• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[6-2] যীশুর বাপ্তিস্মের প্রকৃত অর্থ (রোমীয় ৬:১-৮)

< রোমীয় ৬:১-৮ >
 “তবে কি বলিব? অনুগ্রহের বাহুল্য যেন হয় এই নিমিত্ত কি পাপে থাকিব? তাহা দূরে থাকুক। আমরা ত পাপের সম্বন্ধে মরিয়াছি, আমরা কি প্রকারে আবার পাপে জীবন যাপন করিব? অথবা তোমরা কি জান না যে, আমরা যত লোক খ্রীষ্ট যীশুর উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, সকলে তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছি? অতএব আমরা তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশে বাপ্তিস্ম দ্বারা তাঁহার সহিত সমাধিপ্রাপ্ত হইয়াছি; যেন, খ্রীষ্ট যেমন পিতার মহিমা দ্বারা মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইলেন, তেমনি আমরাও জীবনের নূতনতায় চলি। কেননা যখন আমরা তাঁহার মৃত্যুর সাদৃশ্যে তাঁহার সহিত একীভূত হইয়াছি, তখন অবশ্য পুনরুত্থানের সাদৃশ্যেও হইব। আমরা ত ইহা জানি যে, আমাদের পুরাতন মনুষ্য তাঁহার সহিত ক্রুশারোপিত হইয়াছে, যেন পাপদেহ শক্তিহীন হয়, যাহাতে আমরা পাপের দাস আর না থাকি। কেননা যে মরিয়াছে, সে পাপ হইতে ধার্ম্মিক গণিত হইয়াছে। আর আমরা যখন খ্রীষ্টের সহিত মরিয়াছি, তখন বিশ্বাস করি যে, তাঁহার সহিত জীবনপ্রাপ্তও হইব।”
 
 

বাপ্তিস্ম অর্থ কি?

 
 যীশুকে যে যোহন বাপ্তিস্ম দিয়েছিলেন, তাঁকে আমরা যোহন বাপ্তাইজক বলি। তাঁহলে, বাপ্তিস্ম অর্থ কি? “বাপ্তিস্ম’ গ্রীক ভাষায় “βάπτισμα”। তার মানে “নিমজ্জিত”। এবং বাপ্তিস্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ হলো ‘পাপ এবং মৃত্যু তুলে নেওয়া’।
 “নিমজ্জিত” হওয়া মৃত্যুর সদৃশ। যোহন বাপ্তাইজক যখন যীশুকে বাপ্তিস্ম দিলেন, তখন সমস্ত জগতের সব পাপ তাঁর উপরে অর্পিত হলো। এবং এভাবে তিনি সমস্ত পাপ তুলে নিলেন, আর আমাদের সমস্ত পাপের মূল্যরূপে ক্রুশে তাঁর জীবন দিলেন। আমাদের স্থলে যীশু মৃত্যুবরণ করলেন। মৃত্যু হলো পাপের ফল,কারণ, “পাপের বেতন মৃত্যু” (রোমীয় ৬:২৩)। 
 বাপ্তিস্ম অর্থ “ধৌত হওয়া”। যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের পাপের শেষ বিন্দু পর্যন্ত নিজের দেহে বহন করলেন এবং ধৌত করলেন। মানুষের হৃদয়ের সমস্ত পাপ ধুয়ে গেল; কারণ বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সেই পাপ গুলো যীশুর উপরে অর্পণ করা হয়েছিল।
 বাপ্তিস্ম অর্থ “হস্তাৰ্পণ” ও বুঝায়। “হস্তাৰ্পণ” মানে “অর্পণ করা”। যোহনের কাছে যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ করার অর্থ হল জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে বহন করা। ঈশ্বরের পরিত্রাণের জন্য এটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল যে, ইস্রায়েলদের সমস্ত পাপ বলির পশুর উপরে অর্পণ করার জন্য, সপ্তম মাসের দশম দিনে মহাযাজক বলির মস্তকে হস্তার্পণ করতেন। লেবীয়পুস্তক ১৬:২১-২২ পদে আছে, “পরে হারোণ সেই জীবিত ছাগের মস্তকে আপনার দুই হস্ত অর্পণ করিবে, এবং ইস্রায়েল সন্তানগণের সমস্ত অপরাধ ও তাহাদের সমস্ত অধর্ম্ম অর্থাৎ তাহাদের সর্ব্ববিধ পাপ তাহার উপরে স্বীকার করিয়া সে সমস্ত ঐ ছাগের মস্তকে অর্পণ করিবে; পরে যে প্রস্তুত হইয়াছে, এমন লোকের হস্ত দ্বারা তাহাকে প্রান্তরে পাঠাইয়া দিবে। আর ঐ ছাগ নিজের উপরে তাহাদের সমস্ত অপরাধ বিচ্ছিন্ন ভূমিতে বহিয়া লইয়া যাইবে; আর সেই ব্যক্তি ছাগটিকে প্রান্তরে ছাড়িয়া দিবে।” মহাযাজক হারোণ ইস্রায়েলদের সমস্ত পাপ অর্পণ করার উদ্দেশে জীবিত ছাগের উপর হস্তার্পণ করতেন এবং তারপর পাপীদের পক্ষে ছাগটিকে হত্যা করা হত। 
 
