• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-25] ধুপবেদী হচ্ছে এমন একটা স্থান যেখানে ঈশ্বর তাঁর অনুগ্রহ প্রদান করেন (যাত্রাপুস্তক ৩০:১-১০)

ধুপবেদী হচ্ছে এমন একটা স্থান যেখানে ঈশ্বর তাঁর অনুগ্রহ প্রদান করেন
(যাত্রাপুস্তক ৩০:১-১০) 
“আর তুমি ধূপদাহ করিবার জন্য এক বেদি নির্ম্মাণ করিবে; শিটীম কাষ্ঠ দিয়া তাহা নির্ম্মাণ করিবে। তাহা এক হস্ত দীর্ঘ ও এক হস্ত প্রস্থ চতুষ্কোণ হইবে, এবং দুই হস্ত উচ্চ হইবে, তাহার শৃঙ্গ সকল তাহার সহিত অখণ্ড হইবে। আর তুমি সেই বেদি, তাহার পৃষ্ঠ ও চারি পার্শ্ব ও শৃঙ্গ নির্ম্মল স্বর্ণে মুড়িবে, এবং তাহার চারিদিকে স্বর্ণের নিকাল গড়িয়া দিবে। আর তাহার নিকালের নীচে দুই কোণের নিকটে স্বর্ণের দুই দুই কড়া গড়িয়া দিবে, দুই পার্শ্বে গড়িয়া দিবে; তাহা বেদি বহনার্থ বহন-দণ্ডের ঘর হইবে। আর ঐ বহন-দণ্ড শিটীম কাষ্ঠ দ্বারা প্রস্তুত করিয়া স্বর্ণ দিয়া মুড়িবে। আর সাক্ষ্য-সিন্দুকের নিকটস্থ তিরস্করিণীর অগ্রদিকে, সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরিস্থ পাপাবরণের সম্মুখে তাহা রাখিবে, সেই স্থানে আমি তোমার কাছে দেখা দিব। আর হারোণ তাহার উপরে সুগন্ধি ধূপ জ্বালাইবে; প্রতি প্রভাতে প্রদীপ পরিষ্কার করিবার সময়ে সে ঐ ধূপ জ্বালাইবে। আর সন্ধ্যাকালে প্রদীপ জ্বালাইবার সময়ে হারোণ ধূপ জ্বালাইবে, তাহাতে তোমাদের পুরুষানুক্রমে সদাপ্রভুর সম্মুখে নিয়ত ধূপদাহ হইবে। তোমরা তাহার উপরে ইতর ধূপ, কিম্বা হোমবলি, কিম্বা ভক্ষ্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করিও না ও তাহার উপরে পেয় নৈবেদ্য ঢালিও না। আর বৎসরের মধ্যে এক বার হারোণ তাহার শৃঙ্গের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে; তোমাদের পুরুষানুক্রমে বৎসরের মধ্যে এক বার প্রায়শ্চিত্তার্থক পাপবলির রক্ত দিয়া তাহার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে; এই বেদি সদাপ্রভুর উদ্দেশে অতি পবিত্র।”
 
আমরা যদি কখনও পবিত্র স্থান, ঈশ্বরের গৃহের ভেতরে ঢুকি, তবে আমরা প্রথমেই একটি দীপাধার, ধুপবেদী এবং দর্শনরুটির মেজ দেখতে পাব৷ দীপাধার এবং দর্শনরুটির মেজের পরে যেখানে অনুগ্রহ সিংহাসন ছিল, সেখানে পবিত্র স্থানে প্রবেশ দ্বারের সম্মুখে ধুপ জ্বালাবার বেদী রাখা হত৷ ধুপ বেদীটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয়েই এক হাত ছিল এবং এর উচ্চতা ছিল দুই হাত৷ আজকের পরিমাপ পদ্ধতিতে বাইবেলে উল্লেখিত এক হাত পরিমাপ হচ্ছে আনুমানিকভাবে ৪০-৪৫ সে.মি৷ যেহেতু তার চারিধার দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে ৫০ সে.মি এবং উচ্চতায় ১০০ সে.মি ছিল, তাই ধুপবেদী ছিল বর্গাকার৷ হোমবলি উত্সর্গের বেদির মত ধুপবেদীর উপরের চার কোনায় শিং ছিল৷ ধুপবেদী শিটীম কাঠ দিয়ে তৈরী থাকলেও, এটি সম্পূর্ণভাবে সোনা দিয়ে মোড়ানো ছিল৷ 
 
