থনা করতে পাহাড়ে ওঠে, যখন পাপ করে, অনুতাপের প্রার্থনা উপহার দেয়, আর এরূপে সন্দেহ করে - এই ধরনের লোকেরা সবাই রহস্যাবৃত লোক। অপরদিকে, যারা নিজস্ব অনুভূতির উপরে নির্ভর করে বিশ্বস্ত জীবন যাপন করে, মসিহের উল্লিখিত নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় তাদের বিশ্বাস নেই।
সম্ভবত বর্তমানের ৯৯.৯ ভাগ খ্রীষ্টিয়ান ঐতিহাসিকভাবে অতীন্দ্রিয়বাদে বিশ্বাসী। অন্যকথায়, এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে প্রাথমিক মন্ডলী ছাড়া সমগ্র খ্রীষ্টিয় জগত অতীন্দ্রিয়বাদ অনুসরণ করে আসছে। নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় যাদের বিশ্বাস নেই, তারা এই রকম চিন্তায় অভ্যস্থ হয়ে গেছে যে, তাদের অনুভূতিটাই এক ধরনের বিশ্বাস। তারা দাবী করে যে, প্রার্থনায় তারা ঈশ্বরকে দেখেছে, এবং তারা বলে যে, প্রশংসা করতে তাদের খুবই ভাল লাগে।
তারা বলে, “প্রেইজ মিটিং-এ জড়ো হই, আমাদের হাত উপরে তুলি এবং একত্রে আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করি। আমরা ক্রুশ ধরে রাখি এবং এর চরণে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পাদন করি, এবং তারপরে আমাদের হৃদয় প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে এবং খ্রীষ্ট এমনই আবেগপূর্ণভাবে ভালবাসার যোগ্য হয়েছেন। খ্রীষ্ট যে রক্ত সেচন করেছেন সেই রক্তের জন্য আমাদের হৃদয়ে আমরা খুবই কৃতজ্ঞতা অনুভব করেছি। আমরা আরও ঐকান্তিকভাবে বিশ্বাস করেছি যে, প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেনএবং আরও বুঝতে পেরেছি যে, এই কারণে তিনি তাঁর রক্ত সেচন করেছেন। আমরা শুধু সমস্ত অভিজ্ঞতাকে ভালবেসেছি।” কিন্তু একদিন যখন তাদের সমস্ত আবেগ বিলীন হয়ে যায়, তারা বলে, সেই সমস্ত অনুভূতি সকল শুকিয়ে গেছে এবং আমাদের হৃদয়ে পাপ রয়েছে। এই প্রকার বিশ্বাস অতীন্দ্রিয়বাদ বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
 যতই দৃঢ়তা থাকুক বা পৃথকীকরণ থাকুক, প্রত্যেক খ্রীষ্টিয়ানের উচিত নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় বিশ্বাস করা। নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় যাদের বিশ্বাস নাই, তারা রহস্য ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। ঈশ্বরকে তারা নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস দেয় না, বরং নাইলন সূতার বিশ্বাস দেয়। অন্যকথায়, ঈশ্বরের কাছে তারা রহস্যাচ্ছন্ন বিশ্বাস নিয়ে আসে, যা খুবই অপ্রতুল এবং ঈশ্বর এদের প্রতি দৃষ্টিপাতও করেন না।
আপনি কখনও চিকন দড়ি দিয়ে নৌকা বাঁধতে দেখেছেন? অতীন্দ্রিয়াবাদীরা সহজেই এই ধরনের উপাদান ঈশ্বরকে উপহার দেয়। আমাদের প্রভু যখন আমাদেরকে তাঁর নিকট নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতা আনতে বলেন, তখন অনেকে তাঁর কাছে চিকন সূতা নিয়ে আসে, এবং বলে, “প্রভু, এই বিশ্বাস গ্রহণ করুন।” আবার অনেকে বড় জাহাজ বাঁধার জন্য যে শিকল ব্যবহৃত হয়, তাঁর কাছে সেই শিকল নিয়ে আসে। এই রকম মোটা লোহার শিকলের বোঝা তৈরী করে তারা প্রভুর পায়ে নিয়ে আসে এবং প্রভুকে তা গ্রহণ করতে বলে।
 কিন্তু ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর কাছে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস আনতে বলেছেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর কাছে লোহার শিকল আনতে বলেন নাই। তথাচ অনেকে তাদের চোখে যেটা ভাল দেখে ও তাদের কাছে যা খুঁজে পেতে সহজ হয় তাঁর নিকট সেই বিষয় বলে। যদিও তারা লোহার শিকল, দড়ি ও নাইলন সূতা বা এ্যারারট লতা নিয়ে ঈশ্বরের কাছে গিয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার উপহার গ্রহণ করেছেন। ঈশ্বর কেবল একটি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন, তিনি কেবল নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস গ্রহণ করবেন। তাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমরা অবশ্যই এই নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস নিয়ে যাব।
 
 
মশীহ কোন উপহার গ্রহণ করেন না
 
ইস্রায়েলদেরকে ঈশ্বরের কাছে স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল নিতে হত এবং তাদের এফোদে বার রকমের পাথর স্থাপন করতে হত। তথাপি কিছু লোক ঈশ্বরের কাছে তাম্র বা লৌহ নিয়ে আসত। যীশু কি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের স্তুপের জন্য আকাঙ্খিত, যে তিনি সব ধরণের জিনিস গ্রহণ করবেন? অবশ্যই না!
যীশু এমন কেউ নন, যিনি যে কোন ধরনের আবর্জনা গ্রহণ করেন। যীশু পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের জন্য ধাবিত নন যে, আপনি যা কিছু অব্যবহার্য, সে সমস্ত জিনিস তাঁর কাছে আনবেন। যীশু খ্রীষ্টই মশীহ যিনি নীল, বেগুনে এবং লাল সূতায় তাঁর অনুগ্রহ আমাদেরকে প্রদান করেছেন, যা আমাদের পাপ ক্ষমা করে এবং যিনি আমাদেরকে তাঁর সত্য প্রেম প্রদান করতে চান। এই কারণে যীশুকে প্রেমের রাজা বলা হয়। আমাদের প্রভু বাস্তবিকই প্রেমের রাজা। যীশু বাস্তবিক আমাদের মশীহ। আমাদের কাছ থেকে মশীহ একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বিশ্বাস প্রত্যাশা করেন, যা কিছু অবধারিত বৈশিষ্টের দ্বারা গঠিত। একমাত্র যখন আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের সম্মুখে যাই, তিনি যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা তিনি আমাদেরকে দিবেন।
তথাপি আমরা দেখি যে, অনেকে আছে যারা মশীহ সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞানের উপরে ভিত্তি করে মশীহকে বিশ্বাস করে, একরকম কিছু একগুঁয়ে লোক আছে যারা বর্ণনাতীত। ফরৌণ ঈশ্বরের সাক্ষাতে যত বেশী নিজের একগুঁয়ে পথে চলত, তেমনি তারা স্বাভাবিকভাবে দুষ্ট এবং মন্দ। মোশী যখন তাকে বলেছিলেন, “যিহোবা নিজেকে প্রকাশ করেছেন, তাঁর লোকদেরকে যেতে দিন,” ফরৌনের একগুঁয়ে উত্তর ছিল “কে এই যিহোব?”
ঈশ্বর যখন তাকে তাঁর অস্তিত্ব প্রকাশ করলেন, সে তার অবাধ্যতার লাভ ক্ষতি হিসাব করার পরে নিশ্চিতভাবে দ্রুত আত্মসমর্পণ এবং তাঁকে স্বীকার করতে স্বচেষ্ট হয়েছিল। যদি সে তখনও সত্যিকারভাবে বিশ্বাস না করত এবং যদি তার একগুঁয়েমীতার জন্য তাকে পীড়াপীড়ি করা হত, তাহলে সে কিছু সময়ের জন্য একগুঁয়েমীতা ধরে রাখার চেষ্টা করত, কিন্তু কয়েকটা মহামারীর পরে, তাকে তা বাদ দিতে হত। তখনও ঈশ্বরের বাক্যের অবাধ্য এবং একগুঁয়েমীতা ধরে রাখা, এমনকি সারা দেশে ভেক দ্বারা সে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছিল তা ফরৌণের জন্য কতটা বোকামী এবং বেদনাদায়ক হত?
 শুধু ভেক নয়, কিন্তু জোঁকও ফরৌণের প্রাসাদে আক্রমণ করেছিল। ডানে, বায়ে, যেদিকে কেউ তাকায় মিশরের সর্বস্থানে আস্তে আস্তে জোঁকে পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, আর ফরৌণ তথাপিও আত্মসমর্পণ করেছিল না। সর্বস্থানে যখন জেঁকে পূর্ণ, তখন কিভাবে কেউ বেঁচে থাকতে পারে? এই পরিস্থিতির ভিতরে তাকে উপলব্ধি করতে হয়েছিল, “কারণ আমি ঈশ্বরকে মান্য করি নাই, কে প্রকৃত রাজা তিনি আমাকে তা দেখাচ্ছেন। আমি হয়তো এই জগতের আমার রাজ্যের রাজা, কিন্তু তাঁর সাথে তুলনার কিছুই নই। জগতের সম্মুখে যদিও আমি সবচেয়ে বড় জাতির রাজা এবং যদিও সম্পূর্ণ পৃথিবীর উপরে আমার ক্ষমতা রয়েছে, ঈশ্বর আমার চেয়ে আরও বেশী ক্ষমতাশালী, আর তিনি আমার অবাধ্যতার জন্য আমার উপরে এই সব মারী আনয়ন করেছেন।” এভাবেই তিনি আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
 তার এই বিরোধিতার জন্য তাকে কি মূল্য দিতে হবে, নিজেকে দেখার পরে ফরৌণ যে বিজ্ঞতার কাজটি করেছিল তা হল, সে দ্রুত আত্মসমর্পণ করেছিল। ফরৌণ যতই ক্ষমতাশালী হোক, যদি সে বুঝতে পারত যে ঈশ্বরের সম্মুখে দাড়ানোর তার কোন উপায় নেই, তাহলে সে আত্মসমর্পণ করে বলত, “ঠিক আছে ঈশ্বর, আপনি প্রথম স্থান গ্রহণ করুন; আমি দ্বিতীয় স্থান গ্রহণ করব।” কিন্তু যেহেতু এভাবে স্বীকার করতে অস্বীকার করেছিল, তাই তার সমগ্র জাতি এবং লোক জোঁক দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।
এই জোঁকের কারণে কোন মিশরীয় মোটেই কিছু করতে পারত না। যখন জোঁক দ্বারা প্রত্যেকে তীব্রভাবে যন্ত্রনাযুক্ত হয়েছিল, তখন তারা জোঁক থেকে মুক্তির চেষ্টা ছাড়া আর কি করবে? আসুন আমরা সকলে একবার কল্পনা করি যে, এই দরিদ্র মিশরীয়রা জোঁক থেকে মুক্তি পেতে মশাল নিয়ে চারিদিকে দৌঁড়াচ্ছে, যেতে যেতে হয়তো নিজেদের ঘরও পুড়িয়ে ফেলছে, এবং পোড়ানো জোঁকের গন্ধে গ্রাম পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
 কিছু কিছু জিনিস আছে, যা মানুষে করতে পারে এবং কিছু আছে যা, মানুষে করতে পারে না। কেননা ঈশ্বরই সমস্ত কিছুর প্রভু, যিনি জীবন-মৃত্যু, সুখ-দুঃখ এবং আশির্বাদ-অভিশাপের উপরে কর্ত্তৃত্ব করেন। এটাই যখন ঘটনা, তখন নিজেদের উপরে বিশ্বাস স্থাপন না করে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেষ্টা না করে আমাদের সকলকে বিজ্ঞতাপূণভাবে চিন্তা করতে হবে এবং আমাদেরকে একগুঁয়েমীতা পরিত্যাগ করে যুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে আমরা হয়তো কেউ নিজের পথে নাছোড়বান্দা এবং অন্যকে জয় করার চেষ্টা করি, এই কাজটি যখন আমরা মশীহের সাথে করি, তখন তা আর সম্ভব হয় না।
আমাদেরকে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে যে, ঈশ্বরের সম্মুখে প্রকৃতপক্ষে আমরা কি প্রকারের লোক। আমাদেরকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে, আমরা কি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে টিকতে পারব আমাদের হৃদয় কি বাস্তবিক শান্ত ও নম্র হবে। মানুষের সম্মুখে আমরা হয়তো একগুঁয়েমীতা করে টিকতে পারি এবং একসময় আমরা এর পরিণতির মুখোমুখি হব কিন্তু ঈশ্বরের সম্মুখে অবশ্যই আমাদের হৃদয়কে সম্পূর্ণ নম্র হতে হবে।
 “ঈশ্বর আমি ভুল করছি”- যারা এটা স্বীকার করে তারা এমন লোক যারা সঠিক পথ বেছে নেয়। তারা সেই লোক যারা তাদের অভিশপ্ত জীবন থেকে রক্ষা পেতে পারে। যারা তাদের পাপের কারণে ঈশ্বরকে ত্যাগ করেছে, তাদেরকে ঈশ্বরের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ এবং জীবন জল পান করতে হলে জল ও আত্মা দ্বারা নূতন জন্ম পেতে হবে। যখন আমরা এই নিরস পৃথিবীতে এইরূপ নিস্ফল জীবন যাপন করি, এবং এখানে উদ্দেশ্যহীনভাবে ভেসে বেড়াই, যেখানে শুধু একমুঠো ধুলো সঙ্গে নিয়ে ফিরে যেতে হয়, সেখানে আমরা আমাদের জীবন যাপন থেকে কি প্রত্যাশা করতে পারি।
আমাদের যাদেরকে একমুঠো ধুলো সঙ্গে নিয়ে ফিরে যেতে হয় এবং যারা অগ্নির হ্রদে নিক্ষিপ্ত হতে বাধ্য, এই আমাদের জন্য একমাত্র উপায় হল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে রক্ষা পাওয়া এবং এভাবে আমাদের পাপের মোচন লাভ করা। যে সমস্ত হতাশাপূর্ণ এবং বিপন্ন লোকেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাদের গন্তব্য অনন্ত ধংসে এবং তাদের পাপের জন্য ঈশ্বরের প্রেমের মধ্য দিয়ে তাঁর সম্মুখে পুনরায় অলৌকিকভাবে প্রেমের পরিত্রাণ উত্থিত করবেন। অতএব, আমরা অবশ্যই সকলে এই প্রেমের পরিত্রাণে আবৃত হয়েছি।
 কিভাবে একজন খাঁটি মরণশীল কখনও ঈশ্বরকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে? ঈশ্বর যখন এইরূপ এবং এইরূপ উপহার আমাদেরকে আনতে বলেছেন, তখন অবশ্যই আমাদেরকে তাঁর বাক্য পালন করতে হবে। উপরের মূল অনুচ্ছেদ দেখে আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর কাছে কি উপহার আনতে বলেছেন, “ওহ এই প্রকার বিশ্বাসই যা ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর কাছে আনতে বলেছেন।”
মহাযাজকের বর্মের উপরে বার রকমের পাথর বসানো ছিল। মহাযাজক যাতে ইস্রায়েল সন্তানদের উপরে সঠিক বিচার আনয়ন করতে পারেন সেই জন্য তার বিচারার্থক বুকপাটার ভিতরে ঊরীম ও তুম্মীম, যার অর্থ দীপ্তি ও সিদ্ধতা, রাখা হয়েছিল।
এটা এই ঘটনা ব্যতিত অন্য কিছুই বুঝায় না যে, ঈশ্বরের দাসগণই একমাত্র তাঁর বাক্য এবং তাদের মধ্যস্থিত পবিত্র আত্মার দীপ্তি ছাড়ানো দ্বারা আত্মিক সন্তানদের উপরে ধার্মিকতার বিচার অর্পণ করতে পারে।
এখন আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ঈশ্বরের সম্মুখে নীল, বেগুনে এবং লাল সুতার সত্যই প্রকৃত সত্য এবং প্রকৃত পরিত্রাণ। নীল, বেগুনে এবং লাল সুতার সত্যই পরিত্রাণের সত্য, যা আমাদিগেতে জীবন আনয়ন করতে পারে, এবং এটা ব্যতিত অন্য কিছুই আমাদের জীবন গঠন করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ ঈশ্বরের স্পষ্ট সত্য বাক্য ভিত্তিক।
 