 

পুরাতন নিয়মে “পাপার্থক বলির মস্তকে হস্তাৰ্পণ” নূতন নিয়মে “বাপ্তিস্ম” এর প্রতিরূপ

 
 বাপ্তিস্ম অর্থ “নিমজ্জিত হওয়া” আরো অর্থ হল “সমাধিস্থ হওয়া, ধৌত হওয়া অথবা অর্পণ করা”। পুরাতন নিয়মে লোকেরা নির্দোষ ছাগ অথবা মেষশাবক বলিদানের জন্য আনত এবং নিজেদের পাপ অর্পণ করার উদ্দেশে বলির মস্তকে তারা হস্তার্পণ করত। এটা নূতন নিয়মে যীশুর বাপ্তিস্মের প্রতিরূপ। “হস্তার্পণের” মাধ্যমে ছাগের উপরে পাপ অর্পণ করা হত এবং ছাগটি হত্যা করা হত। সমস্ত মানব জাতির প্রতিনিধি স্বরূপ যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নেওয়ার মাধ্যমে যীশুর উপর জগতের সমস্ত পাপভার অর্পিত হল এবং তিনি ক্রুশ বিদ্ধ হলেন। 
ইস্রায়েল জাতির প্রতিনিধি হিসাবে মহাযাজক হারোণ, সমগ্র ইস্রায়েল জাতির পাপ অর্পণ করার উদ্দেশে ছাগের মস্তকে হস্তাৰ্পণ করতেন এবং ছাগটিকে বলি দিতেন। তারপর ছাগের রক্ত আঙ্গুলে নিয়ে হোম বলির বেদীর শৃঙ্গে ছিটিয়ে দিতেন। তাই লূক বলেন যে, হারোণ যেমন সমস্ত ইস্রায়েল জাতির প্রতিনিধি ছিলেন, তেমনি হারোণের বংশধর যোহন বাপ্তাইজকও সমগ্র মানব জাতির প্রতিনিধি। 
 বাইবেল বলে, “আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, স্ত্রী লোকের গর্ভজাত সকলের মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক হইতে মহান্‌ কেহই উৎপন্ন হয় নাই, তথাপি স্বর্গ-রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র যে ব্যক্তি, সে তাহা হইতে মহান্‌।”
(মথি ১১:১১)। ঈশ্বরের অনন্তকালীয় বিধি অনুসারে বাপ্তিস্মের সময়ে হস্তাৰ্পণ দ্বারা যীশুর উপরে জগতের সমস্ত পাপ অর্পণ করার অধিকার যোহন বাপ্তাইজকের ছিল। যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন শেষ মহাযাজক। আমি যখন যোহন বাপ্তাইজককে শেষ মহাযাজক বলি, তখন লোকে প্রশ্ন করে “বাইবেলে কোথায় লেখা আছে যে, যোহন বাপ্তাইজক শেষ মহাযাজক?” এটা কি লেখা নাই? যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন সখরিয়ের ঔরসজাত পুত্র। মহাযাজক হারোণের প্রপৌত্র অবিয়ের গোষ্ঠীর সন্তান ছিলেন যাজক সখরিয়, তিনি স্পষ্টতঃই হারোণের উত্তরসুরী।
 ১ বংশাবলি ২৪:১০ পদে হারোণের বংশধরদের যাজক হিসাবে গোষ্ঠী বিভাগের বর্ণনা রয়েছে। দায়ূদের রাজত্বকালের শেষ দিকে যাজকদের সংখ্যা এত বেশী ছিল যে, তাঁদেরকে গোষ্ঠী হিসেবে ভাগ করতে হত। হারোণের ২৪ জন প্রপৌত্রের ভিত্তিতে তাঁদেরকে গুলিবাঁট করে ২৪ গোষ্ঠীতে ভাগ করা হত। অষ্টম গোষ্ঠী ছিল অবিয়ের গোষ্ঠী। প্রত্যেক গোষ্ঠীর ১৫ জন করে পবিত্র স্থান এবং সদাপ্রভুর গৃহের সেবা করত। অবিয়ের বংশধর সখরিয়কে কাৰ্য্যরত অবস্থায় ঈশ্বর মনোনীত করেছিলেন।
 লূক ১:৯ পদে বলা হয়েছে,“তখন যাজকীয় কার্য্যের প্রথানুসারে গুলিবাঁট ক্রমে তাঁহাকে প্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করিয়া ধূপ জ্বালাইতে হইল।
সেই ধূপদাহের সময়ে সমস্ত লোক বাহিরে থাকিয়া প্রার্থনা করিতেছিল।” এখানে দেখা যাচ্ছে যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন মহাযাজক হারোণের উত্তরসুরী যিনি সমগ্র মানব জাতির প্রতিনিধত্ব ! করেছেন (মথি ১১ : ১১,৩ ১৩-১৭ )। ব্যবস্থা অনুসারে মহাযাজকের বংশধরই মহাযাজক হতে পারত। সিংহ থেকেই কেবল সিংহের জন্ম হতে পারে। হারোণের উত্তরসুরী তাই মহাযাজকত্বের দাবীদার।
 
