• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[3-3] প্রভুর জন্য আপনি কি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করেন? (রোমীয় ৩:১০-৩১)

< রোমীয় ৩:১০-৩১ >
“যেমন লিখিত আছে,
ধার্ম্মিক কেহই নাই, এক জনও নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই,
বুঝে, এমন কেহই নাই,
ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই।
সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা একসঙ্গে অকর্ম্মণ্য হইয়াছে;
সৎকর্ম্ম করে এমন কেহই নাই, এক জনও নাই।
তাহাদের কণ্ঠ অনাবৃত কবরস্বরূপ; তাহারা জিহ্বাতে ছলনা
 করিয়াছে; 
তাহাদের ওষ্ঠাধরের নিম্নে কাল সর্পের বিষে থাকে;
তাহাদের মুখ অভিশাপ ও কটুকাটব্যে পূর্ণ;
তাহাদের চরণ রক্তপাতের জন্য ত্বরান্বিত।
তাহাদের পথে পথে ধ্বংস ও বিনাশ, এবং শান্তির পথ তাহারা
 জানে নাই; 
ঈশ্বর-ভয় তাহাদের চক্ষুর অগোচর।”
আর আমরা জানি, ব্যবস্থা যাহা কিছু বলে, তাহা ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে বলে; যেন প্রত্যেক মুখ বদ্ধ এবং সমস্ত জগৎ ঈশ্বরের বিচারের অধীন হয়। যেহেতুক ব্যবস্থার কার্য্য দ্বারা কোন প্রাণী তাঁহার সাক্ষাতে ধার্ম্মিক গণিত হইবে না, কেননা ব্যবস্থা দ্বারা পাপের জ্ঞান জন্মে। কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর-দেয় ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্ত্তৃক তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে। ঈশ্বর-দেয় সেই ধার্ম্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্ত্তে—কারণ প্রভেদ নাই; কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরববিহীন হইয়াছে— উহারা বিনামূল্যে তাঁহারই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তি দ্বারা, ধার্ম্মিক গণিত হয়। তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে প্রদর্শন করিয়াছেন; যেন তিনি আপন ধার্ম্মিকতা দেখান—কেননা ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্ব্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল— যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্ম্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্ম্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্ম্মিক গণনা করেন। অতএব শ্লাঘা কোথায় রহিল? তাহা দূরীকৃত হইল। কিরূপ ব্যবস্থা দ্বারা? কার্য্যের ব্যবস্থা দ্বারা? না; কিন্তু বিশ্বাসের ব্যবস্থা দ্বারা। কেননা আমাদের মীমাংসা এই যে, ব্যবস্থার কার্য্য ব্যতিরেকে বিশ্বাস দ্বারাই মনুষ্য ধার্ম্মিক গণিত হয়। ঈশ্বর কি কেবল যিহূদীদের ঈশ্বর, পরজাতীয়দেরও কি নহেন? হাঁ, পরজাতীয়দেরও ঈশ্বর, কেননা বাস্তবিক ঈশ্বর এক, আর তিনি ছিন্নত্বক্‌ লোকদিগকে বিশ্বাসহেতু, এবং অচ্ছিন্নত্বক্‌ লোকদিগকে বিশ্বাস দ্বারা ধার্ম্মিক গণনা করিবেন। তবে আমরা কি বিশ্বাস দ্বারা ব্যবস্থা নিষ্ফল করিতেছি? তাহা দূরে থাকুক; বরং ব্যবস্থা সংস্থাপন করিতেছি।”
 
 