 

সমাগম তাম্বুর সমস্ত উপকরণ মানুষের পাপ হতে পরিত্রাণের সাথে সম্পর্কযুক্ত

 
এখনও অতি মুর্খ লোকেরা একগুঁয়েমীভাবে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে। তাহলে তাদের প্রতি কি ঘটবে? তারা কখনই কোনভাবেই রক্ষা পাবে না। আমাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের মুর্খতা পরিত্যাগ করতে হবে। আমাদেরকে নিজেদের হৃদয়কে শূন্য করতে হবে। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং একগুঁয়েমীতা ত্যাগ করতে হবে, এবং পরিবর্ত্তে তাঁর বাক্য পালন করতে হবে এবং আমাদের হৃদয় তাঁকে দিয়ে দিতে হবে। আমরা অবশ্যই নিজেদের অবাধ্যতা ত্যাগ করব এবং কখনই ঈশ্বরের সম্মুখে বিরোধিতা করব না। আমরা হয়তো অন্যদের সামনে করতে পারি, কিন্তু অন্ততপক্ষে খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে ঈশ্বরের সম্মুখে তা করতে পারি না। তথাপি, নির্বোধ লোকেরা ঈশ্বরের বিরোধিতা করে এবং অন্য মানুষের সম্মুখে নত হয়। এটাই তাদের ভুল। ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের নিজেদেরকে অবশ্যই একেবারে বিছিয়ে দিতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে যে, ঈশ্বর আমাদরেকে যা বলেছেন তা সমস্তই সঠিক।
আর আমাদেরকে অবশ্যই নীল, বেগুনে এবং লাল সুতার বাক্যে আস্থা এবং বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাস হল ঈশ্বরের বাক্যে নির্ভর করা। যখন আমরা ঈশ্বরের পায়ের উপরে নিজেদেরকে সমর্পণ করি, এবং তাঁর কাছে আমাদের সমস্ত সমস্যার কথা স্বীকার করি এবং তাঁর সাহায্যের জন্য তাঁকে দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ধরি, ঈশ্বর নিশ্চয়ই আমাদেরকে উত্তর দিবেন। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই তা ধন্যবাদ সহকারে গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বাস যাকে বলে এটা তা-ই। তাহলে নীল, বেগুনে এবং লাল সুতা ছাড়া মাছ ধরার ছিপ বা ধাতব শিকল দিয়ে কি আমরা ঈশ্বরকে কিছু দেখাতে পারতাম? ঈশ্বরের সম্মুখে কিছু অব্যবহাৰ্য্য সূতা আনি এবং তাঁকে বলি, “এটা আমার নিজের বিশ্বাস। এইভাবে আমি এত শক্তিশালী বিশ্বাস করেছি। এটাই দৃঢ় বিশ্বাস, যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করেছি” - এটা শুধু বিশ্বাস নয়, কিন্তু নিজেকে ঈশ্বরের সম্মুখে নির্বোধ সাব্যস্ত করা।
একজন মানুষকে অবশ্যই মশীহের সম্মুখে তার (নারী/পুরুষ) একগুঁয়েমীতাকে পরিহার করতে হবে। ঈশ্বরের সম্মুখে একজন মানুষ অবশ্যই তার ইচ্ছাকে অবনমিত করবে। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের সকলকে অবশ্যই নিজেদেরকে জানতে হবে। ঈশ্বর আমাদেরকে কি বলেছেন এবং আমাদের জন্য কি সংকল্প করেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই সেটা অনুসারে নিজেদেরকে জানতে হবে। একজন খ্রীষ্টিয়ানের সঠিক বিশ্বাস এটা ব্যতিত অন্য কিছু নয়। ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে মান্য এবং পালন করাই হল সঠিক চালচলন এবং বিশ্বাসের হৃদয়।
আমাদের মধ্যে অবশ্যই আমরা হয়তো কেউ নিজের অর্জনে গর্বিত, একে অপরের সাথে তুলনা করি, প্রতিযোগীতা করি এবং একে অন্যকে চ্যালেঞ্জ করি। যদিও ঈশ্বরের সাক্ষাতে যা প্রয়োজনীয়, সেই পরিমাণে এগুলো ব্যর্থ অনুশীলন, মানব জাতির মধ্যে এটা এমন কিছু যা আমাদের স্বল্প পছন্দের, কিন্তু নিয়মিত আমরা এর সাথে সম্পৃক্ত।
 এমনকি কুকুরের ছানাগুলোও তাদের প্রভুদেরকে চেনে এবং তাদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে এবং তাদেরকে মান্য করে। অন্যকথায়, কুকুরেরা তাদের মালিকদেরকে চেনে, তাদের স্বর চেনে এবং কেবলমাত্র তাদের প্রভুকেই অনুসরণ করে। যখন কুকুরেরা তাদের প্রভু কর্ত্তৃক তীরস্কৃত হয়, তারা তাদের ভুল কাজ বুঝতে পারে, বাধ্যতার ভঙ্গীতে তাদের মাথা অবনত করে এবং সুন্দর কৌশলে ছোট ছোট ভাল কাজ করার দ্বারা তাদের প্রভুকে তীরস্কার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পশুরা যেখানে এটা করে, সেখানে মানুষ নিজেদের চিন্তাভাবনা থেকে বিশ্বাস গ্রহণ করার দ্বারা ঈশ্বরের সাথে চ্যালেঞ্জ করেই যাচ্ছে। অন্যকথায়, তারা নিজেদের চিন্তাভাবনা এবং নিজেদের নাছোড়বান্দা পথের ন্যায় আঁকড়ে ধরে থাকছে। 
ঈশ্বর তাঁর নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার দ্বারা সমগ্র মানবজাতির সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন, এবং তিনি আমাদেরকে বিশ্বাস রক্ষা করতে বলেছেন, বিশ্বাস প্রভুর কাজে বিশ্বাস করে। তথাপি লোকেরা এখনও অবাধ্য এবং ঈশ্বরকে চ্যালেঞ্জ করে।
আমাদের প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর কাছে আনতে বলেছেন এবং নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার মাধ্যমে সমস্ত পাপ মুছে দেয়ার দ্বারা তিনি আমাদের পাপ মোচন প্রদান করেছেন। ঈশ্বর তাঁর কাছে আমাদের নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস আনতে বলেছেন, লোকেরা এখনও তা বিশ্বাস করে না, আর তারা নিজেদের প্রভুর সাথে বিরোধিতা করছে। এই লোকেরা অভিশপ্ত হবে।
যে বিশ্বাস মশীহ তাদের কাছে প্রত্যাশা করেন, যখন তারা সেই বিশ্বাস না এনে অন্য বিশ্বাস আনয়ন করে, তখন তিনি শুধু ক্রোধান্বিতই হবেন। তারা ঈশ্বরের সম্মুখে তাদের একগুঁয়েমীতা আনতে থাকে এবং তাঁকে বলে, “আমি এই পর্যন্ত ভালভাবে আমার বিশ্বাস রক্ষা করেছি। উত্তম কোন কাজ আমাকে প্রদান করুন।”সর্বদা তারা যে বিশ্বাস রক্ষা করছিল বস্তুত তা যখন কাৰ্য্যহীন বিশ্বাস, তখন বিশ্বাস রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর কি তাদের সেই কাজ অনুমোদন করবেন?
হয়তো একটি সময় থাকে যখন আমরা আমাদের জীবনে যথার্থভাবে একগুঁয়েমীতা অর্জন করি। কিন্তু ভ্রান্ত বিশ্বাসের একগুঁয়েমীতা ঈশ্বরের সম্মুখে কাৰ্য্যহীন। ঈশ্বর নীল, বেগুনে এবং লাল সুতা ব্যবহার করে আমাদের পাপ মুছে দিয়েছেন। বাইবেল বলে না যে, তিনি কেবল বেগুনে সূতা ব্যবহার করেছেন, এমনকি তিনি খুব কমই ধাতব শিকল ব্যবহার করেছেন, একমাত্র সেখানে নাইলন সূতার উল্লেখ নেই। ঈশ্বরের গৃহের অভ্যন্তরে এবং তাঁর দেয় পরিত্রাণের ব্যবস্থার মধ্যে মশীহ আমাদের কাছ থেকে নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস প্রত্যাশা করেন।
খ্রীষ্টিয়ান তাদেরকে বলা হয়, যারা যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস এবং অনুসরণ করে। তাহলে আমরাও খ্রীষ্টিয়ান। যাহোক, বহু লোক আছে যারা যীশুকে তাদের ত্রাণকর্ত্তারূপে গ্রহণ করা সত্ত্বেও নূতন জন্ম পায় নাই, যারা পাপের মোচন লাভ করে নাই এবং যাদের নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস নাই - এরা খাঁটি নামধারী খ্রীষ্টিয়ান, যাদের গন্তব্য নরকে। কারণ তারা তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুযায়ী বিশ্বাস করে। যেহেতু তারা কেবল ধর্মবিদ, সত্য খ্রীষ্টিয়ান নয়, তাই ঈশ্বর এই লোকদের ত্যাগ করবেন।