 

যীশুর প্রেরিতগণও যীশুর বাপ্তিস্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন

 
 সকল প্রেরিতগণ, বিশেষ করে পৌল, পিতর, মথি এবং যোহন। যীশুর বাপ্তিস্মে সম্পর্কে প্রচার করতেন। আসুন দেখি, প্রিরিত পৌল শাস্ত্রের এই অংশে কি সাক্ষ্য দিচ্ছেন, “তবে কি বলিব? অনুগ্রহের বাহুল্য যেন হয় এই নিমিত্ত কি পাপে থাকিব? তাহা দূরে থাকুক। আমরা ত পাপের সম্বন্ধে মরিয়াছি, আমরা কি প্রকারে আবার পাপে জীবন যাপন করিব? অথবা তোমরা কি জান না যে, আমরা যত লোক খ্রীষ্ট যীশুর উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, সকলে তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছি? অতএব আমরা তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশে বাপ্তিস্ম দ্বারা তাঁহার সহিত সমাধিপ্রাপ্ত হইয়াছি; যেন, খ্রীষ্ট যেমন পিতার মহিমা দ্বারা মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইলেন, তেমনি আমরাও জীবনের নূতনতায় চলি। কেননা যখন আমরা তাঁহার মৃত্যুর সাদৃশ্যে তাঁহার সহিত একীভূত হইয়াছি, তখন অবশ্য পুনরুত্থানের সাদৃশ্যেও হইব। আমরা ত ইহা জানি যে, আমাদের পুরাতন মনুষ্য তাঁহার সহিত ক্রুশারোপিত হইয়াছে, যেন পাপদেহ শক্তিহীন হয়, যাহাতে আমরা পাপের দাস আর না থাকি। কেননা যে মরিয়াছে, সে পাপ হইতে ধার্ম্মিক গণিত হইয়াছে। আর আমরা যখন খ্রীষ্টের সহিত মরিয়াছি, তখন বিশ্বাস করি যে, তাঁহার সহিত জীবন প্রাপ্তও হইব।”
 গালাতীয় ৩:২৭ পদেও বলা হয়েছে “কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ।” আসুন, আমরা পিতরের সাক্ষ্য দেখি, “আর এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম—অর্থাৎ মাংসের মালিন্যত্যাগ নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিকটে সৎসংবেদের নিবেদন-তাহাই যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদিগকে পরিত্রাণ করে।” (১ পিতর ৩:২১)
 ১যোহন ৫:৫-৮ পদে প্রেরিত যোহন বলেন, “কে জগৎকে জয় করে? কেবল সেই, যে বিশ্বাস করে, যীশু ঈশ্বরের পুত্র। তিনি সেই, যিনি জল ও রক্ত দিয়া আসিয়াছিলেন, যীশু খ্রীষ্ট; কেবল জলে নয়, কিন্তু জলে ও রক্তে। আর আত্মাই সাক্ষ্য দিতেছেন, কারণ আত্মা সেই সত্য। বস্তুতঃ তিনে সাক্ষ্য দিতেছেন, আত্মা ও জল ও রক্ত, এবং সেই তিনের সাক্ষ্য একই।”
 মথি ৩:১৩-১৭ পদে মথি সাক্ষ্য দিয়েছেন, “তৎকালে যীশু যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত হইবার জন্য গালীল হইতে যর্দ্দনে তাঁহার কাছে আসিলেন। কিন্তু যোহন তাঁহাকে বারণ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, আপনার দ্বারা আমারই বাপ্তাইজিত হওয়া আবশ্যক, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন? কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন। পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া অমনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ, তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন। আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত।”
 যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে যীশু জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন। “কেননা এই রূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত।” সর্বোত্তম উপায়ে অর্থাৎ যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে যীশু জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন। ঈশ্বর সাক্ষ্য দিচ্ছেন “পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া অমনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ, তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন। আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত।”( মথি ৩:১৬-১৭)। যীশুর বাপ্তিম্মের মাধ্যমে জগতের
সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছিলেন এবং তিন বৎসর যাবৎ জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং তৃতীয় দিবসে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। তিনি এখন ঈশ্বরের দক্ষিণে বসে আছেন। 
 যারা পাপমুক্ত অবস্থায় তাঁর অপেক্ষা করছে, যীশু তাদের আবার নিতে আসবেন। ইব্রীয় ৯:২৮ পদে বলা হয়েছে, “তেমনি খ্রীষ্টও ‘অনেকের পাপভার তুলিয়া লইবার’ নিমিত্ত এক বার উৎসৃষ্ট হইয়াছেন; তিনি দ্বিতীয় বার, বিনা পাপে, তাহাদিগকে দর্শন দিবেন, যাহারা পরিত্রাণের নিমিত্ত তাঁহার অপেক্ষা করে।” ঈশ্বর স্বয়ং বলেছিলেন, “ইনি আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত” এবং পিবত্র আত্মাও সাক্ষ্য দেন যে, যিনি আমাদের জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন, তিনি ত্রাণকর্তা যীশু। আত্মিক চোখ বন্ধ থাকার কারণে মানুষ বাইবেলের অর্থ বুঝতে পারে না। তাদের আত্মিক চোখ খোলা উচিত এবং জল ও আত্মায় নূতন জন্ম লাভ করা উচিত 
( যোহন ৩:৫ )।
 তাই তারা মনে করে, যীশু একাই মানব জাতির পরিত্রাণের কাজ সাধন করেছেন। কিন্তু সত্য হল, যীশু ছিলেন ঈশ্বরের মেষশাবক এবং তাঁর যোহন বাপ্তাইজকের প্রয়োজন ছিল, যেন পূরাতন নিয়মে মহাযাজক হারোণ যেভাবে পাপার্থক বলির উপরে হস্তাৰ্পণ দ্বারা ইস্রায়েলদের পাপ অর্পণ করতেন, যোহনও তেমনি হস্তাপণ দ্বারা যীশুর উপরে জগতের সমস্ত পাপ অর্পন করেন। পাপার্থক বলি হত্যা করার মাধ্যমে হারোণ তাদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করতেন। তাই যীশুর পূর্বে তাঁর অগ্রদূতকে প্রেরণ করেছিলেন।
 
 
যোহন বাপ্তাইজক কে?
 