মাংসে গর্ব করার মত মানুষের কিছুই নেই

 
 রোমীয় ৩:১০-১২ পদে বলা হয়েছে, “যেমন লিখিত আছে, “ধার্ম্মিক কেহই নাই, একজনও নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই। সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা একসঙ্গে অকর্ম্মণ্য হইয়াছে; সৎকর্ম্ম করে এমন কেহই নাই, এক জনও নাই।” মাংসের কারণে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আমরা পাপে পরিপূর্ণ। কেউ কি নিজের মাংসের চেষ্টা দ্বারা ধার্মিক হতে পারে? ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মাংস কি প্রকৃতিগতভাবে ধার্মিক ? ঈশ্বরের দৃষ্টিতে কোন মানুষ কখনও মাংসে ধার্মিক হতে পারে না। যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্ত না হলে কোন মাংস কখনও ধার্মিক হতে পারে না । 
 যাদের পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে, মাংসে গর্ব করার মত তাদের কিছুই নেই। আমাদের, যাদের পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে, তারাও মাংসে বিপথে না গিয়ে পারি না, ভাল হওয়ার কোন ক্ষমতা আমাদের নেই। যখন আমরা প্রভুর সেবা করি এবং আত্মিক কাজ করি, তখন ছাড়া আমরা বলতে পারি না যে, আমরা ভাল কাজ করছি। যীশু যেমন বলেছেন, “মাংস হইতে যাহা জাত, তাহা মাংসই; আর আত্মা হইতে যাহা জাত, তাহা আত্মাই”(যোহন ৩:৬ )। মাংস শুধু কামনা দ্বারা চালিত হয়, এবং আত্মা, আত্মা দ্বারা চালিত হয়। মাংস কখনও আত্মায় রূপান্তরিত হতে পারে না। 
 সমস্ত মানুষ পাপে পূর্ণ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে, পাপে জীবন যাপন করে এবং ব্যর্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে; শেষে নরকের অগ্নি-হ্রদে নিক্ষিপ্ত হয়। ঈশ্বর যদি তাদের উদ্ধার করার জন্য তাঁর একজাত পুত্রকে না পাঠাতেন, তাহলে তাদের কোন আশা থাকত না। একটি মাত্র প্রত্যাশা তাদের আছে, ঈশ্বরের সত্যের প্রত্যাশা। ঈশ্বর থেকে না হলে আমরা ধার্মিক হতেও পারতাম না, আমাদের কোন প্রত্যাশাও থাকত না। যদি আপনি এবং আমি, আমরা আমাদের অনুসন্ধান করি, তাহলে দেখতে পাব এটাই সত্যি।
 যদিও আমাদের শ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়, কিন্ত আমাদের অদৃষ্ট যে আমরা জন্মগত ভাবে পাপী, আমরা অনর্থক জীবন-যাপন করি এবং শেষে নরকে যাই। আমরা ক্ষণস্থায়ী! একদিনের জীবন নিয়ে যে পতঙ্গ জন্মগ্রহন করে, দিন শেষে সে মারা যায় এবং ধুলিতে মিশে যায়। আমাদের জীবনটাও তেমনি নশ্বর এবং ক্ষণস্থায়ী। যীশু ছাড়া আমাদের অন্য কোন প্রত্যাশা নেই। যত বড়ই বিখ্যাত হোক না কেন, যত বড় ত্যাগীই হোক, জন্ম গ্রহণ করা, খাওয়া-দাওয়া করা, মৃত্যু বরণ করা এবং নরকে যাওয়া ছাড়া মানুষ এ জীবনে আর কিছুই করতে পারে না। আমরা অর্থহীন জীবন-যাপন করি এবং অর্থহীন ভাবে বিদায় নিই, এবং অনন্তকালীয় বিচার আমাদের অদৃষ্ট। যাহোক, ঈশ্বর ব্যবস্থা দিয়েছিলেন যেন আমরা পাপ সমন্ধে বুঝতে পারি এবং তারপর যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে বিনামূল্যে পাপের ক্ষমা দিয়ে অনুগ্রহে তিনি আমাদের ধার্মিক করেছেন । তিনি তার একজাত পুত্র যীশুকে জগতে পাঠিয়েছিলেন, যিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন, যেন, যারা তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে, তাদের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করতে পারেন। ঈশ্বর যীশুকে আমাদের প্রায়শ্চিত্তরূপে পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর দ্বারাই আমরা ধার্মিক হয়েছি।
 যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে, তারা কিভাবে ধার্মিক হতে পারে? আমরা যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছি, আমাদের কি কোন ধার্মিকতা আছে? ঈশ্বরের সাক্ষাতে গর্ব করার মত এমন কিছু কি আছে? মাংসে গর্ব করার মত আমাদের কিছুই নেই। প্রভু ঈশ্বরের কারণেই আমরা তাঁর ধন্যবাদ করি এবং তাঁতে আনন্দিত হই, কারণ আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি এবং পরিত্রাণ ও অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা পেয়েছি। 
 আমরা যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছি, ঈশ্বর ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারি না। মানুষ কি তার মাংসে গর্ব করতে পারে? মাংস কি আদৌ ধার্মিক? ৭০-৮০ বছরের জীবনে গর্ব করার মত আমাদের কি কিছু আছে? মানুষের ধার্মিক কিছুই নেই। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের কি শ্লাঘা করতে হবে ? মাংসের গর্ব করার মত আসলেই কিছু নেই। ঈশ্বরের সাক্ষাতে মাংসের গর্ব করার মত এমন কি ০.১ % পর্যন্ত নেই। 
 
 