 
পবিত্র মন্দিরে অবস্থিত ধুপবেদীতে চারটি শিং ছিল
 
প্রত্যেক বছরে একবার প্রায়শ্চিত্তের দিনে মহাযাজক যখন বলি উত্সর্গ করতেন, তখন তাকে সেই প্রাণীর রক্ত জাতি ইস্রায়েল জাতির বাত্সরিক পাপ বহন করত, সেই সমাগম তাম্বুতে অবস্থিত হোমবলির বেদীর শিংগুলোকে ছিটিয়ে দিতে হত৷ যেহেতু, এই রক্ত ঈশ্বরের কাছে উত্সর্গ করা হত, এটি সমস্ত পাপ দূর করে দিত, যেই পাপ ইস্রায়েল জাতিকে ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল৷ যেহেতু, আমরা প্রত্যেকেই নুতন নিয়ম ও জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা পাপের ক্ষমা পেয়েছি, তাই ঈশ্বরের উপস্থিতিতে যখন আমরা প্রার্থনা করি, তখন সেই বিশ্বাস আমাদেরকে সমস্ত বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করতে সাহায্য করে৷ এই পৃথিবীতে বাস করার সময় ধার্মিকেরাও পাপ কাজ করে৷ যেহেতু, আমরা যীশুর বাপ্তিস্মে এবং পুরাতন নিয়মের উত্সর্গের নিয়মানুসারে তাঁর সেচিত রক্তে বিশ্বাস করি, তাই আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে আসতে পারি এবং সাহসিকতার সাথে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে পারি৷ 
এই জগতে কৃত পাপের কারণে ধার্মিকেরাও ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আসতে দ্বিধাবোধ করতে পারে৷ কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা তারা সাহসীভাবে ঈশ্বরের সম্মুখে আসে৷ যেহেতু, আমরা যীশু খ্রীষ্টের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তাই যদিও আমাদের দেহ মন দুর্বল থাকে, আমরা সাহসীভাবে ঈশ্বরের সম্মুখে আসতে পারি৷ তার কারণ, আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক বলে গণিত হয়েছি, এবং তাম্বুর দ্বারের নীল, লাল ও বেগুনি এবং সাদা মসীনা সুতার কাপড়ে প্রকাশিত সত্যের পরিত্রাণ দ্বারা ঈশ্বর আমাদেরকে চিরকালের জন্য ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছেন৷ অতএব, আমাদের সবসময় জল ও আত্মার সুসমাচারের ধ্যান করা উচিত৷ যোহন বাপ্তাইজকের কাছে গৃহীত বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে সেচিত রক্তের দ্বারা যীশু চিরকালের জন্য আমাদের সত্যিকারের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন, এবং যারা এই পরিত্রাণে বিশ্বাস করে, ও যারা করে না, তাদের মধ্যে বিশ্বাসের একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে৷ ধার্মিকেরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে৷ যার কারণে তারা কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারে, কারণ তারা বিশ্বাস করে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা এবং তাদের জন্য রক্ত সেচন করার মাধ্যমে তিনি তাদের সমস্ত পাপ চিরকালের জন্য তুলে নিয়েছেন৷ তাদের প্রত্যেকেই এটাও বিশ্বাস করে যে, যোহন বাপ্তাইজকের কাছে যীশু যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেটির দ্বারা তিনি তাদের সমস্ত পাপ বহন করেছেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্তসেচন করার মাধ্যমে তিনি তাদের পাপগুলোর জন্য নিন্দিত হয়েছেন৷ আর কেবলমাত্র এভাবেই ঈশ্বরের সম্মুখে একজন বিশ্বস্ত যাজক হতে পারে এবং নিজের ও অন্যদের জন্য প্রার্থনা করতে পারে৷ যীশু যে আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করেছেন, এটাতে বিশ্বাস করাই প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ানের বিশ্বাস, এবং এই বিশ্বাসের ভিত্তিই জল ও আত্মার সুসমাচার৷ 
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে, আমাদের প্রত্যেকেই তাম্বু-দ্বারের নীল, লাল ও বেগুনি মসীনার পর্দাতে প্রকাশিত পরিত্রাণের সত্য আবিস্কার করতে পারে৷ এবং এই সত্যের সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকেই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে৷ সুতরাং, আমি আপনাকে বলছি যে, যীশু খ্রীষ্টের ধার্মিকতাই আমাদের পরিত্রাণ, তিনি আপনার সমস্ত পাপ বহন করেছেন এবং তিনিই ক্রুশে আপনার পাপের জন্য নিন্দিত হয়েছেন৷ তাহলেই আপনি আপনার সমস্ত পাপ থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন৷ আর কেবলমাত্র ঈশ্বরের নিয়মের সুসমাচার, জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে বিশ্বাসের মাধ্যমেই আপনি পাপের ক্ষমা পেতে পারেন, একজন ধার্মিক বিশ্বাসী হতে পারেন, এবং সঠিক বিশ্বাস থাকার কারণে আপনি ঈশ্বরের অনুমোদন পেতে পারেন৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি যদি একবার পরিত্রাণ লাভ করেন, তাহলে আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে ঈশ্বরের কাছে তাঁর পরিত্রাণের কাজের জন্য প্রার্থনা করা, যেন সারা পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে পড়ে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসী ধার্মিকগণ ঈশ্বরের কাছে এভাবে প্রার্থনা করে যেন ঈশ্বরের মন্ডলীর দ্বারা তারা সুসমাচারের উজ্বল আলো জ্বালিয়ে ঈশ্বরের পবিত্র স্থানের সেই দীপাধারটি আলোকিত করতে পারে৷ ঈশ্বরের মন্ডলীর পরিচর্যাকে সমর্থন করার জন্য এবং সারা পৃথিবীতে সুসমাচারের পূর্ণ উত্কর্ষ বয়ে আনতে বিশ্বাসই হচ্ছে একমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস৷ তাঁর দাসদের দ্বারা প্রচারিত ঈশ্বরের মূল্যবান বাক্য শ্রবণ করে এবং এতে বিশ্বাস করে এই পৃথিবীর সবাই পাপের ক্ষমা পেতে পারে এবং বিশ্বাসে বেড়ে উঠতে পারে৷
আপনার ত্রাণকর্তা রূপে যীশুতে আপনার বিশ্বাসটা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে দৃঢ় হওয়া উচিত৷ আর সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা প্রাপ্ত একজন ধার্মিক বিশ্বাসী রূপে আপনার অবশ্যই ধুপবেদীর কাছে আসা উচিত এবং পবিত্র স্থানের অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে দাঁড়ানো উচিত৷ কিন্তু কেন এটি খুব প্রয়োজনীয়? কারণ, অবিরতই আপনার ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রয়োজন৷ ধুপবেদী এমন একটি স্থান যেখানে আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা উত্সর্গ করি, আর সেজন্যই এখানে ধুপবেদী বিশ্বাসীদের প্রার্থনাকে নির্দেশ করেছে (প্রকাশিত বাক্য ৫:৮)৷ যখনই আমরা ধুপবেদীর কাছে এসে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হই৷ পবিত্র স্থানে ধুপবেদী আমাদেরকে দেখায় যে, বিশ্বাস সহকারে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করাই হচ্ছে ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাওয়ার একমাত্র উপায়৷ সেজন্য, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসীরা, আমাদের প্রত্যেককে ধুপবেদীর কাছে অবিরত এসে বিশ্বাস সহকারে অবিরামভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত, যাতে আমরা প্রত্যেকটি সময়ে ঈশ্বরের অনুগ্রহ পেতে পারি৷
 
 

ধুপবেদী এমন একটি স্থান যেখানে আমরা ঈশ্বরের সাহায্যের জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করি

