• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ৮: পবিত্র আত্মা

[8-5] আপনি কি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছুক? (১ যোহন ১ : ১-১০)

আপনি কি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছুক?
< ১ যোহন ১ : ১-১০ >
“যাহা আদি হইতে ছিল, যাহা আমরা শুনেছি, যাহা স্বচক্ষে দেখিয়াছি, যাহা নিরক্ষণ করিয়াছি এবং সহস্তে স্পর্শ করিয়াছি, জীবনের সেই বাক্যের বিষয় (লিখিতেছি) – আর সেই জীবন প্রকাশিত হইয়াছেন, এবং আমরা দেখিয়াছি, ও সাক্ষ্য দিতেছি; যিনি পিতার কাছে ছিলেন ও আমাদের কাছে প্রকাশিত হইলেন, সেই অনন্ত জীবন স্বরূপের সংবাদ তোমাদিগকে দিতেছি, আমরা যাহা দেখিয়াছি ও শুনিয়াছি তাহার সংবাদ তোমাদিগকেও দিতেছি, যেন তোমাদের সহিত যেন তোমাদের ও সহভাগিতা হয়। আর আমাদের যে সহভাগিতা, তাহা পিতার এবং তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সহিত। আমাদের আনন্দ যেন সম্পূর্ণ হয়, এই জন্য এই সকল লিখিতেছি।
 আমরা যে বার্তা তাঁহার কাছে শুনিয়া তোমাদিগকে জানাইতেছি, তাহা এই, ঈশ্বর জ্যোতি, এবং তাঁহার মধ্যে অন্ধকারের লেশমাত্র নেই। আমরা যদি বলি যে, তাঁহার সহিত আমাদের সহভাগিতা আছে, আর যদি অন্ধকারে চলি, তবে মিথ্যা বলি, সত্য আচরণ করি না। কিন্তু তিনি যেমন জ্যোতিতে আছেন, আমরাও যদি তেমনি জ্যোতিতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগিতা আছে এবং তাঁহার পুত্র যীশুর রক্ত আমাদিগকে সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে। আমরা যদি বলি যে আমাদের পাপ নাই, তবে আপনারা আপনাদিগকে ভুলাই, এবং সত্য আমাদের অন্তরে নাই। যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্থ ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্ম্মিকতা হইতে শুচি করিবেন। যদি আমরা বলি যে, পাপ করি নাই, তবে তাহাকে মিথ্যাবাদী করি, এবং তাঁহার বাক্য আমাদের অন্তরে নাই।”
 
 
পবিত্র আত্মার সহিত সহভাগিতা সম্পর্কে আমাদের কি পূর্বে যাহা প্রয়োজন এমন ধারণা অত্যাবশ্যক?
আমাদের প্রথমে জল ও আত্মার সুসমাচার জ্ঞাত হওয়া ও বিশ্বাস করা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের সমস্ত পাপ পরিষ্কার করা উচিত।
 
 যদি আপনি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে চান, প্রথমত, এরূপ সহভাগিতাকে অসম্ভব করতে হবে এমন ক্ষুদ্র পাপ সকল প্রভুর সাক্ষাতে আপনার প্রকাশ করা আবশ্যক। আপনি চিন্তা করুন, প্রভুর সাক্ষাতে কিভাবে একজন মানুষ অতি ক্ষুদ্র পাপ নিয়ে আসতে পারে না? যদি আপনি সত্যই প্রভুর সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করেন তাহলে আপনার অন্তরে কোন অন্ধকার থাকা উচিত নয়। অতএব, প্রভুর সঙ্গে সহভাগিতা থাকলে, আপনার জানা প্রয়োজন যে আপনার পাপ মোচনের সুসমাচার বিশ্বাস করা ও সমস্ত পাপ হতে নিজেকে পরিষ্কার করা আবশ্যক।
 যদি সত্যই আপনার পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা থাকে, তাহলে প্রথমেই জল ও আত্মার সুসমাচার জ্ঞাত হতে হবে ও বিশ্বাস করতে হবে এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনার পাপ থেকে পরিষ্কৃত হতে হবে। যদি আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে জ্ঞাত না হন এবং আপনার অন্তরে ইহা গ্রহণ না করেন তাহলে আপনি প্রভুর সঙ্গে কোন সহভাগিতার কথাই ভাবতে পারেন না। পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা-কেবল তখনই সম্ভব যখন জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আপনার অন্তর থেকে আপনার সমস্ত পাপ একেবারে দূরীভূত হয়ে যাবে।
 তাঁর জল আত্মার সত্যের দ্বারাই কারোর মন থেকে সমস্ত পাপ দূরীভূত হতে পারে। পবিত্র আত্মা আমার সহিত প্রভু আপনাকে আশীর্বাদ করেন যখন আপনি জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন। আপনি কি সত্যই প্রভু ও পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে চান? তাহলে আপনার পাপ থেকে পবিত্র হতে আপনার পাপ সকল স্বীকার করুন ও সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করুন। তারপরই আপনি সত্যই প্রভুর সঙ্গে সহভাগিতা করতে পারবেন।
 যদি আপনি প্রভুর সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করেন তাহলে যর্দ্দন নদীতে যোহনের কাছে যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ বিশ্বাস করুন এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করুন। পবিত্র আত্মার সঙ্গে সত্যই লোকেরা সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করে, তাহলে তাদের জানতে হবে পবিত্র আত্মা কে। পবিত্র আত্মা হলেন একমাত্র পবিত্র। এবং তিনি কেবল তাদের মধ্যেই বাস করেন যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন।
 আমরা কারো কারো পাপ স্বীকার লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, যাদের পাপ যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস দ্বারা পরিষ্কৃত হয়েছে, এবং এখন যার পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা আছে।
 এই পৃথিবীতে প্রচুর ভিন্ন ধরণের লোক আছে এবং প্রত্যেকেই তার নিজের চিন্তা-ভাবনা অনুসারে জীবন যাপন করে। আমি ঠিক তাদের মতই একজন ছিলাম। আমি শিশুকাল থেকেই খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতাম। আমি গির্জাতে আমার মাকে অনুসরন করতাম এবং স্বাভাবিক ভাবেই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতাম। আমার বাবা ছিলেন একজন নাস্তিক এবং প্রায়ই আমাকে আমার বিশ্বাসের জন্য কটাক্ষ করতেন কিন্তু পরিবারের অন্য সকলে গীর্জায় যেত। গীর্জায় যাওয়াটা আমার জীবনের একটা বিরাট আশা ছিল।