একটা বিষয়েই আমরা শ্লাঘা করতে পারি, আর তা হল ঈশ্বরের ধার্মিকতা

 
 প্রভু আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, এই বিষয়ে আমরা শ্লাঘা করতে পারি; যেমন লেখা আছে, “কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর - দেয় ধার্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্তৃক তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে।” প্রভুই আমাদের অনন্ত জীবন এবং ত্রাণকর্তা। তিনি আমাদের ধার্মিক করেছেন। আমরা ধার্মিক, কারণ যীশু আমাদের যথার্থরূপে পরিত্রাণ করেছেন। মাংসে বা ব্যবস্থার কার্য্য গর্ব করার মত আমাদের কিছুই নেই। বাপ্তাইজিত হওয়ার মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ ধৌত করার জন্য এবং ধার্মিকতা পূর্ণরূপে সাধন করার জন্য আমরা প্রভুর ধন্যবাদ করি এবং তাঁর প্রশংসা করি। 
 বিশ্বাসে আমরা ধার্মিকতা লাভ করি। ঈশ্বর জগতের সমস্ত মানুষকে উদ্ধার করেছেন, একজনও বাকী রাখেননি। ঈশ্বরের পরিত্রাণ আমাদেরকে সুখী করে এবং আশান্বিত করে। তিনি আমাদের নূতন ক্ষমতা দেন। প্রভু ছাড়া আমাদের গর্ব করার আর কিছুই নেই। নিজেদের ধার্মিকতা নিয়ে ঈশ্বরের সাক্ষাতে গর্ব করা লজ্জাজনক। অনেকে নিজেদের কাজের এবং ধার্মিকতার বিষয়ে গর্ব করে ঈশ্বরের কাছে নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে চায়। কিন্তু তাদের আত্মা ধার্মিকতা নোংরা কাপড়ের মত। মানুষের কাছে বা নিজের কাছে গর্ব করার মত কিছু থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু ঈশ্বরের সাক্ষাতে গর্ব করার মত তার কিছুই নেই।
 প্রভুই আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা। “যীশু” অর্থ “ত্রাণকর্তা” এবং তাঁকে খ্রীষ্টও বলা হয়েছে। এর অর্থ হল, মানুষের বেশে ত্রাণকর্তা এলেও তিনি আসলে ঈশ্বর। আমরা তাঁকে বলি, “খীশু খ্রীষ্ট”। যীশু আমাদের ত্রাণকতা এবং ঈশ্বর। আমরা প্রভুর ধন্যবাদ করি, তাঁর প্রশংসা করি, এবং তাঁর সাক্ষাতে ধর্মময় কাজ করি ও বিশ্বস্ত জীবন যাপন করি, কারণ ঈশ্বর আমাদের সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ করেছেন। কেবলমাত্র ঈশ্বরে বিশ্বাসীরাই ধর্মময় কাজ করতে পারে। 
 আমরা পাপ ছাড়াই ধার্মিক কাজ করতে পারি, কারণ প্রভু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং পাপ থেকে মুক্ত করে আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। আমরা নিজেরা পাপ সমস্যার সমাধান করতে পারি। মানুষ নিজে পাপ মোচন করতে পারে না, বা মাংসের ভাল কাজ দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা রক্ষা করতে পারে না।
 ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন এবং আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে ধার্মিকতা লাভ করেছি। আমরা ধার্মিক। আমরা নিজেরা বিভিন্ন সৎকাজ করার মাধ্যমে কি ধার্মিকতা লাভ করে পবিত্র হতে পারি? কেউ যদি এরকম করতে পারত, তাহলে সে যীশুর বড় ভাই/বোন হতে পারত। যীশু কখনোই এই ধরণের ব্যক্তির ত্রাণকর্তা হতে পারতেন না। নিজেদের মাংস দ্বারা আত্মধার্মিকতা দেখানোর জন্য আমাদের একটা অভিলাষ এবং আবেগ রয়েছে। আমরা বুঝতে পারি না যে মাংস আবেগ-তাড়িত হয়ে কাজ করে। যখন আমরা বিপদে পড়ি তখন বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আবেগ তাড়িত হই। ভালো খাবার পেলে আমরা অতিরিক্ত খাই, এবং মজার কিছু পেলেই আমরা তা উপভোগ করতে চাই। 
 আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে মাংস দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা পালন করতে চাই, কারণ মাংস আবেগের বশে কাজ করে, যাহোক, আমরা পারি না। আমাদের নিজেদের ধার্মিকতায় আমরা রক্ষা পাইনি। ভালভাবে ব্যবস্থা পালন করে, মাংস দ্বারা ভাল কাজ করে অথবা নিজেদেরকে ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করে আমরা কখনোই পরিত্রাণ পেতে পারি না। ঈশ্বরের ধার্মিকতার সাথে আমাদের ত্যাগ ০.১% ও কাজে লাগে না। এই বিশ্বাসে আমরা ধার্মিক হই যে, ঈশ্বর মাংসের বেশে পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং যাহোন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন, সমস্ত ধার্মিকতা পূর্ণরূপে সাধন করার জন্য তারপরে ক্ৰশারোপিত হয়েছিলেন; এই বিশ্বাসই সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ করে। 
 
 
যে প্রভু আমাদের উদ্ধার করেছেন, তিনিই আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা 
 
 মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মানুষের কৃত সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার মাধ্যমে প্রভু সমস্ত ধার্মিকতার পূর্ণরূপে সাধন করেছিলেন, তাদের প্রকৃত। ত্রাণকর্তা হয়েছিলেন এবং আমাদেরকে ধার্মিক করেছেন। ঈশ্বর আমাদের আত্মিকভাবে চলার ক্ষমতা দিয়েছেন। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আত্মিকভাবে চলার অধিকার আমাদের রয়েছে, কারণ আমরা তাঁর ধার্মিকতা লাভ করেছি, আমাদের মাংস যদিও অবিরত পাপ করে, তবুও আমরা পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি।যাহোক, যাদের পাপ এখনো মোচন হয়নি তারা আত্মিকভাবে চলতে পারে না।
 ঈশ্বরের দ্বারা আমরা আত্মিক কাজ করতে যোগ্য হয়েছি। এখন আমরা আত্মর কাজ করতে পারি মাংসিক কাজ থেকে বিরত থেকে আমরা ঈশ্বরের ধর্মময় কাজ করতে পারি। ঈশ্বর আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন, এটা কতবড় সত্যি! ঈশ্বর, যিনি সমস্ত সৃষ্টির সাথে মানুষকেও সৃষ্টি করেছেন, আমাদের কাছে তিনি ত্রাণকর্তা রূপে প্রকাশিত হয়েছেন। কারণ তিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং সমস্ত ধার্মিকতা পূর্ণরূপে সাধন করেছিলেন।আমাদের সাথে সম্পর্কের কারণে ঈশ্বর আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা হয়েছেন। 
 দূর্বল এবং অশুচি ব্যক্তি যদি আমাদের উদ্ধার করত, তাহলে পরিত্রাণ যথার্থ হত না। ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যেত। অথচ আমাদের যিনি উদ্ধার করেছেন, তিনি তেমন নন। তিনি ঈশ্বর এবং সৃষ্টিকর্তা, সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। যাহোন ১:৩ পদে বলা হয়েছে,“সকলই তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, যাহা হইয়াছে, তাহার কিছুই তাঁহা ব্যতিরেকে হয় নাই।” যীশু কে? ত্রাণকর্তা। ত্রাণকর্তা কে? তিনি ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা। আমাদের যথার্থরূপে উদ্ধার করেছেন। আমাদের পরিত্রাণ যথার্থ, কারণ তিনি আমাদের উদ্ধার করেছেন। এটা চিরস্থায়ী। কিন্তু তিনি যদি সৃষ্টিকর্তা না হয়ে সাধারণ মানুষ হতেন, তাহলে আমাদের পরিত্রাণ বৃথা হত।পরিত্রাণ বেশীক্ষণ স্থায়ী হত না, ধার্মিকতা হত নোংরা বস্ত্রের মত। যদি কেউ চামড়ার কাপড় পরে ফুটবল বা স্লাইড খেলে, তার কাপড় ছিঁড়বে না। কিন্তু যদি উপযুক্ত কাপড় না পরে, সাথে সাথেই তা ছিঁড়ে যাবে।
 যে প্রভু আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি অশুচি নন। আমাদের উদ্ধারকর্তা প্রভুই ঈশ্বর, তিনি শুচি। যীশু, যিনি বাপ্তিস্ম দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, ক্ৰশারোপিত হয়েছেন, পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং এখন ঈশ্বরের দক্ষিণে বসে আছেন,বিশ্বাসীর মাংসময় দেহ যত দূর্বলই হোক না কেন, তাঁর পরিত্রাণ কখনো নিষ্ফল হতে পারে না। ঈশ্বর আমাদের এই পরিত্রাণ দিয়েছেন ।
 