 ঈশ্বরের সাক্ষাতে অন্ততপক্ষে আমাদেরকে সৎ হতে হবে, এবং বাস্তবিক আমরা যেমনটি, ঠিক সেইভাবে আমদের নিজেদেরকে চিনতে হবে। প্রতি মুহূর্তে, প্রতি মিনিটে, এবং প্রতি সেকেন্ডে আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের পাপের কারণে আমরা নরকে যেহে বাধ্য ছিলাম। মশীহের সাক্ষাতে আমাদেরকে অবশ্যই নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস থাকতে হবে। এইরূপ বিশ্বাস করাই সঠিক কাজ। মশীহ আমাদের জন্য যা করেছেন তা অবশ্যই নিজেরদেকে মনে করিয়ে দিতে হবে, আর আমরা যখন তা স্বীকার করি, অর্থাৎ তিনি আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করতে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং আমাদের পাপের জন্য তাঁর ক্রুশারোপনের দ্বারা তিনি বিচারিত হয়েছিলেন, তখন আমাদেরকে সর্বদা আমাদের পরিত্রাণ জানতে হবে। এটাই বিশ্বাস যা ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন।
মশীহ যেভাবে করতে বলেন, ঠিক তেমনি করা ব্যতিরেকে আমরা কখনই ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারি না। কেন? কেননা তিনি যেভাবে তাঁর নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার মধ্য দিয়ে আমাদের ত্রাণকর্ত্তা হয়েছেন, তেমনি ঈশ্বর আমাদের জন্য যা করেছেন তা প্রতিমুহূর্তে আমাদের বিশ্বাস করা প্রয়োজন। নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা যেমন সত্য, তেমনি আমরা নিজেরা যে পাপ করি, সেগুলো মোচনের জন্য সেই সত্য আরও বেশী প্রয়োজন।
 
 
আমাদের নিজেদের প্রচষ্টার উৎপাদন যদি আমরা ঈশ্বরকে দিতাম, তিনি কি সন্তুষ্ট হতেন?
যীশুর বাপ্তিস্ম
অতিক্রমআমরা যদি ঈশ্বরকে পার্থিব জিনিস প্রদান করতাম, তাহলে আমরা শুধু নিজেদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ক্রোধই সঞ্চয় করতাম না, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে অবতীর্ণ হওয়ার দ্বারা আমরা মহাপাপ করতাম। যেহেতু এটা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তাই এইরূপ বিশ্বাস বিদ্রোহমূলক। এই পৃথিবীর জিনিস যত দামী এবং মূল্যবান হোক না কেন তার কোন কিছুই কখনও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। ঈশ্বরের কাছে এই জগতের ধাতব বস্তু আনা কখনই ঠিক নয়, যা ঈশ্বর কৰ্ত্তক নির্দেশিত হবেত পারে না। পার্থিব দিক দিয়ে সেগুলো যত মূল্যবান হোক না কেন, ঈশ্বর এরূপ ধাতব জিনিস গ্রহণ করেন না। ঈশ্বর যে বিশ্বাস প্রত্যাশা করেন, আমাদেরকে অবশ্যই সেই বিশ্বাস থাকতে হবে এবং এই বিশ্বাসই তাকে প্রদান করতে হবে।
আমাদের আস্থা এমন হবে, যা ঈশ্বরের বাক্য বিশ্বাস করে, ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে যে উপহার প্রত্যাশা করেন তা তাঁকে প্রদান করতে হবে। ঈশ্বর আমাদের জন্য যা করেছেন তা সমস্ত সময়ের প্রত্যেক ক্ষণে আমাদেরকে অবশ্যই অনুধাবণ করতে হবে, এবং আমাদেরকে অবশ্যই নিজেদের দূর্বলতা এবং অক্ষমতাকে স্বীকার করতে হবে। ঈশ্বর আমাদেরকে যে পর্যাপ্ত অনুগ্রহ করেছেন তা অবশ্যই আমাদেরকে স্বরণ করতে হবে, এবং তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন অর্থাৎ স্বেচ্ছায় আমাদের কাছে এসেছিলেন, তা অবশ্যই আমাদেরকে সঠিকভাবে জানতে এবং বিশ্বাস করতে হবে। 
আমাদেরকে অবশ্যই কাল্পনিক বিশ্বাস পরিহার করতে হবে এবং অবশ্যই ঈশ্বর কর্ত্তৃক বলা বাক্যে বিশ্বাস থাকতে হবে। আমরা অবশ্যই এই বিশ্বাসের উপহার ঈশ্বরকে প্রদান করব। শুধু মাত্র যখন আমরা এই সঠিক বিশ্বাসের উপহার তাঁকে প্রদান করি, তখন তিনি সন্তুষ্ট হবেন, আমাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং আমাদের বিশ্বাস গ্রহণ করবেন। আর যখন আমরা এইরূপ করি, ঈশ্বর আমাদের জন্য যে, আশির্বাদ প্রস্তুত করেছেন এবং যা তিনি আমাদের জন্য নিরূপণ করেছেন, সেই আশির্বাদ আমাদেরকে প্রদান করবেন।
 যখন আমরা এই জগতে বাস করি, তখন অবশ্যই আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, “ঈশ্বর বাস্তবিক আমাদের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেন, সেই বিশ্বাস কি? কোন প্রকারের প্রার্থনাই প্রার্থনা, যা তিনি প্রত্যাশা করেন?” তাহলে আমরা বুঝতে পারি যে, ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে যে প্রার্থনা প্রত্যাশা করেন তা বিশ্বাসের প্রার্থনা ভিন্ন অন্য কিছুই নয়। ঈশ্বর প্রদত্ত বিশ্বাস, যে বিশ্বাস নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার সত্যে পরিত্রাণ বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসই আমাদের প্রভু আমদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন। ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে এইসব বিশ্বাসের প্রার্থনা প্রত্যাশা করেন; আমাদের নিজেদের নির্মিত যা কিছু আমরা ঈশ্বরকে দিতে চেষ্টা করি, সেগুলোর কোন কিছুই তিনি কখনই গ্রহণ করবেন না। আমাদের সকলকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আমাদের কখনই এটা করা উচিত নয়।
ঈশ্বর আমাদেরকে বলেছেন, “না, না, আমি যে বিশ্বাস তোমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি, ওটা সেই বিশ্বাস নয়। আমি তোমাদের জন্য বাপ্তাইজিত ও ক্রুশারোপিত হয়েছিলাম। আমি তোমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিতে বাপ্তিস্ত গ্রহণ করেছিলাম। কেননা তোমার পাপের জন্য বিচারিত এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করার পূর্বে এই সমস্ত পাপ আমাকে নিজের উপরে তুলে নিতে হয়েছিল। আমি তোমার ত্রাণকর্ত্তা, কিন্তু অপরিহার্য্যভাবে আমি তোমাদের ঈশ্বর। আমি রাজাদের রাজা, কিন্তু যেহেতু আমি তোমাদের ঈশ্বর, তাই আমি এই জগতে এসেছিলাম এবং সমস্ত কিছুই সাধন করেছি। আমি চাই তুমি আমাকে প্রকৃতভাবে বিশ্বাস করা এবং আমি যে তোমার ঈশ্বর তা স্বীকার কর এবং তোমার হৃদয়ে আমার অধিকারকে জানো।” এই অভিপ্রায়েই ঈশ্বর আমাদেরকে নীল, বেগুনে এবং লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতা প্রদান করেছেন। আর এটাই সেই বিশ্বাস যা ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন।
আমাদেরকে অবশ্যই নীল, বেগুনে এবং লাল সূতার বিশ্বাস থাকতে হবে। আপনি হয়তো নিজে নিজে চিন্তা করছেন, “আমি এখনও জীবন ধারণে সক্ষম। আমি সম্পূর্ণ ঠিক কাজই করে যাচ্ছি বং যা কিছু চলছে তা ভালই চলছে। যদি কিছু না ভাঙ্গে তাহলে সেটার মেরামত কেন হয়? কেন আমাকে ঠিক এই ভাবে বিশ্বাস করতে হবে? আমি এই ভাবে বা ঐভাবে, যেভাবেই বিশ্বাস করি না কেন, সেগুলো কি একই নয়?” সেগুলো একই নয়! এই বিশ্বাস ব্যতিত আপনার হৃদয়ে যদি অন্য কোন বিশ্বাস থাকে তাহলে সত্যই আপনি রক্ষা পান নাই। কেননা এইরূপ হৃদয়ে এখনও পাপ পাওয়া যায়। আপনাকে অবশ্যই আপনার হৃদয় ফিরাতে হবে এবং হৃদয়কে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাসে পরিণত করতে হবে। 
যারা সুসমাচারে বিশ্বাস করে এবং যারা বিশ্বাস করে না, মৌলিকভাবে তাদের হৃদয় একে অপরের থেকে ভিন্ন। আমরা যারা নূতন জন্ম প্রাপ্ত, আমরা এইরূপ করি এবং ঈশ্বর এটা জানেন। আপনি যখন নিজেকে জানবেন, আপনি অবশ্যই ফিরবেন। “ঈশ্বর, বাস্তবিকই আমি পাপী, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে রক্ষা কর।” যখন আপনারা এইভাবে আপনাদের হৃদয় ফিরিয়ে আনেন এবং আপনাদের পরিত্রাণ অনুসন্ধান করেন, তখন ঈশ্বর তাঁর সত্যসহ আপনার সাথে সাক্ষাত করবেন।
 