 যাহা হউক, আমার যৌবনকাল ব্যাপারটা আমার শয্যাগত বাবাকে দেখি, জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে মনযোগ সহকারে অনেক ভাবতে থাকি। স্বর্গ ও নরক আমার কাছে আসল অধিকাংশ লোক বলে যে যদি আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি তাহলে আমি স্বর্গে যেতে সামর্থ হব এবং তাঁর সন্তান হব, কিন্তু আমার কোন নিশ্চয়তা ছিল না, আমার কোন নিশ্চয়তা ছিল না যে আমি তাঁর সন্তান হতে পারব। আমি শিখেছিলাম যে যদি আমি পৃথিবীতে ভাল কিছু করি তাহলে আমি স্বর্গে যেতে পারব এবং তাই আমি দারিদ্রদের জন্য ভাল কিছু করতে চেষ্টা করলাম।
 কিন্তু আমার অন্তরের একপাশে এই অনুভূতি ছিল, আমি জানতাম আমি পাপী ছিলাম আমি অন্যদের কাছে একজন আলাদা ব্যক্তি ছিলাম কিন্তু আমি তা ছিলাম না বরং আমার পাপের জন্য দোষী সাব্যস্ত হচ্ছিলাম। ঐ সময়ে আমি গীর্জাতে যাওয়া অভ্যাস তৈরী করি, ও প্রার্থনা করি দয়া করে আমাকে সত্যই তোমার সন্তান হতে দাও, দয়া করে, আমাকে সত্য জানতে দাও। যখন প্রার্থনা করছিলাম আমার অন্তরে একটি স্বনির্বন্ধ প্রার্থনা উত্থিত হচ্ছিল। যখন আমি তাঁর বাক্যের শিক্ষা শুনছিলাম, আমি বাক্যে দেখতে না পারায় হৃদয়গম করতে পারছিলাম না। আমি আমার জীবনের শূণফ্রতা আমার পাপ, মৃত্যু ইত্যাদি থেকে জ্ঞান হই। আমার ভাবনা এরূপ ছিল যে, ‘আমি পুনর্জন্ম পেতে চাই। যদি আমি পুনর্জন্ম পেতে পারি আমি এরকম জীবন–যাপন করব না।’ কিন্তু এসব ভাবনা সত্ত্বেও আমি অভ্যাসমত কম গীর্জায় যেতে লাগলাম এবং আমার যৌবনকাল পার হয়ে গেল। আমার এখন একটা চাকরী খোঁজ করবার প্রয়োজন হল কিন্তু আমার ভাবনার চেয়েও এটা ছিল খুবই কঠিন বিষয়। আমি আরও অধিক দুর্দশার মধ্যে পড়লাম এবং এমন কঠিন বিষয় ছিল না যা আমি চেষ্টা করি নাই, আমি হাসতে পারলাম না। শূণ্য হৃদয়ে আমি আমার নিজের দিকে তাকালাম। আমি এক মহামন্দার মধ্যে পড়লাম। ঐ সময়ে আমি আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে সুসমাচার শুনলাম।
 “অতএব তোমরা মন ফিরাও, ও ফির, যেন তোমাদের পাপ মুছিয়া ফেলা হয়, যেন এইরূপে প্রভুর সম্মুখ হইতে তাপ শান্তির সময় উপস্থিত হয়” (প্রেরিত ৩:১৯)। এই হল খাঁটি জল ও আত্মার সুসমাচার। আমি পূর্বের গীর্জায় সভাগুলিতে শিখেছিলাম যীশু আমাদের পাপের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু এই সুসমাচার আমাকে বলল যে যোহন বাপ্তিইজকের দ্বারা যীশু বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের পাপ সকল তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে আমাদের পাপের জন্য বিচারিত হয়েছিলেন।
 আমি আমার সারা জীবন গীর্জাতে গিয়াছি এবং আমি ঈশ্বরের সন্তান হবার দাবী করেছিলাম কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম। আমি তাঁর বাক্যের অর্থ বুঝতে চেস্ট করেছিলাম কিন্ত ব্যর্থ হয়েছিলাম।যাহাহউক, পরে আমি জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচার শুনলাম এবং ইহাতে বিশ্বাস করলাম পাপ আমাতে ছিল এবং সমস্ত বিষয় তীব্র যন্ত্রনা দিয়ে আমাকে অদৃশ্য করতে চাইল এবং আমার অন্তর শান্তিতে পূর্ণ।
 আমি ভাবলাম যে আমি গভীর আগ্রহের সহিত ঈশ্বরে বিশ্বাস করি এবং সঠিক হাজিরা সহ গীর্জাতে যেয়ে থাকি, তাহলে আমি স্বর্গে যেতে পারি। কিন্তু ঈশ্বর আমাদিগকে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন এবং আমার পাপ সকল ক্ষমা হয়েছে। তিনি আমাদের পবিত্র আত্মার দান মাল আমাদের দিয়েছেন। আমি পবিত্র আত্মার সম্পর্কে নানা ভাষা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি ঠিক গীর্জাতে যেতাম এবং বিশ্বাস করতাম যে আমি যদি আন্তরিকতার সহিত বাস করি ও আমার মন্ডলীর সেবা করি, তাহলে ঈশ্বর আমাকে আশীর্বাদ করবেন, কিন্তু আমি উপলব্ধি করতে সক্ষম হলাম যে আমি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছিলাম যখন জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে পাপের ক্ষমা পেয়েছিলাম।
 আমার পূর্বতন জীবনে আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও আমার মধ্যে পাপ ছিল। পবিত্র আত্মা পাওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন না করে আমি এক প্রকার উদাসহীন জীবন–যাপন করতাম। কিন্তু তাঁর দাসের মাধ্যমে যিনি বাইবেল অনুসারে সুন্দর সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, আমি বিশ্বাস করলাম এবং জ্ঞাত হলাম যে পবিত্র আত্মা আমার মধ্যে ও বাস করেন।
 পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার পর পবিত্র আত্মা আমাতে আছেন অথবা নেই এমন কোন প্রমাণ দিতে পারি নাই। কিন্তু আমি তাঁর বাক্য অব্যাহত ভাবে অধ্যায়ন করতে থাকলাম এবং উপলব্ধি করতে থাকলাম যে একটি নূতন বিশ্বাস আমার অন্তরের মধ্যে প্রস্ফুটিত হতে থাকল এবং আমি অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করলাম। এখন ইহা সত্য এবং প্রমাণ প্রয়োগে বিশ্বাসে অনুভূত যে পবিত্র আত্মা আমাতে বাস করেন! যখন তিনি আমার পাপ ক্ষমা করেছেন, আমি জেনেছি যে পাপ মুক্ত হলেই কেবল ঈশ্বরের সন্তান হওয়া যায় এবং পবিত্র আত্মা পাওয়া যায়।