 মালাখি ৩:১-৩ পদে যে দূতের কথা বলা হয়েছে, তিনি যোহন বাপ্তাইজক। ঈশ্বরেরও যোহন বাপ্তাইজকের প্রয়োজন হয়েছিল, যিনি সমস্ত মানুষের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে জগতের চিরকালের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিলেন এবং নূতন নিয়মে পাপের মূল্যরূপে ক্রুশ বিদ্ধ হলেন। যেমনিভাবে পুরাতন নিয়মে মেষের উপরে নির্দিষ্ট সময়ের কৃত পাপ অর্পণ করা হত এবং তার পর মেষটিকে বলি দেওয়া হত। তাই, যীশু সকল মানুষকে চিরকালের পাপ থেকে উদ্ধার করলেন। 
 যীশুর জন্মের পূর্বে দুটো বিশেষ ঘটনা ঘটেছিল। একটা হল। কুমারী মরিয়মের গর্ভে যীশুকে ধারণ এবং অন্যটা হল, অবিয়ের গোষ্ঠীতে যোহন বাপ্তাইজকের জন্ম। স্বর্গীয় সংকল্পনুসারে এই ঘটনা দুটো ঘটেছিল। ঈশ্বর কর্তৃক লিখিত সত্যিকারের নাটক এই দুই ঘটনা। যীশুর জন্মের ছয় মাস পূর্বে ঈশ্বর যোহন বাপ্তাইজককে পাঠালেন এবং তার পরে আমাদেরকে সংঘাত এবং দুর্দশা থেকে মুক্ত করার জন্য একজাত পুত্রকে পাঠালেন। আপনি কি বুঝতে পারছেন? আসুন আর একটু গভীরভাবে দেখি। 
 আসুন, মথি ১১:৭-১৪ পদে, যেখানে যোহন বাপ্তিইজক সম্পর্কে বলা হয়েছে,সেই অংশ দেখি। “তাহারা চলিয়া যাইতেছে, এমন সময়ে যীশু লোকসমূহকে যোহনের বিষয়ে বলিতে লাগিলেন, তোমরা প্রান্তরে কি দেখিতে গিয়াছিলে? কি বায়ুকম্পিত নল? তবে কি দেখিতে গিয়াছিলে? কি কোমল বস্ত্র পরিহিত কোন ব্যক্তিকে? দেখ, যাহারা কোমল বস্ত্র পরিধান করে, তাহারা রাজবাটীতে থাকে। তবে কি জন্য গিয়াছিলে? কি এক জন ভাববাদীকে দেখিবার জন্য? হাঁ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ভাববাদী হইতেও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে। ইনি সেই ব্যক্তি, যাঁহার বিষয়ে লেখা আছে, “দেখ, আমি আপন দূতকে তোমার সম্মুখে প্রেরণ করি; সে তোমার অগ্রে তোমার পথ প্রস্তুত করিবে।” আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, স্ত্রীলোকের গর্ভজাত সকলের মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক হইতে মহান্‌ কেহই উৎপন্ন হয় নাই, তথাপি স্বর্গ-রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র যে ব্যক্তি, সে তাঁহা হইতে মহান্‌। আর যোহন বাপ্তাইজকের কাল হইতে এখন পর্য্যন্ত স্বর্গ-রাজ্য বলে আক্রান্ত হইতেছে, এবং আক্রমীরা সবলে তাহা অধিকার করিতেছে। কেননা সমস্ত ভাববাদী ও ব্যবস্থা যোহন পর্য্যন্ত ভাববাণী বলিয়াছে। আর তোমরা যদি গ্রহণ করিতে সম্মত হও, তবে জানিবে, যে এলিয়ের আগমন হইবে, তিনি এই ব্যক্তি”।
 যিনি প্রান্তরে ঘোষণা করেছিলেন “মন ফিরাও, কেননা স্বর্গ-রাজ্য সন্নিকট হইল।”(মথি ৩:২), সেই যোহন বাপ্তাইজককে দেখবার জন্য মানুষ প্রান্তরে গিয়েছিল। যীশু তাদের বলেছিলেন, “তাহারা চলিয়া যাইতেছে, এমন সময়ে যীশু লোকসমূহকে যোহনের বিষয়ে বলিতে লাগিলেন, তোমরা প্রান্তরে কি দেখিতে গিয়াছিলে? কি বায়ুকম্পিত নল? তবে কি দেখিতে গিয়াছিলে? কি কোমল বস্ত্র পরিহিত কোন ব্যক্তিকে? দেখ, যাহারা কোমল বস্ত্র পরিধান করে, তাহারা রাজবাটীতে থাকে। তবে কি জন্য গিয়াছিলে? কি এক জন ভাববাদিকে দেখিবার জন্য? হ্যাঁ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ভাববাদি হইতেও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে।” ( মথি ১১:৭-১০)।