 

আমাদের প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ হতে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন

 
 আমাদের প্রভু আমাদের জন্য বাপ্তাইজিত এবং ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন। মথি ৩ অধ্যায়ে যেমনটি লেখা রয়েছে, আমাদের জন্য প্রভু 
তা-ই করেছেন। আমরা এটাতে বিশ্বাস করি। আমরা এরজন্য তাঁর ধন্যবাদ করি। যীশু যখন বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, সমস্ত পাপ তাঁর উপরে চলে গিয়েছিল। যেহেতু তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, এই সমস্ত পাপ তিনি যাতে ক্রুশে বহণ করতে পারেন, সেইজন্য তিনি ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন। তিনি শুধু আমাদের নিজেদের পাপের জন্য নয়, কিন্তু সমগ্র পৃথিবীর পাপের জন্য বিচারিত হয়েছিলেন।
যখন আমাদের প্রভু আমাদেরকে সমাগম তাম্বুর জন্য তাঁর কাছে উপাদান উৎসর্গ করতে বলেন, বা যখন তিনি আমাদের যা কিছুই বলেন, তিনি সর্বদা ক্রমানুসারে ধারাবাহিকভাবে করতে বলেন। তিনি সর্বদা আমাদেরকে বলেন, “নীল, বেগুনে এবং লাল সূতা আমার নিকটে আন।” নীল সূতা সর্বদা প্রথমে আসে। আর এটার সাথে তিনি তাঁর পাকান মসীনা সূতা অনুসরণ করে আমাদেরকে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করতে বলেছেন। প্রথমে ক্রুশের রক্তে বিশ্বাস এবং পরে যীশুর বাপ্তিস্ম বিশ্বাস হয়তো প্রথম নজরে সঠিক মনে হতে পারে, কিন্তু বস্তুত এটা ভুল। যেহেতু যীশু প্রথমে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন যাতে ক্রুশে তিনি রক্ত সেচন করতে পারেন। আমি আপনাকে পুনরায় বলছি যে, প্রথমে যীশুর ক্রুশের রক্তে বিশ্বাস এবং পরে তার বাপ্তিস্মে বিশ্বাস কখনই ঠিক নয়। ঈশ্বর এইরূপ বিশ্বাস কখনই অনুমোদন করেন না।
এই পৃথিবীতে এসে আমাদের প্রভু যখন ৩০ বছর বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, তখন আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিতে প্রথমেই বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন। এইরূপ করার পরে, পৃথিবীর এই সমস্ত পাপ তিনি ক্রুশে বহন করেছিলেন, তাঁর ক্রুশারোপনের মাধ্যমে বিচারিত হয়েছিলেন এবং তারপরে পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন, আর এভাবেই আমাদের ত্রাণকৰ্ত্তা হয়েছেন। এইরূপে তাঁর সাধিত কাজ অনুসারে তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন, আমাদেরকে তা অবশ্যই তা বিশ্বাস করতে হবে। এভাবেই আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। একমাত্র তখনই আমাদের বিশ্বাস সন্দিহান বা আন্দোলিত হবে না, কিন্তু পরিপূর্ণ স্থাপন হবে। আর যখন আমরা অন্যদের কাছে সুসমাচার প্রচার করি, আমাদেরকে অবশ্যই এই অনুসারে করতে হবে। অন্যকথায়, ঈশ্বর যাতে সন্তুষ্ট হন এবং তিনি আমাদের জন্য যা নিরূপণ করেছেন, সেটা অনুসারে আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে।
ঈশ্বর তাঁর কাছ আনতে কি উপহার আপনার কাছে প্রত্যাশা করেন? তিনি কি তাঁর কাছ আপনাকে নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার বিশ্বাস আনতে বলেন নাই? আপনার কি এই বিশ্বাস আছে? যে কোন ভাবেই আপনি কি এর বিপরীত বিশ্বাস করছেন? “আমি এই ভাবে কি ঐভাবে বিশ্বাস করি না কেন, সেটা কোন ব্যাপার নয়। আমি যা বিশ্বাস করছি তা এইরূপ। আমি প্রথমে লাল সূতায় বিশ্বাস করি, তারপরে নীল এবং তারপরে বেগুনে সূতায় বিশ্বাস করি।” যদি এই ভাবে আপনি বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে পুনরায় অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। প্রভু কখনই আপনার বিপরীত বিশ্বাস অনুমোদন করবেন না।
 প্রভুই ন্যায়ের ঈশ্বর এবং সত্যের ঈশ্বর। তাই তিনি ভ্রান্ত বিশ্বাস অনুমোদন করেন না। যখন এটার ধারাবাহিকতা এলোমেলো হয়ে যায়, তখন এটা ধার্মিকতার বিশ্বাস হতে পারে না। যদিও তিনি বিশ্বাস প্রত্যাশা করেন, তথাপি এই বিশ্বাস তিনি অনুমোদন করেন না। ঠিক যেমন একটি বাড়ীর তৈরী করা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা এর ভিত্তি বসাতে পারি না, তেমনি যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, যাতে তিনি তারপরে ক্রুশারোপিত হতে পারেন।
প্রভু আমাদেরকে যা বলেছেন সেই অনুসারে আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। এটাই সঠিক বিশ্বাসের নিমিত্ত কোণের প্রস্তর স্থাপন। কেননা ঈশ্বর আমাদেরকে সঠিকভাবে, ন্যায়ভাবে এবং ধার্মিকভাবে রক্ষা করেছেন, তাঁর এই ধারাবাহিকতা আমরা নিজেরা পরিবর্ত্তন করতে পারি না। যদি প্রথমে আমরা ক্রুশীয় রক্তে এবং পরে যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করি, তাহলে সাধারণভাবে এই বিশ্বাস ভ্রান্ত। আর যারা এইরূপ বিশ্বাস করে তাদের হৃদয়ে পাপ রয়ে যায়, তাদের এই বিপরীত বিশ্বাসের কারণে তাদের পাপ ধৌত হয় না। এটা সত্যই বিস্ময়কর। এটা বিস্ময়কর সত্য ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
 মশীহের সাক্ষাতে আমরা হয়তো অনেকেই কেবল যীশুর রক্তে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করেছি, “যীশু শুধু আমার পাপ তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা আমার সকল পাপের বিচার বহন করেছেন। অতএব, আমরা সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছি। যিনি আমাদের জন্য ক্রুশে মরেছেন সেই খ্রীষ্ট থেকে আমাদের পরিত্রাণ এসেছে। যে কেউ এখন এটাতে বিশ্বাস করে, সে রক্ষা পেয়েছে।” তাহলে আমরা যীশুর বাপ্তিস্মের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছি। আমাদের প্রাথমিত ভ্রান্ত বিশ্বাসের উপরে সত্য বিশ্বাস স্থাপন করেছি। তাহলে কি ঘটেছে? প্রকৃতপক্ষে আমাদের পাপ মুছে যায় নাই। কেননা এই ধরণের বিশ্বাস একটি বুদ্ধি প্রসূত বং মতবাদ ভিত্তিক বিশ্বাস, এটা আমাদের হৃদয়ে সত্য বিশ্বাস এবং প্রকৃত বিশ্বাস হতে পারে না।
যদি আপনার বিশ্বাস এরকম হয়, আপনাকে অবশ্যই দ্রুত ফিরতে এবং পরিবর্ত্তিত হতে হবে। সর্বপ্রথমে, আপনাকে স্পষ্টভাবে স্বীকার করতে হবে যে, আপনার বিশ্বাস ঠিক নেই। আর তাহলে আপনাকে এক্ষুনি আপনার বিশ্বাসের ভিত্তিকে নূতনীকরণ করতে হবে। আপনাকে যাকিছু করতে হবে তা হল, আপনাকের পুনরায় ধারাবাহিভাবে বদলাতে হবে। “এই জগতে এসে প্রভু যখন যর্দ্দন নদীতে যোহন বাপ্তাইজক কর্ত্তৃক বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তখন তিনি আমার সমস্ত পাপ তুলেন নিয়েছিলেন। যেহেতু যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তাই পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর উপরে চলে গিয়েছিল, আর যেহেতু পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর উপরে চলে গিয়েছিল, তাই আমার সমস্ত পাপও যীশুতে চলে গিয়েছিল, আর তারপরে আমাদের সমস্ত পাপের মূল্য পরিশোধ করতে তিনি ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন।” এটা এমন বিষয় যাতে আপনার বিশ্বাস করা উচিত।
“আমি এইভাবে কি ওইভাবে বিশ্বাস করি তাতে কার কি? সমস্ত ব্যপার হল যে, আমি প্রভুর এই চার কার্য্যকালে বিশ্বাস করি। কেন এই ধারাবাহিকতার উপরে এত নাছোড়বান্দা এবং এত একগুঁয়ে হতে হবে?” আপনি যে কোন ভাবে এই প্রকার দৃষ্টিভঙ্গি আঁকড়ে ধরে আছেন? তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই সত্য হৃদয়ে গ্রহণ করতে হবে: যীশু বাপ্তাইজিত হওয়ার পরেই কেবল ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন। আর এটাই সত্য যাতে আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে।
 পবিত্র আত্মা কখনই অবিচার অনুমোদন করেন না। শুধুমাত্র যখন আমরা পৃথিবীতে আমাদের জন্য কৃত মশীহের কাৰ্যগুলোতে বিশ্বাস করি, তখন পবিত্র আত্মা ঈশ্বর আমাদের বিশ্বাস অনুমোদন করেন। পবিত্র আত্মা বলেন না, “তুমি যীশুর এই চার কাৰ্যকালে বিশ্বাস কর। আমেন। তুমি সঠিকভাবে কিংবা বিপরীত ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস কর না কেন, এইভাবে বা ওইভাবে বিশ্বাস কর না কেন, সেটা ঠিকই, তুমি শুধু যেকোন উপায়ে বিশ্বাস কর। আমেন। ঠিক আছে তাহলে তুমি আমার সন্তান।” 
পিতা ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে মশীহ এই পৃথিবীতে এসেছিলেনএবং পিতা ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে কাজ করেছেন। এই কারণেই তিনি তাঁর ৩৩ বছরের জীবন এই জগতে যাপন করেছেন। এই পৃথিবীতে এসে বাপ্তাইজিত, ক্ৰুশারোপিত, পুনরুত্থিত এবং তারপরে স্বর্গারোহণের দ্বারা তিনি তাঁর কার্য্যকালের পূর্ণতা সাধন করেছেন। আর তিনি আমাদের কাছে পবিত্র আত্মাকে পাঠিয়েছেন।
 আমরা যারা পাপের মোচন লাভ করেছি, তাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা ঈশ্বর বাস করেন এবং প্রভু তাদের জন্য যা করেছেন তাতে যারা বিশ্বাস করে তিনি তাদের বিশ্বাস অনুমোদন করেন। একারণেই আমরা কখনই নিজেদের চিন্তাভাবনা অনুসারে বিশ্বাস করতে পারি না। আপনি এবং আমি যদিও প্রকৃতভাবে যীশুতে বিশ্বাস করি, আপনি কি কোন ভাবেই বিপরীত ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করেন না? যদি করেন, আপনাকে অবশ্যই পুনরায় সঠিকভাবে বিশ্বাস করতে হবে।
যখন আপনি এরূপ করেন, পবিত্র আত্মা তখন আপনার হৃদয়ে কাজ করেন। যদিও আমরা অপরাধে পূর্ণ, তথাপি পবিত্র আত্মা আমাদের সঙ্গে থাকেন, দৃঢ়ভাবে আমাদেরকে ধরে রাখেন এবং যখন আমরা তাঁর সম্মুখে আসি, তিনি আমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ প্রদান করেন। পবিত্র আত্মা আমাদেরকে ক্ষমতা প্রদান করেন। তিনি আমাদেরকে শাক্তি প্রদান করেন। তিনি আমাদেরকে যন্ত্রনামুক্ত করেন। তিনি আমাদেরকে আলোকময় ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আমরা যারা বিশ্বাস করি, আমরা যাতে তাঁর অনন্ত রাজ্যে প্রবেশের যোগ্যতা না হারাই, সেজন্যে তিনি আমাদেরকে গভীর বিশ্বাসে পরিচালিত করেন।
এটা তাই, যা আমাদের জন্য প্রভুর কৃত কার্য্যসমূহ বিশ্বাস করতে বা যখন তিনি তাঁর কাছে আমাদের বিশ্বাস আনতে বলেন, তখন এটা প্রয়োজন হয় - অর্থাৎ, আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি জল ও আত্মার দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। সমাগম তাম্বুর অভ্যন্তরের সমস্ত আইটেমগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কেননা সেগুলো আমাদেরকে দৃঢ়ভাবে জল ও আত্মায় নূতন জন্ম হওয়ার গোপন বিষয় বলে দেয়। অন্যকথায়, সমাগম তাম্বুর এত বেশী জিনিসের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে একটা বিষয় বলতে চান - তা হল, জল আত্মার সুসমাচার।
 