 আমি আরও জেনেছি যে তাঁর দৃষ্টিতে আমার কাজ নির্ভুল অথবা পবিত্র ভাবে জীবন–যাপন না করলে কখনো পবিত্র আত্মা গ্রহণের অনুমতি পেতাম না। ঈশ্বর তাদের কাছেই আসেন যারা জানে না যে তারা পাপী এবং জানে না যে এর জন্য কি করা প্রয়োজন। তিনি তাদের সঙ্গেই সাক্ষাত করেন যারা আগ্রহ ভরে তাঁর অন্বেষন ও তাঁর প্রয়োজন অনুভব করে।
 তিনি আমাকে দেখালেন যেন উত্তম কাজ করি ও ঈশ্বরের বিশ্বাস করি, আর যদি পরিত্যাগ করি ও পরিণাম সম্পর্কে উদাসহীন থাকি তাহলে আমাকে স্বর্গে নেওয়া হবে না কারণ যীশু খ্রীষ্ট জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে আমার সমস্ত পাপ থেকে আমাকে রক্ষা করতে এই জগতে এসেছিলেন। তিনি চিরকালের জন্য আমার অন্তরে বাস করতে আমাকে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
 আমাকে তাঁর সন্তান তৈরী করা ও আমাকে অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মায় আশীর্বাদ করার জন্য আমি প্রভুকে ধন্যবাদ জানাই। যদি ইহা প্রভুর পক্ষে না হয়ে থাকে, তাহলে আমার অন্তরে পাপ আছে এবং দোষীকৃত হয়ে অন্তকাল নরকে বাস করতে হবে।
 অধিকন্তু, আমি একদা কেবল যীশুর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেছিলাম এবং এমন কি যদিও আমি চেয়েছিলাম কিন্তু পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারি নাই। ঐ সময় আমি যীশুতে বিশ্বাস করেছিলাম কিন্তু আমার অন্তরে পাপ ছিল যা পবিত্র আত্মা গ্রহণে আমাকে প্রতিরোধ করছিল। একজন পাপী কখন তার অন্তরে পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু অদ্যপি, অনেক পাপী তাদের পাপেপূর্ণ অন্তর নিয়ে পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করতে চেষ্টা করছে।
 যদি সত্যই আপনি পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করতে ও তাঁর সঙ্গে সহথাগিতা করতে ইচ্ছা করেন, তাহলে আপনাকে পাপের ক্ষমা পেয়ে জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করা প্রয়োজন। আপনি এখনো একজন পাপী? তাহলে আপনি তাদের থেকে সত্যের সুসমাচার শুনতে পারেন যারা ইতি মধ্যে পবিত্র আত্মা পেয়েছেন। যাদের পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করার ইচ্ছা আছে তাদের তৃষ্ণার্ত হৃদয় ও জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে নির্ভরতা থাকা আবশ্যক। কেবল ধার্মিকগণ মন্ডলীর মাধ্যমে পবিত্র আত্মার কথা শুনতে পারে। তারা সুন্দর সুসমাচার শ্রবণের দ্বারা তাদের বিশ্বস্থ জীবন–যাপন করতে পারে কিন্ত পাপীগণ সুসমাচার ব্যতিত অভিশপ্ত জীবন–যাপনের দ্বারা পূর্ব হতে নির্দ্ধারিত নরকে যাবে।
 অতএব আপনার জল ও আত্মার সুসমাচার শিক্ষা করা আবশ্যক। কেন আপনার এই সুসমাচারে বিশ্বাস করা প্রয়োজন? ব্যবস্থার বিধান থেকে মুক্ত হওয়া আপনার জন্য প্রয়োজন এবং ঈশ্বরের বাক্যের উপর ভিত্তি করে সুন্দর সুসমাচার আপনার বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। যীশুর শিষ্যগণ এই সুন্দর সুসমাচার অনুসরন করতেন এবং এখন ইহা তাদের অধিকারে যারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছে। জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচার ঠিক একই যেমন আদি মন্ডলীর শুরুতে প্রেরিতগণের দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল। সব খ্রীস্টানদেরই পবিত্র আত্মা গ্রহণ করা আবশ্যক। কেবল মাত্র তখন তারা ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে।
যারা এখনও জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করছে না তাদের অন্তরে অবশ্যই পাপ আছে। তাদের পবিত্র আত্মার সঙ্গে কোন সহভাগিতা থাকতে পারে না। তাঁর সঙ্গে সহভাগিতা থাকবে তাদের প্রথমে জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করা যা ঈশ্বর তাদেরকে দিয়েছেন এবং পবিত্র আত্মার গ্রহণ করা প্রয়োজন।
 


বাইবেল পবিত্র আত্মার বিষয়ে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে

 
যীশুর পুনরুত্থানের পর অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পরিত্রাণের দিবস ও এখন তাঁর সীমাহীন অনুগ্রহের সময়।
 কিন্তু ইহা দুর্ভাগ্যজনক সত্য যদি আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ না করি তবে আমরা পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা ব্যতিত বাস করছি।
 আপনার কি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা আছে? আপনার পাপের কারণে আপনি কি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছেন? তারপর জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করা যা ঈশ্বর আপনাকে বিশ্বাস করার জন্য দিয়েছেন। যদি আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, পবিত্র আত্মা আপনার অন্তরে বাস করবেন এবং আপনার সঙ্গী হবেন। পবিত্র কেবল সেই সব অন্তরে বাস করেন যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন। পবিত্র আত্মা ধার্মিকদের অন্তরে তাঁর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। পৌলের যাজরন্ত ছিল পবিত্র আত্মাকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দর সুসমাচার প্রচার করা।
 একজন পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে আপনি কিভাবে সনাক্ত করবেন? বেঞ্চমার্ক কি? সে জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে অথবা করে না এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেঞ্চমার্ক?