 পুরাতন নিয়মে রাজারা ভাববাদিদের থেকে ক্ষমতাশালী ছিলেন না। রাজরা ভাববাদিদের কথা অনুসারে চলতেন। পুরাতন নিয়মে সমস্ত রাজা ও ভাববাদিদের থেকে কে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ছিলেন? যোহন বাপ্তাইজক। যীশু নিজেই সেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সমগ্র মানব জাতির প্রতিনিধি কে ছিলেন? যীশু ছাড়া রক্তমাংসের দেহধারী সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি কে ছিলেন ? যোহন বাপ্তাইজক। যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন সমস্ত মানব জাতির জন্য এই জগতের মহাযাজক। প্রভু নিজেই তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন এবং এই জগতে পাঠিয়েছিলেন তাঁর দায়িত্ব পালন করার জন্য।“কিন্তু কি দেখিতে গিয়াছিলে? কি বায়ু কম্পিত নল? তবে কি দেখিতে গিয়াছিলে? কি কোমল বক্স পরিহিত কোন ব্যক্তিকে? দেখ, যাহারা কোমল বস্ত্র পরিধান করে, তাহারা রাজবাটীতে থাকে। তবে কি জন্য গিয়াছিলে? কি একজন ভাববাদিকে দেখিবার জন্য? হ্যাঁ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ভাববাদি হইতেও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে। ইনি সেই ব্যক্তি, যাঁহার বিষয়ে লেখা আছে “দেখ, আমি আপন দূতকে তোমার সম্মুখে প্রেরণ করি; সে তোমার অগ্রে তোমার পথ প্রস্তুত করিবে”।
 যিশাইয় ভাববাণী করেছিলেন যে, যিরূশালেমের যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। আমরা দেখতে পাই, যোহন বাপ্তাইজকের এই কথার দ্বারা সেই ভাববাণী পূর্ণ হয়েছে, “পরে তিনি যীশুকে আপনার নিকটে আসিতে দেখিলেন, আর কহিলেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান” যোহন বাপ্তাইজক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, ঈশ্বরের পুত্র যীশু জগতের পাপভার তুলে নিয়ে যান। 
 অন্যদিকে, যীশু সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, যোহন বাপ্তাইজক যীশুর অগ্রে প্রেরিত দূত। মথি ১১:১১ পদে আছে, “আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, স্ত্রীলোকের গর্ভজাত সকলের মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক হইতে মহান্‌ কেহই উৎপন্ন হয় নাই, তথাপি স্বর্গ-রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র যে ব্যক্তি, সে তাহা হইতে মহান্‌।” স্ত্রীলোকের গর্ভজাত আর কোন ব্যক্তি কি পৃথিবীতে আছে যে যোহন বাপ্তাইজকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ? না। “স্ত্রীলোকের গর্ভজাত” বলতে কি বোঝানো হয়েছে? তার অর্থ “জগতের সমস্ত মানুষ।” “স্ত্রীলোকের গর্ভজাত সকলের মধ্যে মহান কেউই জন্ম লাভ করেনি” - কথাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, যোহন বাপ্তাইজক জগতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি। যেহেতু তিনি হারোণের বংশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাই তিনি মহাযাজকও ছিলেন। 
 