 
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে যদিও আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি, তবুও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আমাদের ঈশ্বরের সাহায্য প্রয়োজন৷ ঈশ্বরের মন্ডলীর সাথে আমাদেরকে একত্র করতে এবং জগতের আলো হিসাবে আত্মিক ফল বহন করতে, আমাদের জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহ সবসময় অপরিহার্য৷ সুতরাং, আমাদের প্রত্যেকের পক্ষে ঈশ্বরের কাছে অবিরত প্রার্থনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাঁকে আমাদের বলতে হবে, “ঈশ্বর আমাকে সাহায্য কর৷ আমাকে শক্তভাবে ধরে রাখ৷ আমাকে বিশ্বাসে পরিপূর্ণ কর৷ আমাকে দৈহিক ও আত্মিক উভয় দিক থেকেই সবল কর৷ আমার বিশ্বাসকে দৃঢ় কর, যেন তা কখনও ভেঙ্গে না যেতে পারে৷ জগতকে অনুসরণ করার সমস্ত হৃদয়ের ইচ্ছা আমার দূর করে দাও৷ আমার সমস্ত অধার্মিক ইচ্ছা দূর করে দাও৷” ঈশ্বর চান যেন আমরা ধার্মিকেরা ধুপবেদীর সম্মুখে আসি, এটির সামনে জানু পাতি এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করি, যেন আমরা সবকিছুতে তাঁর অনুগ্রহ পেতে পারি এবং দৈহিক ও আত্মিক উভয়ভাবে তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করতে পারি৷ কারণ ধুপবেদীতে প্রার্থনাশীল জীবনযাপন করার জন্য, এটি প্রত্যেক ধার্মিক বিশ্বাসীগণের পক্ষে অবশ্যই করনীয়, যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছেন৷
যদিও আমরা ধার্মিকেরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে পুনর্জন্ম গ্রহণ করেছি এবং আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি, তবুও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বরের অনুগ্রহ পেতে ঈশ্বরের কাছে আমাদের প্রার্থনা করা প্রয়োজন৷ কারণ, যদিও আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি, কিন্তু যদি আমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহে অবিরত বেষ্টিত না থাকি, তবে আমরা জীবনের দুর্গম পথে চলতে পারব না যা আমাদের প্রত্যেককে ঈশ্বর অনুসরণ করাতে চান৷ কারণ, ধার্মিকেরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, তখন তিনি তাদের উপরে অনুগ্রহের উপর অনুগ্রহ বর্তান৷ আর এটা তখনই সম্ভব, যখন আমরা ঈশ্বরের মন্ডলীতে বাস করি ও তাঁর বাক্য পালন করি৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, ধার্মিকেরা যখন ঈশ্বরের মন্ডলীর সাথে একত্রিত হয়ে তাঁর ভালো কাজ করেন, তখন তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ পান৷ যেমন উল্লেখ করা আছে, প্রধান যাজক বছরে একবার প্রাণী বলির রক্ত ধুপবেদীর শিংগুলোতে ছিটিয়ে দিতেন৷ এটি নির্দেশ করে যে, আমরা যখন ধার্মিকভাবে ঈশ্বরের সম্মুখে আসি, তখন তাঁর কাছে আমাদের বিশ্বাসের স্বীকারোক্তি করা উচিত এবং তাঁকে আমাদের বলতে হবে, “ঈশ্বর তুমি আমার ত্রাণকর্তা৷ তুমি তোমার স্বর্গীয় মহিমা ত্যাগ করে রক্ত মাংসের শরীরে এই পৃথিবীতে এসেছিলে; তুমি বাপ্তাইজিত হয়ে আমার সমস্ত পাপ বহন করেছিলে; তুমি আমার পরিবর্তে তোমার নিজের রক্ত সেচন করেছিলে এবং তুমি এসব করেছিলে শুধুমাত্র আমাকে রক্ষা করার জন্য৷” যখন আমাদের হৃদয়ে এই অটল বিশ্বাস থাকবে যে, যীশুই আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা, তখনই আমরা তাঁর প্রচুর আশীর্বাদ পাব৷ আমাদের জীবনের কার্যক্রমগুলো যত কঠিনই হোক না কেন, সেটা কোনো বিষয় নয়, কিন্তু এর পরেও যীশু খ্রীষ্ট আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা৷ তিনিই একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি আমাদেরকে সমস্ত পাপ এবং অপরাধ থেকে রক্ষা করেছেন৷ আর যখন আমরা এই অটল বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব, তখন তিনি আমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন৷
 
 

আমাদের প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা আমাদের পরিত্রাণ পুনরায় নূতনীকরণ করতে পারি

 
আমাদের প্রার্থনায় আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, ঈশ্বরই আমাদের নিজেদের প্রভু৷ আর এই বিশ্বাস এমন এক বিষয় যা আমাদের কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বয়ে আনে৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে আমরা নত হতে বাধ্য, কারণ আমরা সুস্পষ্টভাবে জেনেছি যে, ঈশ্বর অবশ্যই আমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস আমাদেরকে এই নিশ্চয়তা দেয় যে, আমরা যখন জল ও আত্মার সুসমাচা কাছে প্রার্থনা করি, ঈশ্বর অবশ্যই আমাদের প্রতিটি প্রার্থনার উত্তর দেবেন৷ ঈশ্বর ধার্মিকদের প্রতিটি প্রার্থনার উত্তর দেন এবং তাদেরকে আশীর্বাদ করেন৷ তাই, আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তখন প্রথমে আমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহগুলো এভাবে চিন্তা করা উচিত: “ঈশ্বর, আমি তোমার ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি৷ আমি জানি যে, আমার জীবন দোষ-ত্রুটিতে ভরা৷ যদিও আমার অনেক দোষ-ত্রুটি আছে, এরপরেও আমি তোমার ইচ্ছানুক্রমেই জীবনযাপন করতে চাই৷ কিন্তু, ঈশ্বর, আমি এটাও জানি যে, তুমি রক্ত-মাংসের শরীরে এই পৃথিবীতে এসেছিলে, যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে আমার সমস্ত পাপ বহন করেছিলে, তুমি ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলে এবং এভাবেই তুমি আমার ত্রাণকর্তা হয়েছ৷ তুমি আমার মসীহ এবং আমার পরিত্রাণের ঈশ্বর৷ তাই, আমি সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করি যে, তুমি আমার উপরে তোমার আশীর্বাদ বর্ষণ করবে, কারণ তুমিই আমার ঈশ্বর৷”
এভাবে, আমাদের উপরে তাঁর আত্মা বর্ষণ করার জন্য আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন প্রথমে আমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ সকল চিন্তা করা উচিত এবং আমাদের তাতে বিশ্বাস করা উচিত৷ এরপরেই ঈশ্বরকে আমাদের অভাবগুলোর কথা বলার সাহস অর্জন করতে পারি, এবং তখন ঈশ্বর আমাদেরকে বলবেন, “হ্যাঁ, তুমিই আমার প্রকৃত সন্তান৷ তোমার বিশ্বাস যেহেতু অটল, তাই আমি তোমার সত্যিকারের ঈশ্বর এবং প্রকৃতভাবে তুমি আমার লোকেদের একজন৷ সুতরাং, আমি সবসময় তোমার প্রার্থনার উত্তর দেব এবং তোমাকে আশীর্বাদ করব৷ আমি অনুগ্রহ সিংহাসনে তোমার সাথে সাক্ষাত করব৷ আমি তোমার প্রার্থনা থেকে বুঝতে পারি যে, আমার উপরে তোমার বিশ্বাস অটল, তুমি একমাত্র আমার উপরেই তোমার বিশ্বাস রেখেছ এবং তুমি তোমার সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস রেখেছ যে, আমিই তোমার ঈশ্বর৷ সুতরাং, আমি তোমার প্রার্থনার উত্তর দেব, যেন এই পৃথিবীর সমস্ত লোক জানতে পারে যে, আমিই তোমার সত্য ঈশ্বর৷”
এভাবে, আমরা যখন ঈশ্বরের পরিত্রাণের সত্যে বিশ্বাস করি, তখন ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহে বেষ্টিত ও তাঁর আশীর্বাদে পরিপূর্ণ করেন৷ আমরা যে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি, এখানেই পুরো গল্পের শেষ নয়; কিন্তু তার বিপরীতে, আমরা যদি প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেয়ে থাকি, তাহলে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আশীর্বাদসমূহ কেবল শুরু হতে যাচ্ছে৷ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন তাঁর আশীর্বাদে পূর্ণ হতে পারি৷ কেবলমাত্র এরপরেই আমরা ঐশ্বরিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হব৷ কারণ, আমাদের হৃদয়ে যদি দুশ্চিন্তার কোনো কিছু থাকে, তখন আমরা ঈশ্বরের কাছে এইভাবে প্রার্থনা করি, “ঈশ্বর, আমাদেরকে সাহায্য কর৷ তোমার মন্ডলীকে সাহায্য কর৷ এই মুহুর্তে তোমার মন্ডলীতে কাজ করার জন্য তোমার সাহায্যের প্রয়োজন৷” এমনকি জাগতিক বিষয়গুলিতেও আমাদের হৃদয়ে যদি কোনো দুঃশ্চিন্তা আসে, তখন ধুপবেদীর সম্মুখে আমাদের আসা এবং বিশ্বাস সহকারে অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে প্রার্থনা করা উচিত৷ তারপরেই আমরা দেখতে পাব যে, ঈশ্বর সর্ববিষয়ে আমাদেরকে আশীর্বাদ করেছেন৷
আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, ধুপবেদী এমন একটা স্থান যেখানে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে অনুগ্রহ পাই৷ আমাদের বিশ্বাসীদেরকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি সবসময় আমাদেরকে আশীর্বাদ করেন৷ অন্যদিকে, আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করি৷ এখন আমরা যে বিশ্বাসে রক্ষা পেয়েছি, আমরা যদি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার বাক্যে বিশ্বাস করি এবং তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে বাঁচতে চাই, তাহলে আমাদের প্রত্যেকেক অবিরতভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে হবে৷ তাই, ধুপবেদী আমাদের জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাওয়ার একটি স্থান৷
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার সময়ে আমরা সবচেয়ে বড় যে বাঁধাটির সম্মুখীন হই, তা হচ্ছে পাপ৷ এই পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে, সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে জীবনযাপন করে৷ তাই, আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে আসি এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করার চেষ্টা করি, তখন দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার সর্বপ্রথম উত্স হচ্ছে আমাদের পাপ৷ আর এজন্যই আবার পরিত্রাণের সত্যটি ধ্যান করা এবং আমাদের বিশ্বাসকে নুতনীকরণ করা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, ঈশ্বর তাঁর তাম্বু-দ্বারের নীল, লাল ও বেগুনি মসীনা বস্ত্রের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ দূর করেছেন৷ অন্যদিকে, আমাদেরকে অবশ্যই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা উচিত যে, যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং এই পৃথিবীতে আমাদের ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ বহন করেছিলেন এবং সেই পাপগুলির জন্য দন্ডিত হয়েছিলেন; আমরা যে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা পেয়েছি, এজন্য আমাদের ত্রাণকর্তা, ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত৷ কেবলমাত্র আমাদের হৃদয়ে যখন এই বিশ্বাসটা থাকবে, তখনই আমরা ঈশ্বরের কাছে তাঁর অনুগ্রহ এবং আশীর্বাদ চাইতে পারব৷ কেবলমাত্র তখনই আমাদেরকে আশীর্বাদ করার জন্য আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারব৷ আমাদেরকে এই শিক্ষা দেবার জন্য এবং ঈশ্বরের পরিত্রাণের কাজগুলিকে মনে করিয়ে দিতে প্রত্যেক বছরে একবার ধুপবেদীর শিংগুলিতে বলিকৃত প্রাণীর রক্ত ছিটিয়ে দেওয়া হত৷
 