 
বিশ্বাস দ্বারা বাঁচার উদ্দেশে আমাদের নিজস্ব
ধার্মিকতাকে বিসর্জন দিতে হবে
 
 বাইবেলে, যারা বিভিন্ন দুঃখ কষ্টের মাধ্যমে নিজস্ব ধার্মিকতায় জীবন - যাপন করেছিল , ঐসব দুঃখ কষ্ট দ্বারা ঈশ্বর তাদের আত্ম ধার্মিকতাকে দূর করতে চেয়েছিলেন। রাজাদের ব্যাপারে লিখতে গিয়ে “ কিন্তু উচ্চপদ লইয়া লওয়া হয় নাই ” কথাটি অনেক জায়গায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তার অর্থ হল মানুষ ( নারী/পুরুষ ) মাংসে কখনো শুচি হতে পারে না, কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক হয়।
 আমার প্রিয় ভক্তগণ, আমরা যতই দূর্বল হই না কেন, ঈশ্বর আমাদের প্রকৃতরূপে উদ্ধার করেছেন। নিজের ধার্মিকতায় বাঁচার চেষ্টা করলে আমরা মারা পড়ব। কিন্তু প্রভু ঈশ্বর পাপ থেকে আমাদের সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করেছেন। আমরা দূর্বল সত্ত্বেও, আমাদের জন্য তনি আনন্দ করবেন, যদি আমরা প্রভুর ধার্মিকতায় জীবন-যাপন করি। যিশাইয় ৫৩:৫ পদে বলা হয়েছে, “ কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চুর্ণ হইলেন।” ঈশ্বর চিরকালে তরে আমাদের অধর্ম তুলে নিয়েছেন। আমাদের এই ভয়ে ভীত হওয়ার কোন দরকার নেই যে, আমাদের ধার্মিকতা নষ্ট হয়ে যাবে। 
 কোন কোন মানুষের ব্যক্তিত্ব কাঁচের ঘরের মত। আমি এমন এক বানকে চিনি, যিনি আমেরিকায় গিয়েছিলেন। যখনই তার সাথে আমার দেখা হয়েছে, আমি দেখেছি তিনি খুবই ভদ্র, সতর্কতার সাথে কথা বলেন এবং কখনো গালি দেন না। তিনি পাপের ক্ষমা পাওয়া সত্ত্বেও দুষ্ট লোককে বলতেন, “ওহে, মিষ্টার খারাপ লোক”। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি পাপের ক্ষমা পেয়েছিলেন, কিন্তু তবু আত্মধার্মিকতায় পূর্ণ ছিলেন। যাহোক, পাপের ক্ষমা লাভ করার পরেও তিনি আত্মধার্মিকাতায় পূর্ণ ছিলেন, তাই তার ধার্মিকতা যেন নষ্ট হয়ে না যায়, সেই জন্য তিনি সর্বদা চুড়ান্ত সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতেন বা কথাবার্তা বলতেন। তার মত অনেকেই আছে। তাদের ধার্মিকতা কি দীর্ঘসময় স্থায়ী হয়? তা খুব তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যাবে।
 পরিত্রাণ পাওয়ার পরেও কি আপনি মাংসে দূর্বল? হ্যাঁ। আপনি কি সত্যিকারের সৎ জীবন-যাপন করেন? পাপের ক্ষমা পাওয়ার পরে আমরা যদি আত্মার চালনায় চলি, কেবল মাত্র তখনই সৎ জীবন-যাপন করতে পারি। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের ধর্মময় কাজই কেবল গ্রাহ্য হয়। আমরা যখন আত্মায় চলি বা কাজ করি তখন মূল্যবান হই। বিশ্বসীদের মধ্যে অনেকে আছে, যারা পাপের ক্ষমা পাওয়ার পরেও, ধার্মিকতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে খুব সতর্কতার সাথে জীবন-যাপন করে।
 যাহোক ঈশ্বর তাদের জন্য আনন্দ করেন না। যে কোন ভাবেই হোক, মানবীয় ধার্মিকতা নষ্ট হবে। তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়াই ভাল। ১০ অথবা ২০ বছর পরে যে কোন ভাবে তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বাহ্যিক মনুষ্যের অহং যত তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যায় ততই ভাল, তাহলে আন্তরিক মনুষ্য বিশ্বাস দ্বারা বাঁচতে পারবে। মানুষ সব সময় সচেষ্ট যেন তাদের ধার্মিকতা নষ্ট না হয়, কিন্তু এক সময় তা নষ্ট হয়ই।
 প্রভু আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। আমাদের ত্রাণকর্তা শুচি! প্রভু ঈশ্বর আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। তিনি আপনাকে এবং আমাকে, উভয়কে উদ্ধার করেছেন। মাংসে দূর্বলতার কারণে আপনি কি আবার পাপী হবেন? না।ঈশ্বর সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করেছেন। জল ও আত্মায় নূতন জন্ম পাওয়ার পরে ও আমাদের ধার্মিকতা বার বার ভেঙ্গে যায়। প্রভুকে অনুসরন করার সময়ও অনেকবার আমাদের অধর্ম বেরিয়ে পড়ে। আত্মকেন্দ্রিক মানুষের অধর্ম ঢাকতে গেলে আরো বেশী বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু বহির্মুখী মানুষের অধার্মিকতা সব সময় বেরিয়ে পড়ে। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় দৃঢ় থাকলে আমালে ধার্মিকতা প্রকাশ পায়, কিন্তু আমাদের নিজেদের ধার্মিকতা নষ্ট হয় যায়।
 