 
যোহন বাপ্তাইজক জগতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি ছিলেন
 
 আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, যোহন বাপ্তাইজক জগতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি ছিলেন এবং মহাযাজক হিসাবে তিনি যীশুর উপরে আমাদের সমস্ত পাপ অর্পণ করেছিলেন? তিনি জানতেন যে, হারোণ এবং তার বংশধরেরা যাজকত্ব করার জন্য পুরাতন নিয়মে চিরকালের জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন। 
 সমগ্র মানব জাতির প্রতিনিধি কে ছিলেন? যীশু ছাড়া, মাংসিক দেহধারী সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি কে ছিলেন? যোহন বাপ্তাইজক, যিনি যীশুকে বাপ্তাইজ করেছিলেন।“হ্যাঁ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ভাববাদি হইতেও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে। ইনি সেই ব্যক্তি, যাঁহার বিষয়ে লেখা আছে, “দেখ, আমি আপন দূতকে তোমার সম্মুখে প্রেরণ করি; সে তোমার অগ্রে তোমার পথ প্রস্তুত করিবে।” (মথি ১১:৯-১০)
 যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন,“পরে তিনি যীশুকে আপনার নিকটে আসিতে দেখিলেন, আর কহিলেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান,” তিনি যোহন বাপ্তাইজক। যোহন বাপ্তাইজক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, ঈশ্বরের পুত্র। যীশু জগতের পাপভার তুলে নিয়ে যান (যোহন ১:২৯)।
 যীশু বলেন, “আর যোহন বাপ্তাইজকের কাল হইতে এখন পর্য্যন্ত স্বর্গ-রাজ্য বলে আক্রান্ত হইতেছে, এবং আক্রমীরা সবলে তাহা অধিকার করিতেছে। কেননা সমস্ত ভাববাদী ও ব্যবস্থা যোহন পর্য্যন্ত ভাববাণী বলিয়াছে” (মথি ১১:১২-১৩)। এই অংশে দেখানো হয়েছে যে, যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়ে যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং সমস্ত মানুষের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। আরো বলা হচ্ছে যে, যোহন বাপ্তাইজক যীশুর উপর সমস্ত পাপ অর্পণ করেছেন। যীশু নিজেও তাই বললেন। তার অর্থ হল, যোহন বাপ্তাইজক যীশুর উপরে সমস্ত পাপ অর্পণ করলেন, এবং যে কেউ এ সত্যে বিশ্বাস করবে, সে পাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে। এটা কি ঠিক, না কি ভুল? ঈশ্বরের বাক্যানুসারে এটা যথার্থ এবং এভাবে আমরা প্রচারকেরা বাইবেলের সত্যকে মর্যাদার সাথে প্রচার করতে পারি। যে এ সত্যে বিশ্বাস করবে, সে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে।
 
 
পুরাতন নিয়মের মহাযাজক হিসাবে যোহন বাপ্তাইজক যীশুর উপরে জগতের সমস্ত পাপ অর্পণ করেন
 