 

যে ব্যক্তি তার সমস্ত পাপের ক্ষমা সম্পর্কে নিশ্চিত, সেই ঈশ্বরের কাছে সাহসীভাবে প্রার্থনা করতে পারে

 
আমরা যখন ঈশ্বরকে আমাদের পিতা বা ত্রাণকর্তা বলে তাঁর কাছে প্রার্থনা করি, তখন আমরা নির্দ্বিধায় তাঁর কাছে আমাদের অভাবগুলো খুলে বলতে পারি, কারণ তিনিই আমাদের প্রকৃত পিতা, আমাদের ঈশ্বর ও ত্রাণকর্তা৷ অন্যদিকে, আমরা বিভিন্ন নামে ঈশ্বরকে ডাকতে পারি এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে পারি, কারণ তিনি শুধুমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তাই নন, কিন্তু আমাদের ত্রাণকর্তাও৷
আমাদের প্রত্যেককে এভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত: “ঈশ্বর, আমাকে আমার সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করার জন্য তোমায় ধন্যবাদ৷ আমার প্রকৃতপক্ষেই তোমার সাহায্য ও আশীর্বাদ প্রয়োজন৷ সুতরাং, আমার চলার পথে প্রতিটি ধাপে আমার প্রতি দৃষ্টি রাখ এবং আমাকে সাহায্য কর৷ যখনই আমি কোনো ভালো কাজ করেছি, তখন আমি তার চেয়েও বেশি খারাপ কাজ করেছি, তাছাড়া আমার কিছু দুঃশ্চিন্তাও রয়েছে৷ ঈশ্বর, আমি তাদেরকে তোমাতে বিশ্বাস করাবো৷ আমাকে সাহায্য করতে এবং আমার পথনির্দেশনা দিতে আমি তোমাকে আহ্বান করছি৷ আমাকে হারিয়ে যাওয়া আত্মাদের কাছে যেতে চালনা দান কর, যেন আমি তাদের কাছে তোমার সুসমাচার প্রচার করতে পারি এবং তোমার জন্য আত্মিক ফল বহন করতে পারি৷ তাদের অন্তরকে উজ্জ্বীবিত কর এবং তাদের অন্তরের ক্ষত কর্ষণ কর, যেন আমি তাদের উপরে তোমার সুসমাচারের বীজ বুনতে পারি৷ তোমার মন্ডলীকে শক্তভাবে ধরে রাখতে এবং তোমার দাসদের উপরে লক্ষ্য রাখার জন্যও আমি তোমাকে আহ্বান করছি৷ তাদের সবাইকে আশীর্বাদ কর৷ যেন ফলপ্রসূভাবে তোমার জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারিত হতে পারে৷ তোমার এই সুসমাচার সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুক৷ তোমার দাসদের তোমার পরিচর্যা দরকার, এইজন্য তাদের উপরে দৃষ্টি রাখার জন্যও আমি তোমাকে আহ্বান করছি৷ ঈশ্বর, আমাকে এবং আমার পরিবারকে আশীর্বাদ কর৷ তোমার সন্তানদেরকে আশীর্বাদ কর৷ তোমার বিশ্বাসীদেরকেও আশীর্বাদ কর৷ খ্রীষ্টেতে আমার সহ ভাই-বোনদেরকেও আশীর্বাদ কর৷ প্রচুর পরিমানে তোমার আশীর্বাদ হোক, যেন তোমার মন্ডলীর বহির্ভুক্ত অবিশ্বাসীরাও রক্ষা পায়৷” আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ও তাঁকে আমাদের স্বপ্ন ও আশাগুলি জানাই, তিনি নিশ্চয় আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং আমাদেরকে আশীর্বাদ করেন৷ আর এভাবে প্রার্থনার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের প্রচুর আশীর্বাদ পেতে পারি এবং এইভাবে আমরা প্রতিদিন অনুগ্রহের উপর অনুগ্রহ পেতে পারি৷
ঈশ্বর তাদের প্রভু, যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে৷ তিনি সেই সকলের প্রভু যারা দৃঢ়ভাবে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে৷ যারা এইভাবে অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে বিশ্বাসের সাথে তাঁর অনুগ্রহ এবং আশীর্বাদ চায়, ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করতে কখনও অন্যথা করেন না, “ঈশ্বর আমি বিশ্বাস করি যে, তুমি আমার প্রভু৷ আমি বিশ্বাস করি যে, তুমি আমার ত্রাণকর্তা, ঈশ্বর, আমাকে সাহায্য কর৷”
আমার সহবিশ্বাসীগণ, আমি আসলে জোর দিয়ে বলতে পারি না যে, জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ উপলব্ধি করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এর জন্য আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে অবিরত প্রার্থনা করা উচিত৷ আপনি যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনার প্রার্থনার উত্তর না পেয়ে থাকেন, কিম্বা কিভাবে প্রার্থনা করতে হয়, সেটা যদি নাও জানেন, তাহলে আপনি ধাপে ধাপে আপনার বিশ্বাস যাচাই করুন এবং আপনার প্রকৃত ঈশ্বর কে, সেটা চিন্তা করুন৷ কারণ, ঈশ্বরের সাথে আপনার সম্পর্কের স্পষ্ট বোঝাপড়াটা নিতান্তই অপরিহার্য৷ অন্যদিকে, আপনাকে অবশ্যই ধরে নিতে হবে যে, আপনার বিশ্বাস সম্পূর্ণ নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, আপনাকে সর্বান্তঃকরণে উপলব্ধি এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বরই এই পৃথিবী এবং স্বর্গের সৃষ্টিকর্তা; তিনি আপনাকে রক্ষা করতে রক্ত মাংসের শরীরে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন; তিনি যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তাইজিত হয়ে আপনার সমস্ত পাপ বহন করেছিলেন, তিনি ক্রুশের উপরে আপনার পরিবর্তে দন্ডিত হয়েছিলেন; তিনি মৃত্যুকে জয় করে তিনদিন পরে আবার জীবিত হয়েছিলেন; এবং তিনি আপনার সত্য ত্রাণকর্তা হিসাবে এখনও জীবিত আছেন৷ এখন যেহেতু আপনি রক্ষা পেয়েছেন তাই ঈশ্বর আপনার মেষপালক এবং আপনি তাঁর মেষ হয়েছেন৷ আর এ নিয়ে আপনার কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে, আপনি যদি কখনও ঈশ্বরের কাছে তাঁর সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন, তাহলে তিনি প্রতিটা সময়ে আপনার প্রার্থনার উত্তর দেবেন৷
 