 যদি কোন ব্যক্তি জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে জানে ও বিশ্বাস করে, তাহলে তিনি সেই ব্যক্তি হবেন যার মধ্যে অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা আছেন।
 পবিত্র আত্মার সেই সব ব্যক্তির অন্তরে বাস করেন না যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন না। পবিত্র আত্মা কেবল তাদের মধ্যেই বাস করেন যারা যোহনের কাছে যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা বিশ্বাস করেন। আপনি কি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করেন?
 আপনি কি জানেন পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে ও তাঁর সঙ্গে সহভাগিতা করতে আপনার সুসমাচারে কি ধরনের বুৎপত্তি থাকা প্রয়োজন? যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের মাধ্যমে সুন্দর সুসমাচার খুঁজে পাওয়া যায়। যদি আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করেন, আপনার পাপ ক্ষমা হতে পারে না এবং পবিত্র আত্মাও আপনার অন্তরে বাস করতে পারে না পবিত্র আত্মার চাহিদা হল লোকের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করুক এবং তাঁকে গ্রহণ করুক।
 পবিত্র আত্মা পাপীদের অন্তরে বাস করতে পারেন না। যদি আপনি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে ইচ্ছা করেন আপনাকে অবশ্যই প্রথমে সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আপনার নিজের সমস্ত পাপ পরিষ্কার করতে হবে। আরও যদি আপনি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করেন আপনাকে সুন্দর সুসমাচার প্রচারে বিশ্বস্থ হতে হবে। যদি আপনি আত্মার দ্বারা চালিত হতে চান, তাহলে আপনাকে সুন্দর সুসমাচারে প্রতি প্রেম থাকা আবশ্যক এবং আপনি যেখানে যাবেন সেখানে প্রচার করবার ইচ্ছা থাকতে হবে। পবিত্র আত্মা তাদের সঙ্গেই থাকবে যারা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করেন।
 অন্তরে বাসকারী পবিত্র কেবল ধার্মিকদের দেওয়া হয়ে থাকে, যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন। কেবল ধার্মিকগণ যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, পবিত্র আত্মা তাদের সঙ্গেই সহভাগিতা করতে পারেন। সুন্দর সুসমাচার যাহা পবিত্র আত্মা অনুমোদিত সুসমাচার তা যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে গুণান্বিত ছিল (১ যোহন ৫:৩-৭)।
 পিতর সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করতেন এবং বলতেন, “আর এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম অর্থাৎ মাংসের মালিন্যত্যাগ নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিকটে সৎ সংবেদের নিবেদন-তাহাই যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদিগকে পরিত্রাণ করে।” বাইবেল “জল” বাপ্তিস্মের জন্য বারংবার ব্যবহৃত হয়েছে যা যীশু যোহন বাপ্তাইজকের কাছে গ্রহণ করেছিলেন।
যারা সুন্দর সুসমাচারের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমা পেয়ে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছে, তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত। যারা সুন্দর সুসমাচার বিশ্বাস করেন তারা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হয়ে সত্যে ও আত্মার পিতার ভজনা করবে (যোহন ৪:২৩) পবিত্র আত্মা ধার্মিকদের সাহায্য করেন তাদের জীবনকে পবিত্র আত্মার পূর্ণ করে দিতে। যাদের মধ্যে অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মার আছেন তারা সারা জীবন প্রভুর প্রশংসা করতে পারেন। পবিত্র আত্মা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে চিরকালের জন্য পবিত্র আত্মার সঙ্গে বাস করতে পারি।
 


পবিত্র আত্মা তাদের সঙ্গে সহভাগিতা করেন না যারা নিজেকে প্রতারণা করে

 
 ১ যোহন ১:৮ পদে পবিত্র আত্মা পাপীদিগকে বলেন, “আমরা যদি বলি যে, আমাদের পাপ নেই, তবে আপনার আপনাদিগকে ভুলাই, এবং সত্য আমাদের অন্তরে নাই।” পবিত্র তাদের মধ্য বাস করতে পারে না যারা নিজেদিগকে ভুলায়। পবিত্র আত্মা পাপীদিগকে কঠোর ভাবে তিরস্কার করে বলেন, “কেন তুমি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে গুণান্বিত সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করো না?”