 
আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি সমালোচনাত্মক
 
শুরুতে যদি আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন ব্যতিরেকে বিশ্বাসের গৃহ নির্মান করি, যতক্ষণ আমরা যীশুতে বিশ্বাস করি, ততবেশী আমরা পাপ বৃদ্ধি করি, আমাদেরকে অবশ্য ততবেশী অনুতাপের প্রার্থনা করতে হয় এবং ততবেশী আমরা ভন্ড পাপীতে পরিণত হই। কিন্তু যখন আমরা পরিত্রাণের অনুগ্রহদানে বিশ্বাস করি, অর্থাৎ, আমাদের প্রভু তাঁর নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতা দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, তাহলে আমরা ঈশ্বরের যথার্থ সন্তান হতে পারি। অতএব, আমাদের সকলকে অবশ্যই নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতায় বিশ্বাস করতে হবে এবং আমাদের সকলকে অবশ্যই এভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে হবে।
 যাদের বিশ্বাসের ভিত্তি সম্পূর্ণ, তাদের নিজেদের যতই দূর্বলতা থাকুক না কেন, তারা সর্বদা উজ্জ্বল আলোতে যাজকত্ব করতে পারে। অন্যকথায়, তারা সকলে এইরূপে যাজকত্বের সমস্ত কর্ম সাধন করতে পারে, যথা পৃথিবীর সকল লোকদের সাথে তারা সত্যিকারভাবে তাদের আন্তরিকতায় আলিঙ্গন করতে পারে, তাদের পাপের জন্য তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারে এবং ঈশ্বরের সাক্ষাতে এই সুসমাচার প্রচার করতে পারে।
বিপরীতে, যাদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্পষ্ট নয়, সময় যত পার হতে থাকে তারা তত বেশী ভন্ডতে পরিণত হয়। তারা ক্রমশ মন্দ হয়। তারা আরও বেশী ভন্ড ধর্মবিদ হয়। আমাদের প্রভু আমাদেরকে যেভাবে বলেছেন যে, একটি গাছকে আমরা এর ফল দ্বারা চিনতে পারি, এরূপে লোকদের উৎপাদিত ফল নিদারুন বিরক্তিকর, অপবিত্র, এবং ভন্ডামীপূর্ণ। যাহোক, আমরা যারা নূতন জন্মপ্রাপ্ত, আমরা মোটেও ভন্ডামীপূর্ণ নই। তারা সত্যবাদী, যদিও তাদের নিজেদের দূর্বলতা আছে, তথাপি তারা সত্যবাদী। তার তাদের নিজেদের দূর্বলতা এবং ভুলগুলো জানে, আর তারা সর্বদা উজ্জ্বল আলোর মধ্যে বাস করে। যেহেতু আমাদের প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিতে বাপ্তাইজিত এবং ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন, এবং যেহেতু এভাবে তিনি বাস্তবিকভাবে আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন, এই সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা আমাদের পাপের মোচন লাভ করেছি। কেননা যদিও আমরা অযোগ্য, যদিও আমরা পাপ করি এবং আমরা দূর্বল তথাপি আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি দৃঢ়, আমাদের হৃদয় পাপহীন তাই এখনও আমাদের হৃদয় উজ্জ্বল। কারণ আমাদের দূর্বলতার কারনে আমরা হয়তো ধংস হতে পারি, কিন্তু যেহেতু আমরা প্রকৃতই পাপহীন তাই আমরা অন্যদেরকে ধংসে পরিচালিত করি না, আর আমাদেরকেও নয়। যদিও আমরা অযোগ্য তৎসত্ত্বেও আমরা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার পথে চলি, ধাপে ধাপে সামনে অগ্রসর হচ্ছি এবং আরও সুসমাচার প্রচার করছি। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে যেহেতু যীশু যথার্থভাবে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।
যদি আমাদের মশীহ, ত্রাণকৰ্ত্তা, যীশু খ্রীষ্ট এভাবে সম্পূর্ণভাবে চার সূতার দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা না করতেন, আমরা কখনও মোটেই রক্ষা পেতাম না। তিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন তাই আমরা রক্ষা পেয়েছি, আর এই কারণে আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা আমরা সুসমাচার প্রচার করি, বিশ্বাস করি এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করি। আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা আমরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি, আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা তাঁর সেবা করি এবং আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা আমরা তাঁকে অনুসরণ করি। বর্তমানে আমরা এমনটিই হয়েছি। অন্যকথায়, আমরা এমন হয়েছি যে আমরা আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করি। আমরা এমন লোক যাদের বিশ্বাসের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপিত।
যাদের বিশ্বাসের ভিত্তি সম্পূর্ণভাবে গাথা নয়, তাদেরকে অবশ্যই পুনরায় এটাকে গাঁথতে হবে। একারণে ইব্রীয় ৬:১-২পদে বলে, “অতএব আইস, আমরা খ্রীষ্টবিষয়ক আদিম কথা পশ্চাৎ ফেলিয়া সিদ্ধির চেষ্টায় অগ্রসর হই; পুনৰ্ব্বার এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, যথা মৃত ক্রিয়া হইতে মনপরিবর্ত্তন, ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস, নানা বাপ্তিস্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতগণের পুনরুত্থান ও অনন্তকালার্থক বিচার।”
এই অনুচ্ছেদ আমাদেরকে কি বলে? এটা আমাদেরকে “যীশু কেন বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন” এরূপ প্রশ্ন স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে জানতে ভিত্তি দৃঢ়ভাবে গাথার কথা বলছে; “এই বাপ্তিস্ম কি পুরাতন নিয়মের হস্তর্পণের প্রতিরূপ?” “আমরা কি আবার জীবিত হব?” এবং “শেষ বিচার কি?” এটা আমাদেরকে একেবারে শুরু থেকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে এবং দৃঢ়ভাবে এর ভিত্তি গাথতে বলছে, যাতে পুনর্বার আমরা আন্দোলিত বা এ সমস্ত বিষয়ের দ্বারা বিশ্বাসের ভিত্তি গাথতে বাধ্য না হই। যে আস্থা নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতায় বিশ্বাস করে, সেটাই পরিপূর্ণ বিশ্বাস যা বিশ্বাস করে যে, প্রভু যথার্থভাবে আমাদের পরিত্রাণ সাধন করেছেন। আমাদেরকে অবশ্যই এই বিশ্বাসের ভিত্তির উপরে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে এবং আমাদেরকে অবশ্যই সেদিকে ধাবিত হতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাসের ধাবন ক্ষেত্রে দৌড়াতে হবে।
 কেউ কেউ উপরের অংশটি হিব্রু থেকে এইভাবে ভাষান্তর করে যে, আমরা আবার বলতে পারি না যে, তার বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশুর উপরে আমাদের সমস্ত পাপ অর্পিত হয়েছে; এবং এই অংশে এইজন্য বলা হচ্ছে যে, আমাদের বিশ্বাসের ভিত আবার তৈরী করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রথমেই যথার্থভাবে বিশ্বাসের ভিত স্থাপিত হলে, ঈশ্বর তা পুনস্থাপন করতে বলতেন না। এই অনুচ্ছেদ আমাদেরকে বলছে যে, যাদের বিশ্বাসের ভিত যথার্থ নয়, তাদেরকে আবার সেই ভিত স্থাপন করতে হবে; এবং যারা যথার্থভাবে তাদের বিশ্বাসের ভিত স্থাপন। করেছে, তাদেরকে সেই ভিত আরো দৃঢ় ও মজবুত করতে হবে এবং সেইভাবে অগ্রসর হতে হবে।
আমাদেরকে উদ্ধার করার উদ্দেশেই ঈশ্বর মোশিকে সমাগম তাম্বু তৈরী করে সেখানে তাঁর প্রজাদের উপহার গ্রাহ্য করতে আজ্ঞা দিলেন। ইস্রায়েলদেরকে তিনি স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তল আনার জন্য আজ্ঞা দিলেন; নীল, বেগুণে ও লাল সূতা এবং মিহি মসিনা, এবং ছাগের লোম, রক্তীকৃত মেষের চামড়া, তহশ চর্ম, এবং শিটিম কাঠ আনতে বলেছিলেন। এই সকল দ্রব্যের মাধ্যমে আমাদের প্রভু আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করার উদ্দেশে প্রকৃতপক্ষেই পরিত্রাণের অনুগ্রহ দান করেছেন। এইভাবে, ঈশ্বর আসলেই ইস্রায়েলীয়দেরকে উপহার আনার আদেশ দিয়েছিলেন; সমাগম তাম্বু নির্মাণ করতে বলেছিলেন, বলিদান প্রথা দিয়েছিলেন; এবং যারা ঈশ্বর-দত্ত বলিদানপ্রথার বিধি অনুযায়ী তাদের বলি উৎসর্গ করেছিল, ঈশ্বর সেইসব ইস্রায়েলীদের সমস্ত পাপ ক্সমা করেছিলেন।
 