 
মাংস থেকে যা জন্মে তা মাংস এবং আত্মা থেকে যা জন্মে তা আত্মা 
 
 আমি চাই যেন আপনি বিশ্বাস করেন যে, প্রভু ঈশ্বর আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হয়েছেন। সুতরাং আমরা অবশ্যই বিশ্বাস দ্বারা বাঁচব। ঈশ্বর চান যেন আমাদের নিজস্ব ধার্মিকতা নষ্ট হয়ে যায় এবং তিনি তাতে সন্তুষ্ট হন। যোহন ৩:৬ পদে বলা হয়েছে , “মাংস হইতে যাহা জাত, তাহা মাংসই; এবং আত্মা হইতে যাহা জাত, তাহা আত্মাই।” মাংস কখনো আত্মা হতে পারে না। বৌদ্ধ ধর্মে “পার্থিব অস্তিত্বের বন্ধন মুক্তির মতবাদ” রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মাংস আত্মা হতে পারে। মাংস কখনোই আত্মা হতে পারে না। না, কখনো না। কে এটা করতে পারে? চলে আসুন। কেউ করতে পারে না। 
 বৌদ্ধ ধর্মের সুং - চুল নামক একজন সমসাময়িক ভিক্ষু সম্প্রতি মারা গিয়েছিল। দুই দশক ধরে সে সত্যের অনুসন্ধানে তপস্যা করেছে, কিন্তু তা পায়নি। আত্মিক আলো পাবার জন্য সে পুরো এক দশক ঘুমানোর জন্য কোথাও শোয়নি। ১০বছর পর্যন্ত সে বসে বসে ঘুমিয়েছে; সে এমন একটা মানষিকতা অর্জনের চেষ্টা করেছে, যার দ্বারা সে সমস্ত মন্দ চিন্তা, ব্যভিচার, লম্পটতা, খুন, চৌর্য, দুষ্টতা, গর্ব এবং মূর্খতা, যেগুলো তার হৃদয়ে উদয় হত, বাধা দিতে চেয়েছে। অনেকে তাকে জীবন্ত বুদ্ধ মনে করত। কিন্তু সে নিজে জানত যে, সে মাংসিক কামনা জয় করতে পারেনি, তাই মৃত্যুর আগে সে একটি নির্বাণ কবিতা রচনা করেছিল। দুই দশক ধরে পর্বতের গুহায় মনের চর্চা করার পরে, সে রচনা করেছিল।
 “জীবনে আমি অনেক নর-নারীকে প্রতারণা করেছি, উচ্চতম পর্বতের চেয়েও আমার পাপ বেশী। আমি অনন্ত নরকে যাব। দশ সহস্র উপায়ে আমার বিলাপ ছড়িয়ে পড়বে। নীল পাহাড়ের পিছনে। এক টুকরো লাল সূর্য্য অস্তমিত হচ্ছে।”
 জগতের ধর্মীয় অনেক লোকেরা তার ব্যক্তিত্বকে পছন্দ করত, তার শিক্ষাকে পছন্দ করত। কিন্তু সে নিজে বলছে যে, সে নরকে যাবে।
    মাংস কখনোই আত্মা হতে পারে না। কিন্তু যখন আমরা তাঁর পরিত্রাণে, নূতন জন্ম পেয়ে আমরা তাঁর সন্তান হই। ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমরা নূতন সৃষ্টি হই, তাঁর ধার্মিকতায় তিনি আমাদের পুনরুত্থিত করেন। নিজের চেষ্টায় কোন মানুষ কখনোই নূতন হতে পারে না। 
 যে সব প্রচারকেরা, ভিক্ষুরা এবং ক্যাথলিক ফাদাররা কারাগারে ধর্ম প্রচার করেন, বন্দিদের তারা বাকী জীবন ভাল কাজ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু মাংস কখনো পরিবর্তিত হয় না। ঈশ্বর চান আমরা যেন নিজেদের ধার্মিকতা পরিত্যাগ করি এবং বিশ্বাস করি যে, প্রভুই আমাদের ত্রাণকর্তা। যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে বিশ্বাস করুন। তাহলে আপনার পরিত্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস হবে। 
 