 আমরা একজন নূতনজন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানের স্বীকারোক্তির দিকে তাকাই যিনি প্রথম বিশ্বাস করেছিলেন যে তিনি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সুন্দর সুসমাচার ব্যতিত পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছিলেন। এই লোক এখন জল ও রক্তের সুসমাচারে বিশ্বাস করেছে এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছিল এখানে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করছি কার মধ্যে পবিত্র আত্মা বাস করেন। ঈশ্বর আমার অন্তরে বাস করতে শুরুকরেন যখন আমি এই পৃথিবীতে আমার অস্তিত্বের কারণ উপলব্ধি করতে পারলাম। আমার নিজের দিকে আমি এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে বসবাসে আমার অক্ষমতার কথা ভাবতে লাগলাম ও এর থেকে বেরিয়ে আমার জন্য ঈশ্বরের কাছে অনুনয় বিনয় করতে থাকলাম। আমি ঈশ্বরের অনুসন্তান করলাম না কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর অস্তিত গ্রহণ করলাম কারণ তিনি দৃষ্টি গোচর ছিলেন না, কিন্তু তিনি তথায় ছিলেন। অবশ্যই আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি কি বাস্তবিক সেখানে ছিলেন? কিন্তু এমন কি এটা চিন্তায় আমাকে অত্যন্ত ভীত করল বিধায় আমি দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করলাম যে তিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা।
 যারা বোঝার মত ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করে, এমন কি আমা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী নানা উপায়ে। তারা ভাবে তাদের নিজের মত তারা কোন কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে পারবে অন্য দিকে আমি ছিলাম বোকা দূর্বলের মত। কিন্তু মৃত্যুর পরে আমার জীবনের আশা ছিল, আমি ঈশ্বরের দিকে মহান শ্রদ্ধার সাথে দৃষ্টিপাত করলাম। আমি বিস্মিত হলাম যেন আমার মত লোকেদের জন্য ও স্বর্গে একটি স্থান ছিল যারা সর্বদা তাদের অভাব বোধ করছে। এবং ঐ প্রশ্ন স্বর্গস্থ পরম সুখময় স্থানের জন্য আমার ইচ্ছাকে অধিক আন্তরিকতার সহিত তৈরি করল।
 আমার বাবা মা ধর্ম নিয়ে লোকদের ঘৃণা করত এবং আমার সিবলিংস ঈশ্বরে আসক্তি ছাড়া গীর্জাতে যেত। তারা ভাবত আমার গীর্জার প্রতি আসক্তি খুবই শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে; সুতরাং আমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে না ওঠা পর্যন্ত তারা আমাকে থাকতে পারলাম না। সুতরাং আমি এক মন্ডলী থেকে অন্য মন্ডলীতে যেতে থাকলাম এবং কলেজে না ওঠা পর্যন্ত আমার ঘরের কাছে একটি ছোট্ট মন্ডলীতে চূড়ান্তভাবে যেতে শুরু করলাম।
 এই মন্ডলীতে যোগ দেওয়ার কারণ ছিল, সুসমাচারের উপর এর ছিল শক্তিশালী অবস্থান। মন্ডলীতে পালক ছিলেন সুসমাচার প্রচার বিষয়ক নূতনজীবন দানকারী যিনি দৃশ্যত বাইবেলের বাক্য লঙ্ঘন এর মত কিছুই করেন নাই। আমি আন্তরিকতার সহিত ধর্মীয় জীবনে পরিচালিত হচ্ছিলাম, যখন আমি আমার অধ্যায়ন কালে বাধ্য বাধকতা ও উৎপীড়নের মধ্যে ছিলাম।
 কারণ ছিল যে যখন লোকেরা মন্ডলীর সহ বিশ্বাসীকে অধার্মিক হিসাবে আখ্যায়িত করত, আমি বিশ্বাস করতাম যে আমার মন্ডলী ছিলঠিক এবং আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমি স্বর্গে যেতে পারব। ঐ নিশ্চিত বিষয় এর ভিত্তি ছিল সুসমাচার। তারা বলে যে পাপীরা স্বর্গের দ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না কিন্তু অন্য মন্ডলীর লোকেরা ও বলে যে তাদের অন্তরে পাপে পরিপূর্ণ। আমি আও বিশ্বাস করি যে আমার মন্ডলীর লোকেরা পূর্বে পাপী ছিল, আমি মন্ডলীতে যোগ দিতে থাকলাম, সুতরাং এই সমালোচনার বিষয় বেশী চিন্তা করি নাই।
 বস্তুতঃ অতীত আমার যে অভিজ্ঞতা ছিল তার থেকে কথিত সুসমাচার প্রচার বিষয় যা নূতন জীবন দান কারী ভিন্ন ছিল। তারা বলে যে যদি আমরা সঠিক ধারা অনুসারে যীশুতে বিশ্বাস করে থাকি, তাহলে আমরা পাপহীন হই, এবং যারা কেবল তারাই স্বর্গে যেতে পারে। তারা আরও বলে যে যীশু ক্রুশের উপর আমাদিগকে বিচারে এনেছিলেন। অতএব আমরা পাপী নই কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি। আমি প্রথমত ইহা বিশ্বাস করি নাই, কিন্তু যখন আমি ইহার বিষয় চিন্তা করলাম, ইহা আমাকে জ্ঞান দিল। আমি যুবক ছিলাম এবং ভাবতে থাকতে লাগলাম যে যদি আমি স্বর্গে যেতে চাই, ঈশ্বর কেবল আমাকে যেতে অনুমতি দেবেন যদি আমি পাপহীন হই, কারণ ঈশ্বর পাপকে ঘৃণা করেন।
 এই মন্ডলীর আম – অপেক্ষা ভিন্ন বিশ্বাস ছিল এবং আরাধনা করার আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির ও সমস্যা ভিন্নতা ছিল। কারণ স্বর্গ এমন একটি স্থান যেখানে অল্প সংখ্যক লোক প্রবেশ করবার জন্য মনোনীত, ইহা মনে হয়েছিল যে এই মন্ডলীর লোকেরা সঠিক বিশ্বাস অবলম্বন করেছে। কারণ মন্ডলীর যীশুর শরীর ও রক্তের গুরুত্ব অনুধাবন করত, প্রতি রবিবার আমরা এক খন্ড রুটি ও এক চুমুক দ্রাক্ষারস গ্রহণ করতাম। কারণ এই অনুষ্ঠানের ভিত্তি ছিল বাইবেলের বাক্য, আমি ইহা গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু আমি পরে দেখতে পেরেছিলাম যে লোকেরা এর বাস্তব অর্থ না বুঝেই এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করত।
 আমি বিশ্বাস করি যে, পবিত্র আত্মা বিশ্বাসীদের অন্তরে ও ধার্মিকদের অন্তরে বাস করেন এবং তিনি তাদের প্রার্থনা শুনেন। সুতরাং আমি বিশ্বাস করি যে পবিত্র আত্মা আমার মধ্যে বাস করেন। আমি অতিশয় নিশ্চিত যে ঈশ্বর আমার সাথী এবং আমি কখনো সুসমাচারে সন্দেহ পোষন করি নাই বরং আমি বিশ্বাস করিয়াছি। যখন আমি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমি ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলছিলাম ঠিক যেন তিনি আমার সম্মুখে ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি যে তিনি আমার কথা শুনেছেন যখন আমি তাকে ঐ বিষয়গুলি বলেছিলাম যে আমি কারো পরিবর্তে বলতে পারব না। সুতরাং আমি তাহাতে বিশ্বাস করলাম ও তাঁর উপর নির্ভর করলাম।