 
নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার বিশ্বাসের দ্বারাই আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস গঠিত হয়, যা আমাদের কাছে ভবিষ্যতকৃত যীশু খ্ৰীষ্ট কর্ত্তৃক সাধিত আমাদের পরিত্রাণ
 
যীশু খ্রীষ্ট কর্ত্তৃক সাধিত যথার্থ সত্যে আমরা যদি বিশ্বাস করতে সমর্থ হই, এক্ষুণি যদি দৃঢ়ভাবে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি না গাথি, তাহলে অবিরত আমাদের বিশ্বাস আন্দোলিত হতে থাকেবে। জ্ঞান, উপলব্ধি এবং প্রভু যে আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করেছেন, তাতে বিশ্বাস ব্যতিরেকে আমরা নিজেদের প্রচেষ্টায় সকলেই পরিত্রাণ পর্যন্ত পৌঁছাতে চেষ্টা করি। এরূপ বিশ্বাস সম্পূর্ণ নয় কিন্তু ভ্রান্ত।
 আসুন আমরা ইব্রীয় ১০:২৬-৩১পদে ফিরে যাই, “কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পাইলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছাপূর্বক পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোন যজ্ঞ অবশিষ্ট থাকে না, কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং বিপক্ষ দিগকে গ্রাস করিতে উদ্যত অগ্নির চন্ডতা। কেহ মোশীর ব্যবস্থা অমান্য করিলে সে দুই বা তিন সাক্ষীর প্রমাণে বিনা করুনায় হত হয়; ভাবিয়া দেখ, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের পুত্রকে পদতলে দলিত করিয়াছে, এবং নিয়মের যে রক্ত দ্বারা সে পবিত্ৰীকৃত হইয়াছিল, তা সামান্য জ্ঞান করিয়াছে এবং অনুগ্রহের আত্মার অপমান করিয়াছে, সে কত অধিক নিশ্চয় ঘোরতর দন্ডের যোগ্য না হইবে। কেননা এই কথা যিনি বলিয়াছেন, তাঁহাকে আমরা জানি “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব:” আবার, “প্রভু আপান প্রজাবৃন্দের বিচার করিবেন।” জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়।”
এই অনুচ্ছেদ আমাদেরকে বলে যে, সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পাওয়ার পরে যদি আমরা স্বেচ্ছায় পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোন যজ্ঞ অবশিষ্ট থাকে না, কিন্তু থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা। এখানে, সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পাইলেও স্বেচ্ছায় যে পাপ করে বলতে বোঝানো হচ্ছে যে, জল ও আত্মার সুসমাচার জানা সত্ত্বেও যারা এটা বিশ্বাস না করে। আমরা অবশ্যই সত্যে বিশ্বাস করব যে, ঈশ্বর নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতা দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, বিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি স্বর্ণ, রৌপ্য এবং পিত্তল দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং ছাগের লোম, রক্তীকৃত মেষ চর্ম, তহশের চর্ম এবং নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার তৈরী সমাগম তাম্বুর ছাদের সত্যে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের সকলকে অবশ্যই এই বিষয় স্পষ্টভাবে জানতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসের ভিত্তি গাথতে হবে।
আমাদের প্রভু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি সম্পূর্ণভাবে আমাদেরকে রক্ষা করবেন, আর যখন সময় এসেছিল তিনি আমার পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়ে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশে মরেছিলেন, এবং আবার মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন এবং প্রকৃতপক্ষে এভাবেই আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করেছেন। অতএব, আমরা এই যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসের দ্বারা যথার্থভাবে রক্ষা পেয়েছি, যিনি আমাদের পূর্ণ পরিত্রাণের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
কিন্তু যারা এই সত্য জানে এবং এখনও এটা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে, যখন তাদের বিচারের দিন আসবে, তখন তারা ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর দন্ডের সম্মুখীন হবে। তাদের দেহের মৃত্যু হবে না কিন্তু অনন্ত যাতনাগ্রস্থ হবে। বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, তাদের নিমিত্ত শুধু অগ্নিময় ক্রোধ, এবং তাদের নরকের যন্ত্রনা এত ভয়ঙ্কর যে, এটাকে অগ্নির কাল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে (মার্ক ৯:৪৯)। এটা আমাদেরকে বলে যে, কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং বিপক্ষদিগকে গ্রাস করিতে উদ্যত অগ্নির চন্ডতা।
যখন ব্যবস্থা পালনে ব্যর্থতা ভয়ঙ্কর বিচারে চালিত করে, তখন ঈশ্বরের পুত্রের দেয়া তাদের পরিত্রাণ যারা বিশ্বাস না করে, তাদের নিমিত্ত কত মহা বিচার হবে? একারণেই আমাদেরকে অবশ্যই যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্ত্তারূপে বিশ্বাস করতে হবে এবং যিনি মানুষের দেহে এই জগতে এসেছিলেন, যিনি তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, যিনি পৃথিবীর এই সমস্ত পাপ ক্রুশে বহন করেছিলেন এবং তাঁর ক্রুশারোপনের দ্বারা সমস্ত পাপের দন্ড বহন করেছিলেন, যিনি মৃত্যু থেকে পুনরায় উঠেছিলেন এবং এখনও যিনি জীবন্ত, সেই প্রভুকে আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে।
 
 
একারণে অবশ্যই আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে দৃঢ়রূপে গাথতে হবে
 
কেন ঈশ্বর মোশীকে সমাগম তাম্বু তৈরী করতে বলেছিলেন? যখন আমরা সমাগম তাম্বুতে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি উপকরণের দিকে তাকাই, আমরা দেখতে পাই যে, সেগুলো সমস্ত এই সত্যের প্রতীক যে, যীশু খ্রীষ্ট মানবদেহে এই জগতে এসেছিলেন, যোহন বাপ্তাইজক কর্ত্তৃক বাপ্তিসস্ম গ্রহণের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, পৃথিবীর এই পাপ সমুহ ক্রুশে বহন করেছেন এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছেন, স্বর্গারোহণ করেছেন এবং পিতা ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হয়েছেন, এবং আমাদের অনন্তকালের ঈশ্বর হয়েছেন। দ্বার থেকে এর স্তম্ভ পর্যন্ত এবং সেগুলোর পিত্তলের হাড়িগুলি, সমাগম তাম্বুর সমস্ত আইটেমই আমাদের সুসমাচারের সত্য প্রদর্শন করছে। অন্যকথায়, সম্পূর্ণ পুরাতন নিয়ম আমাদেরকে যীশুর বাপ্তিস্ম, তার বলি, তাঁর পরিচয় এবং তাঁর পরিত্রাণের কাজ সম্পর্কে বলছে।
পুরাতন নিয়ম থেকে নূতন নিয়ম পর্যন্ত, যেহেতু যীশু আমাদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচারের কথা বলেছেন - অর্থাৎ নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার সুসমাচার – তাই যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে, তারা যখনই সুযোগ পায় সর্বদা নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার সত্যের কথা বলে। কেননা সেগুলো এত বেশী প্রচারিত এবং শোনা হয়েছে যে, কোন কোন সময় আমরা হয়তো ভুলে যাই যে, এই সত্য কত মূল্যবান কিন্তু এই সত্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? যেন আমরা শলোমন রাজার রাজ্যে বাস করছি, তখন মূল্যবান সোনা এবং রূপার এত আধিক্য ছিল যে, সেগুলো পাথরের ন্যায় গণ্য হত, কেননা ঈশ্বরের মন্ডলীতে এই সত্য বাক্য শুনি, আমরা হয়তো কোন এক সময় এই পরিত্রাণ গ্রহণ করি। কিন্তু আপনাকে স্বরণে রাখতে হবে যে: এই সত্য ঈশ্বরের মন্ডলীর বাইরে কোন স্থানে শোনা যায় না এবং এই পরিত্রাণ পরিত্রাণ ব্যতিরেকে কেউ রক্ষা পেতে পারে না কিংবা কঠিনভাবে বিশ্বাসের ভিত্তি গাথতে পারে না।
যে সত্য ঘটনায় বিশ্বাস করে আমি এবং আপনি রক্ষা পেয়েছি, তাহল প্রভু সম্পূর্ণরূপে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং চার সূতা নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকন মিহি মসীনার সূতা দ্বারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। আমাকের আর একবার পুনরাবৃত্তি করতে দিন যে, আমাদেরকে অবশ্যই এটা আমাদের সকলের হৃদয়ে বিশ্বাস করতে হবে। ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ঠিক যেমন তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তেমনি নারীর বীজরূপে এই জগতে এসেছিলেন (আদি পুস্তক ৩:১৫), তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, পাপের সমস্ত শাস্তি তিনি ক্রুশে বহন করেছিলেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন এবং এভাবে যথার্থভাবে আমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন। কেননা এটা এমন সাধারণ সত্য যে, তা প্রচার করা এবং বোঝা খুবই সোজা এবং আমরা প্রতিদিনই এই সুসমাচার সমগ্র বিশ্বে প্রচার করতে পারি। অবশ্যই এখনও অনেক দুর্ভাগা রয়েছে, যারা এই সত্য জানে না। যাহোক, যারা ঈশ্বরের মন্ডলীতে থাকা অবস্থায় এই সত্য জানে না এবং বিশ্বাস করে না, তারা আরও বেশী দুর্ভাগা।
এমনকি যদিও আপনারা প্রকৃতই আপনাদের পাপের মোচন লাভ করেছেন, তথাপি আপনাদের চিন্তা চেতনাগুলো হয়তো এখনও মন্দ, কিন্তু আপনাদের হৃদয়টা অন্ততপক্ষে নম্র। কিন্তু যারা ভন্ড, যাদের হৃদয় নম্র নয়, যদিও তারা নম্ররূপে নিজেদের বাহ্যি চেহার পেইন্ট করতে চেষ্টা করে, তাদের ভিতরের সত্ত্বা এত মন্দ যে, তারা ঈশ্বরকে প্রতারিত করতে থাকে এবং অসংখ্য লোক প্রতিদিন এটা করে। আপনাকে এবং আমাকে অবশ্যই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসের ভিত্তি গাথতে হবে। আর ঈশ্বর আমাদের জন্য দৃঢ়ভাবে যে পরিত্রাণ স্থাপন করেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই তাতে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াতে হবে।
 