 
আমাদের দিবা রাত্রি প্রার্থনা করা উচিত
 
আমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাসে ঈশ্বরকে তাদের ত্রাণকর্তারূপে গ্রহণ করেছে, এবং দিনে রাতে ভক্তিভরে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, এই পৃথিবীতে সারা জীবন তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও আশীর্বাদ পাবে৷ কিন্তু তার বিপরীতে, আমাদের মধ্যে যারা ভক্তিভরে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে না, তাছাড়া তারা যদি অহংকারীভাবে চিন্তা করে যে, তারা যদি প্রার্থনা নাও করে, ঈশ্বর তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ দেবেন, কিম্বা তাদের যদি ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাসের ঘাটতি থাকে, তাহলে তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাবে না, কারণ তাদের বিশ্বাস থেকে ধুপবেদীটি হারিয়ে গেছে৷ আপনি যদি চিন্তা করেন যে, যেহেতু আপনি বিশ্বাস করেন যে, তিনি আপনার ঈশ্বর এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা না করতেই তিনি আপনাকে সবকিছু দেবেন, তাহলে আপনার বিশ্বাসে খুঁত রয়েছে, আর এটা যদি সত্যি হত, তাহলে পবিত্র স্থানে কোনো ধুপবেদী থাকত না৷ আপনি কি মনে করেন যে, বিরক্তিকর অবস্থার জন্য ঈশ্বর ধুপ জ্বালাবার বেদী তৈরী করেছেন? না, নিশ্চয় না! প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যাতে হারোণ মহাযাজক চার প্রকার ধুপ জ্বালাতেন৷ যেহেতু সব জায়গায় ধুপের গন্ধ ছড়িয়ে যেত, একপ্রকার সুমিষ্ট গন্ধ পবিত্র স্থানকে পূর্ণ করে রাখত৷ সত্যিকারভাবে এটি একটি আশ্চর্য্যজনক গন্ধ যেটা আপনাকে ঈশ্বরের সম্মুখে সাহসীভাবে আসতে সাহায্য করে৷ আর এই ধুপ ঈশ্বরের সম্মুখে আপনার দোষ-ত্রুটিগুলোকে ঢাকার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে৷ উদাহরণস্বরূপ, এটা নিশ্চিত করার জন্য যে, সাক্ষ্যসিন্দুকের উপরে অনুগ্রহ সিংহাসনকে ধুপের ধোঁয়া ঢেকে রাখবে, এজন্য প্রধান যাজককে প্রত্যেক বছরে একবার মন্দিরে ঢোকার আগে সেই পবিত্র স্থানকে ধূপে পরিপূর্ণ করতে হত, অন্যথায় তাঁকে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হতো (লেবীয়পুস্তক ১৬:১২-১৩)৷
আমার সহবিশ্বাসীগণ, আমরা যখন ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হই, তখন এই বিষয়ে আমাদের পূর্ণজ্ঞান থাকা উচিত যে, আমরা কেবলমাত্র পাপের ক্ষমা পেয়েছি, ঈশ্বরই আমাদের প্রভু এবং আমরা যখনই তাঁর কাছে প্রার্থনা করব, তিনি আমাদের উপরে অনুগ্রহ বর্ষণ করবেন৷ আমরা যখন এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আসি এবং সাহসীভাবে অনুগ্রহ সিংহাসনের সামনে দাঁড়াই, তখন আমরা কখনও কোনো অপরাধের সুম্মুখীন হব তা নয়, কিন্তু তিনি আমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন৷ আমাদের ঈশ্বর অনুগ্রহের ঈশ্বর, যাঁর প্রচুর অনুগ্রহ শুধুমাত্র আমাদেরকেই প্রদান করা হয়েছে৷ 
 