 আমি ঐগুলো বুঝতে পারি না যারা পুনরুজ্জীবন সভাতে গিয়ে নানা ভাষা বলে এবং আমি হেসেছিলাম। যারা উপবাস সেবায় অংশ গ্রহণ করে। এরূপ কাজগুলি দেখে আমি চিন্তা করি, কেন তারা এরূপ অনর্থক কাজের মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মা পেতে চায়? পবিত্র আত্মা কেবল তখনই কারো মধ্যে আসে যখন তারা অবশ্যই পাপী। তাদের সমস্ত কাজের মধ্যেও তিনি তাদের উপর আসেন না। আমি তাদের জন্য সহানুভূতি অনুভূতি বোধ করি
আমি চিন্তা করি তারা খুব বোকা। আমি মনে মনে চিন্তা করি যে সুসমাচারে আমার ছিল উত্তম বিশ্বাস এবং অন্যদের ছিল ভ্রান্ত বিশ্বাস।
 আমার ঔদ্ধত্য অন্তরে এটার শীর্ষে পৌঁছাল। আমি দশ বছর যাবৎ আমার নিজের ধর্মীয় জীবন – যাপন করতে থাকলাম। কিন্তু সময় অতিক্রম হওয়ার সাথে সাথে আমার মনের মধ্যে প্রশ্ন উত্থিত হতে থাকল। আমি ভাবতে থাকলাম ক্রুশীয় রক্তের সুসমাচারের কারণে আমি পাপ মুক্ত, কিন্তু অন্য সব বিশ্বাসীরা কি ভাল ভাবে পাপ মুক্ত? তারা ও কি বাস্তবিক সুসমাচারে বিশ্বাস করেন? আমি জানতাম না কেন আমি এইসব প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলাম! প্রশ্নগুলো ঠিকই আমার মনের মধ্যে আসত কিন্তু আমি কোন কিছুই জিজ্ঞাসা করতে পারতাম না। এটা ছিল ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং অলঙ্ঘনীয়। এবং এটা ছিল কারো জিজ্ঞাসা করার মত অমার্জিত প্রশ্ন।
 কিন্তু আমি নিজের কাছে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম। যখন আমি কলেজে ছিলাম, আমি ধর্মীয় নৈতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে ঐ বিষয় গুলো শুরু করেছিলাম এবং আমার অন্তর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসছিল ও আমার বিশ্বাস কমে যেতে শুরু করল। আমি আমার বিশ্বাসে নিশ্চিত ছিলাম না। আমি কি নিজেকে ধার্মিক ব্যক্তি বলতে পারি? যীশু কি বাস্তবিক আমার সমস্ত পাপ থেকে আমাকে পরিষ্কার করেছেন? এই সব বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে আমি ক্রুশীয় সুসমাচারের বিষয় চিন্তা করতে আমার নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করলাম এবং এর দ্বারা আমি আমার মগজ ধোলাই করলাম কিন্তু আমি নিজের উপর আরো চাপ প্রয়োগ করতে থাকলাম, আমি অনেক কিছু হারালাম এবং আমি আর অধিক সময় মন্ডলীর সেবায় নিয়োজিত থাকলাম না। আমি আমার দায়িত্ব হিসাবে ক্লাবের কর্মকান্ড ব্যবহার করতাম।
 অভ্যন্তরে সব কিছু বিশৃঙ্খলা ও অবস্থা, আমি চূড়ান্তভাবে সত্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। আমি জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে শুনলাম এবং এটা আমার কাছে বজ্রপাতের আলোর মত আসলো। প্রভাবটা ছিল ব্যাপক যেন আমি কান্না অনুভব করতে থাকলাম, কিন্তু সুসমাচার শুনতে শুনতে, আমি উহা স্বীকার করলাম যে আমি এই পর্যন্ত যা কিছু বিশ্বাস করেছিলাম সবই মিথ্যা।
 আমি কখন আমার পাপ সকল যীশুর প্রতি সমর্পণ করি নাই। আমি অস্পষ্টভাবে বিশ্বাস করেছিলাম যে তিনি আমার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং আমি একজন পাপ মুক্ত মানুষ, কিন্তু উহা কোন ঘটনা ছিল না। কেন যীশু এই জগতে বাপ্তাইজিত হতে এসেছিলেন? কারণ তিনি আমাদের দেখতে চেয়েছিলেন, তিনি ছিলেন মেষের মত বিনম্র? প্রমাণ করতে তিনি একজন মানুষের মত এসেছিলেন? অথবা ভাববাণী অনুসারে তাঁর অনিবার্য মৃত্যু? আমি কখন স্বপ্নে দেখি নাই যে, বাপ্তিস্ম সম্পর্কে যা কিছু অস্পষ্ট জ্ঞান যা ছিল আমার এরূপ অন্তনিহিত অর্থ। উহা ছিল সত্য যে যোহনের দ্বারা যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, সকল মানব জাতির প্রতিনিধি স্বরূপ, এবং ঐ বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে স্থানান্তরিত হয়েছে।
 ওহে! উহার নিমিত্ত যীশু ঈশ্বরের মেষশাবক হলেন যিনি তাঁর সঙ্গে আমাদের সমস্ত পাপ বহন করলেন! এখন সব কিছুই বিচক্ষনতা তৈরী করতে থাকল। যীশু ক্রুশের উপর আমাদের পাপের জন্য বিচারিত হলেন। ঐ কারণে আমি আমার অন্তরে পাপ শূন্য। সামান্য সময় আমি জল (যীশুর বাপ্তিস্ম), রক্ত (ক্রুশ), এবং পবিত্র আত্মা (যীশুই ঈশ্বর), আমি আমার অন্তরে যে পাপ গুলি অনুভব করেছিলাম তা অদৃশ্য হলো।
 এখন আমি সত্যই একজন পাপ মুক্ত ও ধার্মিক ব্যক্তি এবং পবিত্র আত্মা চূড়ান্ত ভাবে আমার অন্তরে বাস করছেন। ক্রুশে আমার যে বিশ্বাস ছিল তা আমার পাপ পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট ছিল না যা আমি আমার অন্তরে পোষণ করেছিলাম। যদি আপনি সঠিক ভাবে না জানেন, কিভাবে আপনার পাপ যীশুর উপর স্থানান্তরিত হয়েছিল, তাহলে আপনার পাপের ক্ষমা হতে পারে না এবং পবিত্র আত্মা আপনার মধ্যে বাস করতে পারেন না। আমি প্রভুকে গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছিলাম।
 কোন রকম চেষ্টা ব্যতিত, আমি জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমা পেয়েছিলাম এবং পবিত্র আত্মা আমাতে এখন এবং চিরকালের জন্য বাস করেন। এখন, আমি গর্বিতভাবেই নিজেকে পাপ মুক্ত মানুষ বলতে পারি এবং গর্ব করতে পারি যে স্বর্গরাজ্যে আমার। কোন রকম ব্যয় ব্যতিত আমাকে এরূপ আশীর্বাদ করার জন্য আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগ নিচ্ছি। হাল্লিলূয়া!