 
ঈশ্বর এখন বিশ্বাসীদের অন্বেষণ করেন
 
 আমাদের পক্ষে প্রভু প্রায়শ্চিত্তের বলিদান স্বরূপ হয়েছেন। যে পাপ পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে মানুষকে পৃথক করেছিল, সেই পাপ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি বাণ্ডাইজিত হয়েছিলেন। সেই পাপের বেতনরূপে তাঁকে ক্রুশারোপিত হতে হয়েছিল, আমাদের স্থলে বিচারিত হতে হয়েছিল, এবং এইভাবে তিনি আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। ঈশ্বর আমাদের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত বলিদানস্বরূপ হয়েছিলেন।
 তিনি বলেন, “তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে প্রদর্শন করিয়াছেন; যেন তিনি আপন ধার্ম্মিকতা দেখান—কেননা ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্ব্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল। যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্ম্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্ম্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্ম্মিক গণনা করেন। ” (রোমীয় ৩:২৫-২৬)
 ঈশ্বর এই পৃথিবীতে এলেন এবং ধার্মিকতা সাধন করলেন পৃথিবীর সবাই পাপহীন। ঈশ্বরের যথার্থ পরিত্রাণে বিশ্বাস করলে কেউই (নারী/পুরুষ) নরকে যাবে না। কিন্তু অবিশ্বাসের কারণেই মানুষ নরকে যায়। নিজের ধার্মিকতা এবং কপটতা পরিত্যাগ করে কেউ যদি ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের দেওয়া, যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের পরিত্রাণে বিশ্বাস করে, সে পরিত্রাণ পাবে। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আমরা পাপহীন ভাবে বেঁচে আছি, কারণ তিনি নিজের উপরে সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং সেগুলো মুছে দিয়েছিলেন। 
 আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। আপনিও করেন। তিনি ত্রাণকর্তা। আমাদের কোন পাপ নেই। তবু ঈশ্বর আমাদের যথার্থভাবে উদ্ধার করেছেন। আমাদের জন্য শুধু একটাই সমস্যা, আর তা হল কিভাবে আমরা বাকী জীবনটা যাপন করব। আমাদের কিভাবে বাঁচা উচিত? আমাদের আত্মায় চলা উচিত। পাপ মোচনের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। “ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল-” অর্থাৎ, কৃত পাপের জন্য ঈশ্বর আমাদের দোষী করেন না। আমাদের কোন পাপ নেই, বিচারিত হওয়ার মত আমাদের কিছু নেই; যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়ে এবং ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে ঈশ্বর আমাদের আগেই উদ্ধার করেছেন। তাই পাপের জন্য ঈশ্বর আমাদের দোষী করেন না। যারা হৃদয় দিয়ে এই সত্যে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের অন্বেষণ করেন। 
 বাইবেল বলে যে ধার্মিক কেউ নেই, কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস দ্বারা আমরা ধার্মিক হয়েছি। “ যেমন লিখিত আছে, ধার্ম্মিক কেহই নাই, একজনও নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই। সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা একসঙ্গে অকর্ম্মণ্য হইয়াছে; সৎকর্ম্ম করে এমন কেহই নাই, এক জনও নাই। তাহাদের কণ্ঠ অনাবৃত কবরস্বরূপ; তাহারা জিহ্বাতে ছলনা করিয়াছে; তাহাদের ওষ্ঠাধরের নিম্নে কালসর্পের বিষ থাকে; তাহাদের মুখ অভিশাপ ও কটুকাটব্যে পূর্ণ; তাহাদের চরণ রক্তপাতের জন্য ত্বরান্বিত। তাহাদের পথে পথে ধ্বংস ও বিনাশ, এবং শান্তির পথ তাহারা জানে নাই; ঈশ্বর-ভয় তাহাদের চক্ষুর অগোচর।” (রোমীয় ৩:১০-১৮)
 ঈশ্বর এই পৃথিবীতে এলেন, এবং এই পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় অধর্মের বশবর্তী হয়ে মানুষ যত পাপ করে সবগুলি তুলে নিলেন এবং যর্দ্দন নদীতে তিনি নিজেকে মূল্যহীন করলেন। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন? 
 এখন, যারা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মক্ত করেছেন, ঈশ্বর তাদের অন্বেষণ করেন। ধার্মিকদের উপরে প্রভুর দৃষ্টি রয়েছে। আমাদের মত ধার্মিকদের তিনি উদ্দীপ্ত করেন। তিনি আমাদের যত্ন নেন, সব সময় আমাদের সহবর্তী থাকেন, রক্ষা করেন এবং আমাদের কাজে সহায়তা করেন। ধার্মিকতার ব্যাপারে আমাদের উপরে ঈশ্বরের আস্থা আছে। আমরা যদি আমাদের মাংসিক অধর্মের ব্যাপারে দুঃখ করি, যীশু তার চেয়েও বেশী দুঃখ করবেন। “ আমি যখন তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছি, তখন কেন তুমি দুঃখ করছ !”
 এখন আমাদের করণীয় হল ঈশ্বরে বিশ্বাস করা, আত্মার চালনায় চলা এবং আত্মসমূহের জন্য সুসমাচার প্রচার করা। এই কাজ গুলোই এখন আমাদের করতে হবে। আপনি কি বিশ্বাস করেন? আপনি কি অন্যের সাথে তুলনা করে নিজের ধার্মিকতাকে দেখাতে চান বা স্থাপন করতে চান? যে নিজের দ্বারা ধার্মিক হতে পারে না, তাকে ঈর্ষা করবেন না। আসলে, প্রকৃতিগতভাবে কোন মানুষই ধার্মিক নয়।
 
 
যিনি আমাদের তাঁর বাপ্তিস্ম ও এবং ক্রুশ দ্বারা উদ্ধার করেছেন, আমরা সেই প্রভুর ধন্যবাদ করি
 