 
ধুপবেদীর সাথে সংযুক্ত কড়াগুলিও সোনার তৈরী ছিল
 
ঈশ্বরের পবিত্র স্থানের ধুপবেদীটি ছয়দিকে আয়তকার ছিল, দৈর্ঘ্যে, প্রস্থে প্রায় ৫০ সে.মি এবং উচ্চতায় ১০০ সে.মি এবং বেদীটির উভয়দিকে দু জোড়া করে সোনার কড়া লাগানো ছিল৷ এই সোনার কড়াগুলির ভেতর দিয়ে দুটি লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়া হত, এই লাঠি দুটো শিটীম কাঠের তৈরী এবং সোনা দিয়ে মোড়ানো ছিল৷ যদিও ধুপবেদীটি যথেষ্ট ছোট ছিল, তবুও সেটা বহন করতে দুজন লোকের প্রয়োজন হতো৷ যেহেতু এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাত্র ৫০ সে.মি এবং উচ্চতা খুব বেশি হলে ১০০ সে.মি ছিল, এবং এটি বহন করবার জন্য একজন লোকই যথেষ্ট ছিল, কিন্তু সমাগম তাম্বুর অন্যন্য আর সবগুলো পাত্রের মত এটার ক্ষেত্রেও সেই অনুমতি কখনও ছিল না৷ এর দ্বারা এই সত্য প্রকাশিত হয় যে, ধার্মিকেরা ঈশ্বরের নিকটে একচিত্ত হয়ে প্রার্থনা করবে, যীশু যেমন বলেছেন, “আবার আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, পৃথিবীতে তোমাদের দুই জন যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার স্বর্গস্থ পিতা কর্ত্তৃক তাহাদের জন্য তাহা করা যাইবে।” (মথি ১৮:১৯)৷
ধুপবেদীর খুঁটিগুলো আমাদের দেখায় যে, আমাদের নুতন জন্ম প্রাপ্তদেরকে প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরকে সেবা করা উচিত৷ আমাদের বিশ্বাসের প্রার্থনাগুলোতেও ঈশ্বরকে সেবা করার একটি উপায়৷ এখন, আমাদের সমস্ত পাপ থেকে যে আমরা নুতন জন্ম পেয়েছি, আমরা বিভিন্নভাবে ঈশ্বর এবং তাঁর মন্ডলীর সেবা করতে পারি, এটি প্রার্থনা বা আমাদের স্বেচ্ছাকৃত কাজের মাধ্যমেও হতে পারে৷ আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আমরা শুধুমাত্র তখন আমাদের নিজেদের জন্যই প্রার্থনা করব না; কিন্তু আমাদেরকে ঈশ্বরের কাজ, তাঁর মন্ডলী, এবং বিশ্বাসীদের জন্যেও প্রার্থনা করতে হবে এবং বিশেষ করে প্রার্থনা করতে হবে যেন সারা পৃথিবীতে যীশুর সুসমাচার ছড়িয়ে পড়ে৷ অন্যদিকে, আমাদের প্রার্থনাগুলো যে শুধুমাত্র আমাদেরকে ঈশ্বরের অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে দাঁড়াতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে সাহায্য করে, তাই নয়, কিন্তু এগুলো আমাদেরকে ঈশ্বরের ধার্মিকতার সেবা করতেও সক্ষম করে৷ একত্রিত হয়ে প্রার্থনা করার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যের সেবা করতে পারি৷ আমরা যখন আমাদের সহ-বিশ্বাসী ভাই-বোনেদের জন্য, মন্ডলীগুলোর জন্য, হারিয়ে যাওয়া আত্মাগুলোর জন্য, ঈশ্বরের রাজ্য বিস্তারের জন্য এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতার কাজগুলোর জন্য প্রার্থনা করি, তখন ঈশ্বরের সেবা করার জন্য আমরা এসব করি৷ যার কারণে, পবিত্র স্থানে ধুপ জ্বালাবার বেদীতে ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত যাজকদের ভুমিকা উপলব্ধি করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস সহকারে আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত৷ আমরা যেমন ঈশ্বর এবং তাঁর লোকদের সেবা করার জন্য তাঁর বাক্য প্রচার করি, তেমনিভাবে ঈশ্বর এবং তাঁর লোকদের সেবা করার জন্যই আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি৷ আমরা যেভাবে পারি, সেভাবে ঈশ্বরের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের আছে৷
আপনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি করতে হবে তা হল, আপনাকে ঈশ্বরীয় খ্রীষ্টিয়ান জীবনযাপন করতে হবে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা করতে হবে, যা ঈশ্বর ও তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস৷ আপনি যদি ঈশ্বরের ইচ্ছাকে গ্রহণ না করেন, তাহলে আপনি কখনও বিশ্বাসে ঈশ্বরীয় জীবনযাপন করতে পারবেন না৷ আমরা যে ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য প্রার্থনা করি এর গুরুত্ব যে আসলে কতটা, তা আমি আপনাকে জোর দিয়ে বলতে পারি না৷ বিশ্বাসীগণ যখন তাদের নিজেদের মন্ডলীতে একত্রিত হন, আমাদের ভাইবোনেদের থেকে শুরু করে এমনকি আমাদের সন্তানেরাও যখন সান্ডেস্কুলে যায়, তাদের সর্বপ্রথমে ঈশ্বরকে সেবা করা উচিত৷ ঈশ্বরের বাক্যের খাদ্য একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য, আমাদের প্রত্যেকের একত্র হওয়া প্রয়োজন৷ এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতাকেও আমাদের ভক্তি করা উচিত৷ আমাদের প্রার্থনাগুলো সুগন্ধির মত ঈশ্বরের কাছে পৌঁছায়, আমরা নুতন জন্ম প্রাপ্তেরা যখন একত্রিত হয়ে তাঁর কাছে এভাবে প্রার্থনা করি, “ঈশ্বর, তোমার মন্ডলী তোমার দাসদের এবং সারা পৃথিবীর মন্ডলীগুলোতে তোমার বিশ্বাসীগণকে তুমি ধরে রাখ এবং আশীর্বাদ কর৷ তাদের হৃদয় আত্মাকে আশীর্বাদযুক্ত বিশ্বাস দান কর৷ যে আত্মাগুলো এখনও হারিয়ে আছে, সেই আত্মাগুলোকে তুমি রক্ষা কর৷” প্রার্থনার এই সুগন্ধি গ্রহণ করার মাধ্যমে, ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং আমাদেরকে আশীর্বাদ করেন৷ আমরা প্রার্থনায় যে সমস্ত জিনিস চাই, তিনি সেগুলির উত্তর দেন৷ আর এটি প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরকে সেবা করাকে নির্দেশ করে, এবং আমি আপনাদের সকলকে এই পরামর্শ দিতে চাই যে, আমাদের চাওয়া পাওয়াগুলোর জন্য শুধুমাত্র প্রার্থনা না করে, আপনাদের প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাজগুলো ধ্যান করুন৷
মন্ডলীর প্রত্যেক বিশ্বাসীকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত, কোনো কারণে আপনি যদি অন্য সবার থেকে বেশী সময় দিতে পারেন কিম্বা আপনি যদি ক্লান্ত বা অসুস্থ থাকেন, তাহলে আপনাকে আরো বেশী করে ঈশ্বরের মন্ডলী, তাঁর দাস এবং তাঁর বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা করা উচিত৷ এটা বিশেষ করে পরিবারের স্ত্রীদের জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা এমন কোনো টাকার ঘাটতির কারণ নয় যে আমরা ঈশ্বরের সেবা করতে পারব না৷ কোনো টাকা ছাড়াই আপনি বেশী করে ঈশ্বরের সেবা করতে পারেন৷ আপনি যত বেশী করে চান, আপনার বিশ্বাস দিয়ে আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারের সেবা করতে পারেন৷ দুজন লোকের দ্বারা তাদের কাঁধে বহন করার জন্য ধুপবেদীর কড়াতে যেমন দুটি লাঠি ঢোকানো হত, সেভাবে ঈশ্বরের মন্ডলীর সাথে একেবারে দরিদ্ররাও তাদের বিশ্বাসে প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করতে পারে৷ ধনীরাও ঠিক একইভাবে তাদের সম্পত্তির দ্বারা ঈশ্বরের সেবা করতে পারে৷ কিন্তু আমাদের কখনও এরকম বলা উচিত নয় যে, “আমি আমার কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত যে ঈশ্বরের সেবা করার মত সময় ঠিক করতে পারছি না৷ আসলে আমার কোনো সময়ই নেই৷” প্রত্যেক ধার্মিক বিশ্বাসী বিশ্বাসে ঈশ্বর এবং তাঁর ইচ্ছাকে ভক্তি করতে পারে৷ সেটা হোক তার উত্সর্গ, প্রার্থনা কিম্বা সুসমাচার প্রচারের দ্বারা৷ আমাদের যদি তাঁকে সেবা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আমরা প্রত্যেকেই ঈশ্বরের ইচ্ছাকে ভক্তি করার জন্য আরো বেশী সময় ব্যায় করতে পারব৷ আমাদের যদি সেগুলোর জন্য অনুগ্রহ থাকে, তাহলে আমরা নুতন জন্ম প্রাপ্তেরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে পারি৷ 
 