 যারা পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করেছে তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে বলতে পারে তারা পাপ মুক্ত। কত দীর্ঘ সময় যাবৎ আপনি যীশুকে বিশ্বাস করেছিলেন, এটা কোন ব্যাপার নয়, যদি আপনি সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস না করেন যা ঈশ্বর আমাদিগকে দিয়েছেন, তাহলে আপনার অন্তরে নিশ্চয়ই পাপ আছে। লোকেরা যেমন ঈশ্বরকে তেমনি নিজ দিগকে ভুলাতে পছন্দ করে। এই লোকগুলো কখনো প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাত করেন নাই। যদি কোন পাপী পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করেন, সে অবশ্যই প্রথমে নিজেকে ভুলানো বন্ধ করবে এবং স্বীকার করবে যে সে পাপী। কেবল তখন সে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের যোগ্য হবে। যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করবে তারা পবিত্র আত্মা গ্রহণের উপযুক্ত হবে।
পবিত্র আত্মা পাপীদের কি বলেন? তিনি তাদেরকে উপদেশ দেন সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই পাপের ক্ষমা পাওয়া যায়, যা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে গুণান্বিত হয়েছিল যদি আপনি কখনোই পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেন নাই। যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন না এবং বলেন যে আপনার মধ্যে কোন পাপ ছিল না, তাহলে ঈশ্বরও নিজেকে উভয়কেই ভুলাচ্ছেন। পাপীদের জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচার জানা ও পবিত্র আত্মা গ্রহণ করা আবশ্যক। কেবল তখন তারা ঈশ্বরের কঠোর বিচার থেকে মুক্ত হবে।
 


ধার্মিকগণ তাদের পাপ সকল স্বীকার করে পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে পারেন

 
 আমি তাদের কথা বলি যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছিলেন এবং এরূপ, পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছিলেন। ঈশ্বর ধার্মিকগণকে কি বলেছিলেন সে দিকে তাকাই ১ যোহন ১:৯ পদ বলছে, “যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্থ ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।” এই পদ অর্থ করছে যে আমাদের কলুষিত হৃদয় থেকে প্রকৃত পাপ সকল পরিষ্কৃত হতে হবে, নিজেকে বারবার স্মরণ করতে হবে এবং সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে যে যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন যখন তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে ক্রুশে হত হয়েছিলেন। ঈশ্বরের কাছে ধার্মিকগণের প্রকৃত পাপ গুলি স্বীকার করা প্রয়োজন। কেবল তখন তারা পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে পারে। ধার্মিকগণের তাদের প্রকৃত পাপগুলি স্বীকার করা উচিত এবং সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস অব্যাহত রাখা আবশ্যক।
 অনেক আগে, যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সুন্দর সুসমাচার আমাদের সমস্ত পাপ পরিষ্কার করেছে এবং ধার্মিকদের এই সুসমাচার বিশ্বাস করবে তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবে। প্রভু ইতি মধ্যে তাদের সমস্ত পাপ জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে ক্ষমা করেছেন। ধার্মিকদের তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করা আবশ্যক। ধার্মিকগণ তাদের হৃদয়কে জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা পবিত্রীকৃত হতে পারে যখন তারা তাদের প্রকৃত পাপে কলুষিত ছিলেন।
আমাদের প্রভু অনেক আগেই তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত দ্বারা ধার্মিকদের সমস্ত পাপ পরিষ্কৃত করেছেন। অতএব, তারা বিশ্বাস করেন যে, সত্যই তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন। যাহাহউক,ধার্মিকেরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে তাদের পাপ স্বীকার করেন ও মেনে নেন। এবং তখন অবশ্যই ধার্মিকগণ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের বিশ্বাসের কাছে ফিরে আসেন। যাহা সুন্দর সুসমাচার দ্বারা মীমাংসিত, তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত, অতএব তারা পবিত্র আত্মার সাহায্যে সর্বদাই একটি সজীব নূতন জীবনে পরিচালিত হতে পারে। তাদের দূর্বলতার জন্য উদ্বেগহীন ভাবে প্রভুর দিকে তাকাতে পারে এবং জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারকে ধন্যবাদ দিয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে সত্য সহভাগিতা করতে পারে।
 

আমরা কিভাবে পবিত্র আত্মা দ্বারা সহভাগিতার সত্য বিচক্ষণতা অর্জন করতে পারি?