 
যে বিশ্বাস সমাগম তাম্বুর গঠনকারীর ন্যায় দৃঢ়ভাবে স্থাপিত
 
ঈশ্বর আমাদেরকে এইরূপ উপহার আনতে ও তাঁর সমাগম তাম্বু নির্মাণ করতে বলেছিলেন। আপানাকে এবং আমাকে অবশ্যই বিশ্বাসের লোক হতে হবে, যারা বিশ্বাস করে যে, যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এই এইরকম আত্মিকভাবে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। আমাদেরকে অবশ্যই সমাগম তাম্বুতে ব্যবহৃত নির্মাণের উপকরণের ন্যায় বিশ্বাস রাখার দ্বারা ঈশ্বরের সম্মুখে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। আপনি কি বিশ্বাস করেন? আপনার কি এই প্রকারের বিশ্বাস আছে? ঈশ্বরের মন্ডলীর দ্বারা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারিত হয়েই যাচ্ছে। কারণ এটা সত্য বিশ্বাসের প্রাথমিক ভিত্তি। আমি এটা বেশী জোর দিয়ে বলতে পারি না।
যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে বহন করেছেন, এই সত্য পৃথিবীর বহু মন্ডলী এবং ধর্মসম্প্রদায় এখনও জানে না, পরিবর্ত্তে তারা শুধু যীশুর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে। এমনকি এই অবস্থার মধ্যেও আমাদের প্রভু আমাদেরকে সত্য অনুসন্ধান করতে সাহায্য করেছেন। যেহেতু যীশু যোহন বাপ্তাইজক কর্ত্তৃক যর্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, সেই কারণে ক্রুশে যীশুকে পেরেক বিদ্ধ হতে হয়েছিল। এর কারণ ছিল তিনি তার বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, আর সেজন্য তিনি ক্রুশারোপিত এবং বিদ্ধ হয়েছিলেন।
এইরূপে যারা দাবী করে যে, শুধু ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের দ্বারা তারা পাপের মোচন লাভ করেছে, তাদের বিশ্বাস ভ্রান্ত, তারা যতই ভক্তিনিষ্ঠ হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তা সমস্ত ভেঙ্গে চুর্ণ হয়ে যায়। তারা জনতার ভিড়ে ক্লান্তিহীনভাবে যতই উচ্চৈঃস্বরে যীশুতে বিশ্বাস করতে প্রচার করুক না কেন, তাদের ক্রুশীয় রক্তের বিশ্বাস শুধু অনুতাপের প্রার্থনা উৎসর্গ করে, এমনকি নিজেদের পাপ সমস্যার সমাধানও করতে পারে না, তাদের বিশ্বাস দূবল ভিত্তির উপরে স্থাপিত, যখন বৃষ্টি নামবে, বাতাস বইবে, এবং বন্যা আসবে তখন স্বাভাবিকভাবে তা ভেঙ্গে যাবে।
১০ বছরেরও আগে থেকে যখন আমি যীশুতে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম, আমি নিজেও যীশুর বাপ্তিস্মের কোন বর্ণনা শুনি নাই। যাহোক, ঈশ্বর তাঁর সত্যসহ আমার কাছে এসেছেন, আর আমি জল ও আত্মায় নূতন জন্ম পেয়েছি। বর্তমানে আমি জানি যে, সমগ্র পৃথিবীতে বহু লোক আছে, যারা সত্য অনুসন্ধান করছে, কিন্তু তারা আদৌ সত্যে পৌছায় নাই। আমি তাদের সকলের কাছে বলতে চাই যাতে তারা জল ও আত্মার সত্য শোনে এবং যাতে তারা এটা হৃদয়ে বিশ্বাসের দ্বারা তাদের পাপ মোচন লাভ করে।
আপনার নূতন জন্ম হওয়ার পূর্বে আপনিও হয়তো আপনার ধর্মীয় জীবন যাপন করেছেন। সেই সময় হয়তো আপনি নীল, বেগুনে, লাল, এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার কথা শোনেন নাই। শুধু তাই নয় আপনি সম্ভবত জল ও আত্মার সুসমাচারের কথাও শোনেন নাই, তথা যীশু যখন বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন তখন আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পিত হয়েছিল, তাও শোনেন নাই।
নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার সত্য জানা এবং বিশ্বাস করা খ্রীষ্টিয়ানের জন্য বিশ্লেষনাত্মক গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র যখন নীল, বেগুনে, লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতা দ্বারা বিশ্বাসের ভিত্তি গাথা হয়, তখনই আমরা সকলে আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা দৃঢ়ভাবে এবং শক্তভাবে দাঁড়াতে পারি। যখনই আপনি এভাবে বিশ্বাস করেন, তখনই আপনি সম্পূর্ণভাবে রক্ষা পান, দৃঢ়ভাবে আপনার বিশ্বাসের ভিত্তি গাথেন এবং এই ভিত্তির উপরে আপনার বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করেন।
 
 
যারা ঈশ্বরের মন্ডলীভুক্ত, তাদেরকেও অবশ্যই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসের ভিত্তি গাথতে হবে
 
মথি ২৪:৪০ পদ বলে, “তখন দুই জন ক্ষেত্রে থাকিবে, একজনকে লওয়া যাইবে এবং অন্যজনকে ছাড়িয়া যাওয়া হইবে।” যখন আমরা সকলে একই সত্য স্বীকার করে বিশ্বাস করছি এবং সকলে একত্রে ঈশ্বরের মন্ডলীতে একই সুসমাচার পালন করছি, সেখানে কেউ যদি পিছনে থেকে যায়, তাহলে এর চেয়ে হৃদয় বিদারক আর বেশী কি হতে পারে?
 কেননা ঈশ্বরের বাক্য বিজ্ঞতাপূর্ণ এবং নম্র, বল প্রয়োগের দ্বারা কাউকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা যায় না। যখন এভাবে নম্রভাবে আপনার কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করা হয়, আপনাকে অবশ্যই পরিস্কার মনে এটা বিশ্বাস করতে হবে, এই ব্যপারে মনকে কেন্দ্রিভুত করতে হবে যে, বস্তুত আপনি ঈশ্বরের বাক্য শুনছেন। তেমনি ঈশ্বরের বাক্য যা বলে, যখন আপনাকে তা বলা হয়, বাস্তবিক আপনার নিজেকে দেখা প্রয়োজন যে, আপনি ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে বিশ্বাস করছেন কি না। ঠান্ডা মাথায় আপনার ঈশ্বরের বাক্য পর্যালোচনা করা প্রয়োজন, এটা প্রকৃতই আপনাকে যা বলছে অতঃপর সেটা বিশ্বাস করুন।
বাইবেল রিয়ার বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের বাক্যের উপরে তাদের পরিস্কার মনের দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলছে। বিরয়ার বিশ্বাসীদের মধ্যে,“থিষলনীকীর যিহুদীদের অপেক্ষা ইহা ভদ্র ছিল, কেননা ইহারা সম্পূর্ণ আগ্রহপূর্বক বাক্য গ্রহণ করিল, আর এই সকল বাস্তবিকই এইরূপ কিনা, তাহা জানিবার জন্য প্রতিদিনই শাস্ত্র পরীক্ষা করিতে লাগিল” (প্রেরিত ১৭:১১)। সংক্ষেপে, তারা যেভাবে শিক্ষা পেয়েছিল, তেমনি যুক্তিসংগতভাবে ঈশ্বরের বাক্য বিশ্বাস করেছিল।
বিজ্ঞতাপূর্ণ এবং পরিস্কার হৃদয় হতে সত্য বিশ্বাস আসে, যে বিশ্বাস বাক্যের অনুসন্ধান করে। এটা কি আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনাকে বিশ্বাস করতে বল প্রয়োগ করে? যদি একজন অন্যজনকে বিশ্বাস করতে বল প্রয়োগ করে তাহলে এটা আসলে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর, কেউ যদি এভাবে বল প্রয়োগ প্রাপ্ত হয় তাহলে যে বল প্রয়োগ করছে সে তাকে যা বলছে তা সে প্রয়োজনীয়ভাবে বিশ্বাস করবে না। ঈশ্বরের সম্মুখে একজনের স্বাধীন ইচ্ছার উপরেই সমস্ত বিশ্বাস নির্ভর করে। কাউকে বারংবার একই ঘটনা বলার পরেও যদি সে বিশ্বাস না করে, তার জন্য আর কোন পথ থাকে না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ব্যক্তি নরকে যাবে।
 অতএব, পৃথিবীর সমস্ত পাপীদের জন্য আমাদের সমবেদনা রয়েছে, কিন্তু সকলে ঈশ্বরের মন্ডলীর একই ছাদের নীচে থেকেও আমাদের মধ্যে যারা তাঁর বাক্য বিশ্বাস করে না, তারা আরও বেশী জঘন্য। এমনকি যারা আমাদের সাথে স্বশরীরে একই ঈশ্বরের মন্ডলীতে এখনও আছে, আমাদের মধ্যে তারা যদি নরকে যায়, তাহলে সেটা কত বেদনাদায়ক?
যীশুর বার জন শিষ্য ছিল, আর তাদের মধ্যে একমাত্র যিহুদাই বিশ্বাস করে নাই যে, যীশুই ছিলেন সেই মশীহ এবং ত্রাণকর্ত্তা। তাই যিহুদা সর্বদা যীশুকে গুরু বলে ডাকত। সময় সময় পিতরও যীশুকে গুরু বলে ডাকত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে বিশ্বাস করেছিল এবং স্বীকার করেছিল, “প্রভু, আপনিই সেই খ্রীষ্ট এবং ঈশ্বরের পুত্র এবং ত্রাণকৰ্ত্ত, যিনি আমার পাপ মুছে দিয়েছেন। আপনিই পরিত্রাণের ঈশ্বর।” 
অন্যকথায়, যিহুদার থেকে পিতরের বিশ্বাস ভিন্ন ছিল। যিহুদা যীশুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাকে বিক্রি করে দেয়ার পরে নিজে নিজে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিল। যদিও যিহুদা অন্য বারজন শিষ্যের সাথে ছিল, তথাপি যীশু যে কে, তা চিনতে সে ব্যর্থ হয়েছিল, এবং এভাবে শেষ পর্যন্ত সে নরকগামী হয়েছে। বিপরীতে, অনেক দূবলতার একজন ধৈৰ্যহীন মানুষ হওয়া সত্ত্বেও যীশুকে চেনার দ্বারা এবং তাঁকে তার ত্রাণকর্ত্তার হিসাবে বিশ্বাস করার দ্বারা সে রক্ষা পেয়েছিল।
তেমনি কেউ হৃদয়ে সত্য জানে এবং বিশ্বাস করে কি না, এটার উপরেই তার (নারী/পুরুষ) পরিত্রাণ নির্ভর করে। কেউ যদি এই সত্য না জানে তাহলে সে বিশ্বাস করতে পারে না। যাহোক, জেনেও যদি লোকেরা এই সত্য বিশ্বাস না করে, তারা ভয়ঙ্কর শাস্তির সম্মুখীন হবে (লূক ১২:৪৮)। একারণে ঈশ্বর আমাদেরকে বলছেন যে, আমাদের বিশ্বাস অবশ্যই দৃঢ় এবং ন্যায় পরায়ন হতে হব।
 