 

আমরা যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে আশীর্বাদ করেন

 
ঈশ্বরই আমাদের মেষপালক৷ ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ট যে, কোনো কিছু এবং কেউই আমাদেরকে তাঁর কাছ থেকে পৃথক করতে পারে না৷
আসুন আমরা মথি ২৬:২৬-২৮ পদ দেখি, “পরে তাঁহারা ভোজন করিতেছেন, এমন সময়ে যীশু রুটী লইয়া আশীর্ব্বাদপূর্ব্বক ভাঙ্গিলেন, এবং শিষ্যদিগকে দিলেন, আর কহিলেন, লও, ভোজন কর, ইহা আমার শরীর। পরে তিনি পানপাত্র লইয়া ধন্যবাদপূর্ব্বক তাঁহাদিগকে দিয়া কহিলেন, তোমরা সকলে ইহা হইতে পান কর; কারণ ইহা আমার রক্ত, নূতন নিয়মের রক্ত, যাহা অনেকের জন্য, পাপমোচনের নিমিত্ত, পাতিত হয়”
“যীশু” নামের অর্থ ত্রাণকর্তা বা মসীহ, এবং আমরা এটা নির্দেশ করতে তাঁকে আমাদের প্রভু বলে ডাকি যে, তিনি আমাদের ঈশ্বর এবং কর্তা৷ প্রভু যীশু আমাদের প্রত্যেককে রক্ষা করতে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসাবে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন৷ ঈশ্বর স্বয়ং রক্ত মাংসের শরীরে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং ক্রুশে মরার কয়েক মুহূর্ত আগে যীশু শেষ নৈশভোজ প্রস্তুত করেছিলেন, তাঁর শিষ্যদেরকে একত্র করে তাদেরকে রুটি ও দ্রাক্ষারস দিয়েছিলেন, এবং তাদেরকে বলেছিলেন, “এই রুটি গ্রহণ কর এবং ভোজন কর; এটা আমার শরীর৷ এই পেয়ালা গ্রহণ কর এবং এর থেকে পান কর৷ এটা আমার নুতন নিয়মের রক্ত যা অনেকের পাপ ক্ষমার জন্য সেচিত হয়েছে৷” এর অর্থ হচ্ছে যে, তিনি এই পৃথিবীতে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসাবে এসে এবং পুরাতন নিয়মে যেভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে তাঁর প্রতিজ্ঞার বাক্য সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ করে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন৷ আমাদের ত্রাণকর্তা রূপে এই পৃথিবীতে এসে, যর্দন নদীতে যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু এই পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন৷ এরপরে ক্রুশের উপরে তিনি তাঁর দেহ তুলে দিয়েছেন, এবং এভাবে তিনি এই জগতের প্রত্যেকের পাপ বহন করেছেন৷ এবং মৃত্যু থেকে আবার জীবিত হয়ে তিনি আমাদেরকে নুতন জীবন দিয়েছেন৷
ধুপবেদীতে যে বলিকৃত প্রাণীর রক্ত ছেটানো হত, প্রকৃতপক্ষে তা যীশু খ্রীষ্টের দৈহিক মৃত্যুকে নির্দেশ করে৷ একইভাবে, তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ বহন করে, যীশু খ্রীষ্ট নিজেকে আমাদের জন্য উত্সর্গ করলেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন৷ এই আত্মত্যাগের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত যে, আমরা রক্ষা পেয়েছি৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসের কারণে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি৷ এটা কোনো অন্ধ বা ভ্রান্ত বিশ্বাস নয় যে, আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট নিজে আমাদের ত্রাণকর্তা হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে আমাদের জন্য তাঁর মূল্যবান রক্ত সেচন করেছেন বলেই আমরা রক্ষা পেয়েছি৷ 
ঈশ্বর এভাবে আমাদের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন, যা নীল, লাল ও বেগুনি মসীনা কাপড়ে এবং সমাগম তাম্বুর পর্দায় প্রকাশিত হয়েছে৷ এখানে বেগুনি রংটি এই অর্থ প্রকাশ করে যে, রাজাদের রাজা একজন সাধারণ মানুষের মত জীবনযাপন করেছিলেন৷ এটা আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয় যে, যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু আমাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছিলেন এবং আমাদের পরিবর্তে তাঁর রক্ত সেচন করে তিনি আমাদের সমস্ত পাপের বেতন পরিশোধ করেছিলেন৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস হচ্ছে প্রকৃত বিশ্বাস, যা আমাদেরকে পবিত্র ভোজে অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করে৷ যীশু যখন শেষ নৈশ্যভোজ প্রস্তুত করেছিলেন, তিনি শুধুমাত্র রুটিই প্রস্তুত করেন নি, কিন্তু দ্রাক্ষারসও প্রস্তুত করেছিলেন; এবং তিনি তাঁর শিষ্যদেরকে এর উভয়টিই ভোজন ও পান করতে বলেছিলেন৷ সেই রুটি টি যীশুর দেহকে নির্দেশ করে, এবং এটি এই অর্থ প্রকাশ করে যে, আমাদের মত পাপীদেরকে রক্ষা করতে যীশু নিজে এই পৃথিবীতে সাধারণ মানুষের বেশে এসেছিলেন৷ সেই রুটি এই অর্থও প্রকাশ করে যে, যর্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে তুলে নিয়েছেন৷ অন্যদিকে, সেই দ্রাক্ষারসটি পরিত্রাণ ও জীবনের প্রতি নির্দেশ করে যা যীশু ক্রুশে আমাদের পরিবর্তে সেচন করেছিলেন৷ 
যাহোক, আমরা যখন পবিত্র ভোজে অংশগ্রহণ করি, তখন আমাদের প্রত্যেকের এই দৃঢ় বিশ্বাস থাকা অপরিহার্য যে, যীশু আমাদেরকে রক্ষা করতে রক্ত মাংসের শরীরে নিজে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, তিনি বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে তুলে নিয়েছিলেন, তিনি আমাদের পরিবর্তে ক্রুশে দন্ডিত হয়েছিলেন, আর এভাবেই তিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন৷ কিন্তু, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, অধিকাংশ খ্রীষ্টিয়ানেরা এখনও প্রকৃত কারণ জানে না যে, যীশু খ্রীষ্ট পবিত্র ভোজের নিয়ম কেন চালু করেছিলেন এবং ফিরে না আসা পর্যন্ত এটি চালিয়ে যেতে কেন আমাদেরকে আদেশ করেছিলেন৷ আপনি আপনার বিশ্বাসের জীবনকে হালকাভাবে নিতে পারেন না৷ আপনি যদি এখনও নিশ্চিত হতে না পারেন যে, যীশু আপনার ত্রাণকর্তা, তাহলে পবিত্র ভোজে রুটি এবং দ্রাক্ষারস ভোজন করবার আগে আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে কঠোরভাবে চিন্তা করতে হবে৷ সবরকমের আবেগ-অনুভুতি ঝেড়ে ফেলে, যত্ন সহকারে চিন্তা করুন এবং গভীরভাবে নিজেকে প্রশ্ন করুন যে, এই ঈশ্বরই আপনার প্রকৃত ঈশ্বর কিনা৷
প্রভু ঈশ্বর আপনার ও আমার ঈশ্বর৷ তিনি আমার ও আপনার পূর্বপুরুষদের সৃষ্টি করেছেন৷ এবং এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করতে তিনি আমাদেরকে অনুমোদন দিয়েছেন৷ আর যীশু ছাড়া এই ঈশ্বর আর কেউই নন৷ এবং প্রভু যীশু আমাদের ত্রাণকর্তা হয়ে নিজে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন৷ আমাদেরকে রক্ষা করার জন্য আমাদের ত্রাণকর্তা হয়ে এই পৃথিবীতে এসে, তিনি বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে তুলে নিয়েছেন৷ তিনি আমাদের এই পাপগুলোর প্রত্যেকটি ক্রুশে তুলে নিয়েছেন, এগুলোর কোনটি থেকে নিজেকে মুক্তি দেন নি, এবং আমাদেরকে যেন কোনো পাপের জন্য শাস্তি পেতে না হয়, এজন্য তিনি ক্রুশীয় মৃত্যুদন্ড সহ্য করেছেন, যা শুধুমাত্র আসামীরা ভোগ করে থাকত৷ এভাবেই ঈশ্বর আমাদেরকে সমস্ত অপরাধ থেকে রক্ষা করেছেন৷ 
আপনি যদি এক মুহুর্তের জন্যও জল ও আত্মার সুসমাচারের বিষয়ে চিন্তা করেন, তাহলে আপনি সহজেই পরিত্রাণের সত্য বুঝতে পারবেন৷ জগতের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেতে হলে, আপনার হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করতে হবে৷ আমি বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বর তাঁর জল ও রক্তের মাধ্যমে আমার সমস্ত পাপ থেকে আমাকে রক্ষা করেছেন৷ এমন কোনো কিছুই নেই যা আমি আমার পরিত্রাণের জন্য করেছি৷ যীশু যখন এই পৃথিবীতে জন্মেছিলেন, তখন তিনি বৈথলেহেমের একটি ছোট্ট গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম না, তখন আমি কোনো গঠন বা আকৃতিও পাই নি, এমনকি আমাকে রক্ষা করার জন্য আমি তাঁকে বলিও নি৷ কিন্তু, আমার সংকল্পের নির্বিশেষেই তিনি রক্ত-মাংসের শরীরে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, আর এসব তিনি আমাকে রক্ষা করার জন্যই করেছিলেন৷ আমি এটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি যে, আমাকে রক্ষা করার জন্যই তিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন৷
পিতা ঈশ্বর এই জগতকে এত বেশী ভালোবেসেছেন যে, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিয়ে দিয়েছেন৷ প্রত্যেকটি প্রানীকে রক্ষা করার জন্য যীশু নিজে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন৷ তিনি আমাকে ও আপনাকে, আমাদের সমস্ত পাপ থেকে প্রকৃতভাবে রক্ষা করেছেন, এবং এভাবেই তিনি আমার ও আপনার ত্রাণকর্তা হয়েছেন৷ পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদেরকে যা করতে হবে, তা হচ্ছে যীশু খ্রীষ্ট যিনি স্বয়ং ঈশ্বর, তাঁকে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, এবং তিনি আমাদের জন্য পরিত্রাণের যেসব কাজ করেছেন, সেগুলো আমাদের অন্তরে গ্রহণ করতে হবে৷ যারা তাদের শক্তি সামর্থ্য সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দিয়েছেন, যারা নিজেদের প্রচেষ্টার ব্যর্থতা উপলব্ধি করে এটা ছেড়ে দিয়েছেন, এবং যারা সম্পূর্ণভাবে যীশুতে বিশ্বাস করে তাদের পাপের ক্ষমা পেয়েছে এবং পরিত্রাণ গ্রহণ করেছে, কেবলমাত্র সে সকল লোকেরাই ঈশ্বরের কাছ থেকে অনুগ্রহ পেতে পারে৷ যদিও আপনার চিন্তাভাবনায় এটি আপনার কাছে দুর্বোধ্য মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের প্রত্যেককে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর নিজে সঠিকভাবে আমাদের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন৷ ঈশ্বরের পরিত্রাণের কাজগুলোতে বিশ্বাস করা ছাড়া, আমাদের আর কোনো কিছুই করার নেই৷
 