 
 অনেক লোক আছে যাদের পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে এই ইচ্ছা সত্যে পরিণত হতে পারে, যদিও তারা যীশুতে বিশ্বাস করে। সমস্ত লোকেরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে আসে এবং ঐ সময় থেকেই পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে শুরু করতে থাকে।
অধিকন্তু, ধার্মিকব্যক্তির জন্য কেবল একটি মাত্র পথ আছে, জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য জানা ও বিশ্বাস দ্বারা পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করা। ধার্মিক ও পবিত্র আত্মার মধ্যে সহভাগিতা সত্য সুসমাচার ব্যতিত অর্জন করা যায় না। পবিত্র আত্মার সঙ্গে কিভাবে সহভাগিতা করা যায়? এটা কেবলমাত্র সুন্দর সুসমাচারের সত্যে বিশ্বাস দ্বারাই সম্ভব।
 

ঈশ্বর বলেন যে মানুষ তার সমস্ত জীবন ব্যাপিয়া পাপে লিপ্ত
 
 ১ যোহন ১:৯ পদের শেষে বলা হয়েছে, “যদি আমরা বলি যে পাপ করি নাই, তবে তাঁহাকে মিথ্যাবাদী করি এবং তাঁহার বাক্যে আমাদের অন্তরে নাই।” ঈশ্বরের সাক্ষাতে এমন কেহই নেই যে পাপ করে নাই। এমন কি বাইবেল বলছে, “এমন ধার্মিক লোক পৃথিবীতে নাই, যে সৎকর্ম করে, পাপ করে না” (উপদেশক ৭:২০)। ঈশ্বরের সাক্ষাতে সকলেই পাপী। যদি কেহ বলে যে পাপ করে নাই তাহলে মিথ্যাবাদী। লোকেরা তাদের সমস্ত জীবন অর্থাৎ মৃত্যুর ঘণ্টা বাজা পর্যন্ত পাপ করতে থাকে এবং এই কারণে যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে তাদের সমস্ত পাপ বহন করলেন। যদি আমরা পাপ না করি তাহলে ঈশ্বরকে আমাদের ত্রানকর্তা রূপে বিশ্বাস করা প্রয়োজন হবে না।
 প্রভু বলেন, “আমার বাক্য তোমাতে থাকবে না” যারা চিন্তা করে তাদের মধ্যে কোন পাপ নাই। যদি কোন ব্যক্তির জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে কোন বিশ্বাস না থাকে তাহলে সে ধংস অর্জন করবে। যদি একজন ধার্মিক লোক অথবা পাপী বলে যে ঈশ্বরের সাক্ষাতে তার কোন পাপ নেই তাহলে সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস অর্জন করতে পারে নাই।
 প্রভু বিস্ময়কর দান সুন্দর সুসমাচার প্রত্যেককে দিয়েছেন। আমরা আমাদের সমস্ত পাপ স্বীকার করি ও অনুতাপ সহকারে সুন্দর সুসমাচারের দ্বারা সমস্ত পাপের ক্ষমা পেয়ে থাকি। আমরা সুন্দর সুসমাচারের কাছে ফিরে আসতে পারি যা ঈশ্বর আমাদের পাপের ক্ষমা স্বরূপ আমাদিগকে দান করেছেন। এবং ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করে পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করি। জল আত্মার সুসমাচার পবিত্র আত্মার সহিত সহভাগিতা করার সত্য বিচক্ষনতা, এবং যাদের জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে সহভাগিতা থাকে।
 মানব জাতি থেকে ঈশ্বর অনেক দূরবর্তী কারণ আদম ও হবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রেই পাপ এসেছে। কিন্তু এখন আমরা যাদের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে পাপের বীজ রয়েছে, পুনরায় ঈশ্বরের সঙ্গে সহভাগিতা করতে সম্মুখে তাকাতে পারি। এটা করতে আমরা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাস করে ফিরে আসতে পারি এবং পাপের জন্য ক্ষমা পেতে পারি যা আমাদিগকে ঈশ্বরের কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছিল।
 যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করবে তারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পাবে এবং ঈশ্বর তাহাদিগকে পবিত্র আত্মায়পূর্ণ করবেন। ধার্মিকদের ঈশ্বরের সঙ্গে সহভাগিতা থাকতে পারে কারণ তারা পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করেছেন। অতএব, তাদের জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে ফিরে আসা আবশ্যক কেবল তখন তারা তাদের সঙ্গে সত্য সহভাগিতা করতে শুরু করে।
 সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা আসেন। আমাদের জানা আবশ্যক যে কেবল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য সেই অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা আসেন। সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরের সঙ্গে নূতন গমনাগমনের পথ সৃষ্টি হয় তাঁর কাছ থেকে আমাদেরকে পৃথককারী মাঝের দেওয়াল প্রভু ভেঙ্গে ফেলেন বাস্তব ও কার্য্যকারী পাপ উভয়ই, এবং জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে ঈশ্বরের সহভাগিতা অনুমোদন করেন।
 আমাদের পুনরায় পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা প্রতিষ্ঠিত করা আবশ্যক। জল ও আত্মার সুসমাচারে পক্ষে বিশ্বাসের প্রতি বাধ্যতা ও বুঝতে পারার মাধ্যমে পবিত্র আত্মার সহিত সত্য সহভাগিতা লাভ করা যায়। পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা ঘটে যখন আমরা সুন্দর সুসমাচার থেকে আমাদের পাপের ক্ষমা আসে এই বাস্তবতা বিশ্বাস করি। যারা তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে নাই তাদের পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা থাকতে পারে না। অন্য কথায়, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ব্যতিত কেহই পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে পারে না। যদি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করা আপনার জন্য কঠিন বিষয় হয় তাহলে প্রথমেই আপনাকে স্বীকার করতে হবে আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন না এবং আপনার পাপ সকল ক্ষমা হয় নাই। আপনি কি পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করতে ইচ্ছা করেন? তাহলে সুসমাচারে বিশ্বাস করুন যা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের মাধ্যমে গুনান্বিত হয়েছে। কেবল তখন আপনি আপনার সমস্ত পাপ থেকে ক্ষমা পাবেন এবং পুরস্কার স্বরূপ আপনার অন্তরে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করবেন। এই সুন্দর সুসমাচার আপনাকে পবিত্র আত্মার সঙ্গে সহভাগিতা করার নিশ্চয়তা দিতে পারে।
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?