 
আমাদের বিশ্বাস কেমন?
 
বর্তমানে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি কি শক্তিশালী? এটা কি দৃঢ়? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, প্রভু আপনাকে নিশ্চিতভাবে রক্ষা করেছেন? জল ও আত্মার মধ্য দিয়ে প্রভু বাস্তবিকই আমাদেরকে নিশ্চিতভাবে রক্ষা করেছেন। আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যে শিক্ষা দিচ্ছে, তা আমাদের নিজস্ব কিছু নয়, কিন্তু এটা তাই, যা ঈশ্বর পুরাতন নিয়মে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং যা যীশু বাস্তবিক নূতন নিয়মে সাধন করেছিলেন - অর্থাৎ, বাস্তবিক কিভাবে খ্রীষ্ট আমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন।
যীশুই রাজাদের রাজা (বেগুনে সূতা), যিনি মানবদেহে এই জগতে এসেছিলেন, তাঁর বাপ্তিস্মের (নীল সূতা) মধ্য দিয়ে পৃথিবীর পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, এই পাপ সমুহ ক্রুশে বহন করেছিলেন, এবং ক্রুশারোপিত (লাল সূতা) হয়েছিলেন, আবার মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন, আর এভাবে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। তিনি যে এইরূপ করবেন, সেটা তিনি পুরাতন নিয়মে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং বাস্তবিক নূতন নিয়মে এই প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা সাধনের দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন? এটা বিশ্বাসের কঠিন ভিত্তির গাথুননি ছাড়া অন্য কিছু নয়।
সমগ্র বিশ্বের একশ মিলিয়ন খ্রীষ্টান রয়েছে এবং তাদের অধিকাংশের বিশ্বাসের ভিওি নশ্বর। আমরা খুঁজে বের করতে পারি যে, যে সমস্ত খ্রীষ্টিয় বই গুলো পাওয়া যায়, লোকেরা সেগুলো ব্রাউজিংয়ের দ্বারা সঠিক বিশ্বাস করছে কি না। এই বইয়ের লেখকেরা হলেন খ্রীষ্টিয়ান সমাজের নেতাগণ, আর এই বই পড়ার দ্বারা আমরা খুঁজে বের করতে পারি যে, সত্যের সঠিক জ্ঞান তাদের আছে কি না। যদি এই নেতাদের কেউ জেনেও এই সত্য অগ্রাহ্য করে বা বিশ্বাস না করে, তাহলে এইরূপ নেতাদের প্রত্যেকে নরকে যেহে বাধ্য। দুঃখের বিষয় হল যে, এক মিলিয়নের মধ্যে মোটে কতিপয় লোক আছে, যারা কঠোরভাবে এই সত্য জানে। এই জন্য আমরা যারা এই সত্য জানি, আমাদেরকে সারা বিশ্বে বিশ্বস্তভাবে সুসমাচার প্রচার করতে হবে। 
ঈশ্বর আমাদের মধ্য দিয়ে কাজ করছেন। আপনি এবং আমি সুসমাচার প্রচার না করে পারি না, সারা পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার না করা ঈশ্বরের সম্মুখে মহা পাপের সামিল। আমরা জানি এই পাপ মানুষকে নরকে পাঠায়, আমরা এটাকে বন্ধ করতে পারি; যারা এই সত্য জানে এবং তাদের মুখ বন্ধ করে রাখে, এই পাপের কারণে তারা নরকে যাবে, এটা একটা ক্ষমার অযোগ্য পাপ।
আমাদিগেতে নিরূপিত কাৰ্য্য যদি আমরা সাধন না করি, তাহলে লোকেরা আমাদের বিরোধিতা করবে, যেহেতু আমাদের নির্দেশিত কাজ। বাইবেল আমাদেরকে সতর্ক করে বলছে, “কিন্তু সেই প্রহরী খড়গ আসিতে দেখিলে যদি তুরী না বাজায় এবং লোকদিগকে সচেতন করা না হয়, আর যদি খড়গ উপস্থিত হয় ও তাহাদের মধ্যে কোন প্রাণীকে সংহার করে, তবে তাহার অপরাধ প্রযুক্ত তাহার সংহার হইবে, কিন্তু আমি সেই প্রহরীর হস্ত হইতে তাহার রক্তের প্রতিশোধ লইব” (যিহিস্কেল ৩৩:৬)। আমরা যারা প্রথমে জেনেছি এবং বিশ্বাস করেছি, আমাদেরকে অবশ্যই প্রহরীর এই কাজ পালন করতে হবে।
আমি প্রভুর ধন্যবাদ করি যে, এই সত্য জানা এবং বোঝার জন্য প্রভু আমাদেরকে এই সুসমাচার দিয়েছেন। এমনকি যখন আমি তাঁর বিষয় আরও বেশী চিন্তা করি, আমি বুঝতে পারি যে, এই পৃথিবীর সংখ্যকের মধ্যে আমরাই সেই প্রীতির পাত্র যারা সুসমাচারের সত্য জানি ও বিশ্বাস করি। সমগ্র পৃথিবীর অনেক পালক ও সাধারণ বিশ্বাসীদের মধ্যে জল ও আত্মার সুসামাচার প্রচার করতে আমাদের প্রচারক রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত যে, এমন কেউ নেই যারা পূর্বে প্রকৃতভাবে এই সুসমাচার জেনেছে ও বিশ্বাস করেছে। জল ও আআর সত্য সুসমাচারের প্রচারকগণ সমগ্র পৃথিবীতে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন আমাদের, তেমনি তাদেরও বিশ্বাসের প্রকৃত ভিতি রয়েছে, আর তারা এই প্রকৃত বিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে।
যদি এইরূপ বহু লোক থাকত, যারা সুসমাচার প্রচার করছে, তাহলে একটু স্বাচ্ছন্দে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতাম এবং আমাদের সুসমাচার প্রচারে একটু ক্ষান্ত দিতাম, কিন্তু, দুঃখের বিষয়, এই পৃথিবীতে এখনও অনেত লোক নেই যারা এই সত্য জানে এবং বিশ্বাস করে। পৃথিবীর ইতিহাসে বহু লোক সংস্কার সাধনের উপরে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। যখন বিস্তারিতভাবে আমরা এটার পরীক্ষা করি, আমরা খুঁজে পাই যে, সংস্কারের সময়ে সংস্কারকারীরা বাইবেল ভিত্তিক সত্যের বোতামকে ভুল স্থানে স্থাপন করেছিলেন, আর এই অনুসারে যা কিছু ছিল সেগুলোও ভুল স্থানে স্থাপিত হয়েছিল। এই পরবর্ত্তী ভুলগুলো সঠিক করা সত্ত্বেও প্রথম বোতামটি ভুল স্থানে রয়ে গেছে, এটাতে এখনও ত্রুটি রয়ে গেছে; এইরূপে খ্রীষ্টানদের ইতিহাস অবশ্যই পুনরায় লিখতে হবে।
আমার প্রত্যাশা এবং প্রার্থনা এই যে, আপনারা সকলে আপনাদের প্রকৃত বিশ্বাসের ভিত্তির উপর ভর করে প্রভুর সম্মুখে দাঁড়াবেন, আর এটায় বিশ্বাসের ভিত্তিতে সুসমাচারের সত্য অন্বেষণে জীবন যাপন করবে। আপনি যখন সুসমাচারের নিমিত্ত জীবন যাপন করবেন, তখন আপনার হৃদয় প্রকৃত আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। যখন কেউ সুসমাচারের নিমিত্ত জীবন যাপন করে, তখন তার (পুরুষ/স্ত্রী) হৃদয় আত্মিক হৃদয়ে পরিবর্ত্তিত হয়। আর পবিত্র আত্মায় আপনার হৃদয় পূর্ণ হয়, এবং সেখানে কাজ করে, আর তারা আনন্দে উপচে পড়ে।
যেভাবে আপনি পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন এবং জল ও আত্মার সুসমাচার জেনেছেন, আপনি যদি সুসমাচারে জীবন যাপন না করেন, বরং কেবল মাংসিক বিষয়ের আকাঙ্খা করেন; তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনি অর্থহীন শূন্য জীবন করবেন।
আমাদের বহু মূল্যবান সুসমাচার এবং বিনামূল্যে পরিত্রাণ দান করার জন্য আমি প্রভুকে ধ্যন বাদ দেই। এটা আমার প্রার্থনা ও প্রত্যাশা যে, আপনার সকলে আর একবার আপনাদের বিশ্বাস পরীক্ষা করে দেখুন, এবং নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকান মিহি মসীনা সূতার মধ্য দিয়ে প্রকৃত পরিত্রাণ গ্রহণ করুন।