 যোহন বাপ্তাইজকের পিতা সখরিয় স্বর্গ দূতের কথা শুনতে পেয়েছিলেন। পুত্র সম্বন্ধে সখরিয় যে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তা আলোচনা করা যাক। তার পিতার মুখের কথা কি একেবারে যথার্থ নয়? গীতসংহিতার গীতের মত করে তিনি তার সাক্ষ্য রচনা করেছেন। “তখন তাহার পিতা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন, এবং ভাববাণী বলিলেন; তিনি কহিলেন, ধন্য প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর; কেননা তিনি তত্ত্বাবধান করিয়াছেন, আপন প্রজাদের জন্য মুক্তি সাধন করিয়াছেন, আর আমাদের জন্য আপন দাস দায়ূদের কুলে পরিত্রাণের এক শৃঙ্গ উঠাইয়াছেন, যেমন তিনি পুরাকাল অবধি তাঁহার সেই পবিত্র ভাববাদিগণের মুখ দ্বারা বলিয়া আসিয়াছেন- আমাদের শত্রুগণ হইতে ও যাহারা আমাদিগকে দ্বেষ করে, তাহাদের সকলের হস্ত হইতে পরিত্রাণ করিয়াছেন। আমাদের পিতৃপুরুষগণের প্রতি কৃপা করিবার জন্য, আপন পবিত্র নিয়ম স্মরণ করিবার জন্য। এ সেই দিব্য, যাহা তিনি আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহামের কাছে শপথ করিয়াছিলেন, আমাদিগকে এই বর দিবার জন্য, যে আমরা শত্রুগণের হস্ত হইতে নিস্তার পাইয়া, নির্ভয়ে সাধুতায় ও ধার্ম্মিকতায় তাঁহার আরাধনা করিতে পারিব, তাঁহার সাক্ষাতে যাবজ্জীবন করিতে পারিব। আর, হে বালক, তুমি পরাৎপরের ভাববাদি বলিয়া আখ্যাত হইবে, কারণ তুমি প্রভুর সম্মুখে চলিবে, তাঁহার পথ প্রস্তুত করিবার জন্য; তাঁহার প্রজাদের পাপমোচনে তাহাদিগকে পরিত্রাণের জ্ঞান দিবার জন্য। ইহা আমাদের ঈশ্বরের সেই কৃপাযুক্ত স্নেহহেতু হইবে, যদ্দ্বারা ঊর্দ্ধ হইতে ঊষা আমাদের তত্ত্বাবধান করিবে, যাহারা অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়ায় বসিয়া আছে, তাহাদের উপরে দীপ্তি দিবার জন্য, আমাদের চরণ শান্তিপথে চালাইবার জন্য। পরে বালকটি বাড়িয়া উঠিতে এবং আত্মায় বলবান হইতে লাগিল; আর সে যতদিন ইস্রায়েলের নিকটে প্রকাশিত না হইল, তত দিন প্রান্তরে ছিল।”(লূক১:৬৭-৮০)।
 যোহন কেমন ভাববাদি এবং যাজক হবেন, তাঁর পিতা সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তিনি কি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আসুন, তা দেখি, “আর, হে বালক, তুমি পরাৎপরের ভাববাদি বলিয়া আখ্যাত হইবে, কারণ তুমি প্রভুর সম্মুখে চলিবে, তাঁহার পথ প্রস্তুত করিবার জন্য; তাঁহার প্রজাদের পাপমোচনে তাহাদিগকে পরিত্রাণের জ্ঞান দিবার জন্য। ইহা আমাদের ঈশ্বরের সেই কৃপাযুক্ত স্নেহহেতু হইবে যা যদ্দ্বারা ঊর্দ্ধ হইতে ঊষা আমাদের তত্ত্বাবধান করিবে, যাহারা অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়ায় বসিয়া আছে, তাহাদের উপরে দীপ্তি দিবার জন্য, আমাদের চরণ শান্তিপথে চালাইবার জন্য।”(লূক ১:৭৬-৭৯)।