 ঈশ্বর যে প্রেমে আমাদেরকে যথার্থরূপে পরিত্রাণ দিয়েছেন, তাতে ছাড়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে কোন বিষয়ে গর্ব করতে পারি না। আমরা শুধু প্রভুর পরিত্রাণেরই শ্লাঘা করতে পারি, তার প্রশংসা ও গৌরব করতে পারি এবং জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে পারি। পাপ এবং নরক সম্বন্ধে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। “ অতএব এখন , যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দন্ডজ্ঞা নাই ” (রোমীয় ৮:১ )। কখনো না। আপনি কি এটা দেখতে পাচ্ছেন? কেউ যদি বিশ্বাস না করে যে, প্রভু তাঁর ধর্মময় কাৰ্য্য দ্বারা তাকে ( নারী/পুরুষ ) উদ্ধার করেছেন, তাহলে সে নরকে যাবে। যাহোক, বিশ্বাস করলে নরকে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং রক্ত দ্বারা প্রভু ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।“কেননা আমাদের মীমাংসা এই যে, ব্যবস্থার কাৰ্য্য ব্যতিরেকে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়। ঈশ্বর কি কেবল যিহূদীদের ঈশ্বর, পরজাতীয়দেরও কি নহেন? হাঁ,পরজাতীয়দেরও ঈশ্বর,”(রোমীয়৩:২৮-২৯)।
 ঈশ্বর শুধু যিহূদীদের ঈশ্বর নন, তিনি পরজাতীয়দেরও ঈশ্বর। তিনি সমগ্র মানব জাতির ঈশ্বর। প্রভু ঈশ্বর আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। এই কাজ সাধন করার উদ্দেশে তিনি পৃথিবীতে এলেন, পাপ তুলে নেওয়ার জন্য বাপ্তাইজিত হলেন এবং সেই পাপের জন্য আমাদের স্থলে ক্রুশে বিচারিত হলেন। কাজেই তিনি মানুষের ঈশ্বর এবং ত্রাণকর্তা হলেন। এটাই হল রোমীয় ৩ অধ্যায়ের উপসংহার। প্রেরিত পৌল এটা বিশ্বাস করতেন, আমরাও বিশ্বাস করি। 
 প্রেরিত পৌল কেবল মাংসের দূর্বলতার কথাই বলেননি, কিন্তু ব্যবস্থা ছাড়া ঈশ্বরের ধার্মিকতার কথাও বলেছেন। ব্যবস্থার কাজ দ্বারা আমার উদ্ধার পেতে পারি না। কিসের দ্বারা আমরা পাপ মুক্ত হতে পারি? ঈশ্বরের পরিত্রাণে বিশ্বাস দ্বারা। প্রভু ঈশ্বর আমাদের প্রায়শ্চিত্ত বলিদান হলেন এবং পূর্বে কৃত পাপ সকল দূর করলেন। তাই অবিশ্বাসীরা পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে পাপ করার কারণে বিচারিত হবে। মাংসের দূর্বলতার কারণে কৃত পাপের বিচার তিনি করেন না, কারণ না পৃথিবীতে কোন পাপ নেই। 
 সুতরাং আমাদের অবশ্যই প্রভু ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাসীদের প্রতি কোন দোষ বা দন্ডাজ্ঞা নেই। ঈশ্বর বিশ্বাসীদের ঈশ্বর, তাই বাকী জীবনটা আমাদের পবিত্র আত্মার চালনায় চলতে হবে। আমরা সব সময় আত্মার চালনায় কাজ করতে পারি, কারণ আমাদের সমস্ত পাপ ইতিপূর্বেই ক্ষমা হয়ে গেছে; যদিও আমাদের মাংসময় দেহ কামনার বশবর্তী হয়ে বাঁচতে চায়। প্রভু ঈশ্বর যিহূদী এবং পরজাতি উভয়েরই ঈশ্বর। তিনি বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের ঈশ্বর। অর্থাৎ তিনি সব মানুষকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে চান। তিনি অবিশ্বাসীদের ত্রাণকর্তা হতে পারেন। বিশ্বাসীদের ত্রাণকর্তা তিনি ইতিপূর্বেই হয়েছেন। 
 হৃদয়ের গভীর থেকে আমি প্রভু ঈশ্বরের ধন্যবাদ জানাই। প্রভু ঈশ্বর যদি না থাকতেন, মানুষের বেশে তিনি যদি পৃথিবীতে না আসতেন এবং পাপ তুলে নেওয়ার জন্য যর্দ্দন নদীতে যদি বাপ্তিস্ম না নিতেন, তাহলে আমাদের কত দুর্দশাই না হত। তিনি যদি আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা না হতেন, তাহলে পাপ ক্ষমা লাভের পরও আমরা পাপী থেকে যেতাম, কারণ মৃত্যু পর্যন্ত আমরা দূর্বল। প্রভু ঈশ্বরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?