 বাইবেল এখানে পরিষ্কারভাবে বলে, “তাঁহার প্রজাদের পাপ মোচনে তাহাদিগকে পরিত্রাণের জ্ঞান দিবার জন্য।” পরিত্রাণের জ্ঞান কে দেয়? লূক ১:৭৬ পদে যোহন বাপ্তাইজকের কথা বল হয়েছে। যোহন বাপ্তাইজক যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং যীশু তার কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, যা ছিল পাপ অর্পণের সর্বোত্তম পথ; তাই তাঁর মাধ্যমে আমরা যীশুকে জানতে পারি এবং তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি। যোহন বাপ্তাইজক বলেছেন “তিনি সাক্ষ্যের জন্য আসিয়াছিলেন, যেন সেই জ্যোতির বিষয়ে সাক্ষ্য দেন, যেন সকলে তাঁহার দ্বারা বিশ্বাস করে তিনি সেই জ্যোতি ছিলেন না, কিন্তু আসিলেন, যেন সেই জ্যোতির বিষয়ে সাক্ষ্য দেন ” ( যোহন ১:৭ - ৮ )।
 
 
আমাদেরকে অবশ্যই পরিত্রাণ পেতে হবে 
 
 যীশু সর্বোত্তম উপায়ে, অর্থাৎ যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে বাপ্তিস্ম নিয়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, এই সত্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেতে হবে। ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতা বলে যে, যীশু মানুষ বেশে, মাংসময় দেহে এই জগতে এসেছিলেন, যোহনের কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে সব চেয়ে ন্যায় এবং সর্বোত্তম উপায়ে পাপীদেরকে উদ্ধার করেছিলেন, ক্রুশীয় মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। জল ও আত্মার সুসমাচারে ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতা নিহিত রয়েছে। 
 সুসমাচারে ঈশ্বরের যে ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হয়েছে, তা শিক্ষা দেয় যে, যীশু মানুষরূপে এ জগতে এসে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশীয় মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছেন। যোহনের সাক্ষ্যের মাধ্যমে আমরা যীশু সম্পর্কে জানতে পারি এবং যীশুর ধার্ম্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণ পেতে পারি। যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে যীশুতে বিশ্বাস করার কারণে মানুষ পরিত্রাণ পেয়ে অনন্ত জীবন পেয়েছে। পবিত্র আত্মা, যিনি আমাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে সাক্ষ্য দেন, তাঁকে তারা অনুগ্রহের দান হিসাবে পেয়েছে।
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?