 
নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করান
 
নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করানো আপনার জন্য অত্যাবশ্যক৷ আপনার জন্য ঈশ্বর যা করেছেন, সেগুলোর বিষয় চিন্তা করুন৷ ঈশ্বর নিজে একজন সাধারণ মানুষ হয়েছিলেন৷ আর ঈশ্বর এটা করেছিলেন শুধুমাত্র আপনাকে ও আমাকে রক্ষা করার জন্য৷ কিন্তু, যীশু যিনি স্বয়ং ঈশ্বর, আমাদের পাপগুলো বহন ও মুছে ফেলার জন্য তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন৷ তিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং আমাদের জন্য তাঁর মূল্যবান রক্ত সেচন করেছিলেন৷ আমাদের প্রত্যেকের পাপের মূল্য পরিশোধ করে, আমাদের অপরাধ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে, এবং আমাদের প্রাপ্য শাস্তি থেকে রক্ষা করতে, তিনি এভাবে আমাদের পরিবর্তে শাস্তি পেয়েছিলেন৷ আমাদের জন্য নুতন ও অনন্তজীবন ফিরিয়ে আনতে তিন দিনের দিনে তিনি মৃত্যু থেকে আবার জীবিত হয়ে উঠেছিলেন৷
কিন্তু তিনি এখন পিতা ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিন পাশে বসে আছেন, এবং, আমাদের প্রত্যেককে দেখছেন৷ তিনি এখন খুঁজে দেখছেন যে, কে তাঁর উপরে বিশ্বাস করার চেষ্টা করছে, এবং কে তাঁকে সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করে৷ যারা যীশুকে গ্রহণ করেছে, তারা তাদের সর্বস্ব যীশুতে অর্পণ করেছে৷ তারা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর সঠিকভাবে তাদেরকে রক্ষা করেছেন৷ তারা জানে যে, তাদের পরিত্রাণের জন্য তারা কোনো কিছুই করে নি৷ তারা নিশ্চিত যে, তাম্বু-দ্বারের নীল, লাল ও বেগুনি মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত পরিত্রাণের সত্যের দ্বারা তিনি যে তাদেরকে রক্ষা করেছেন, এটা শুধুমাত্র তাঁর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ৷ আর এই ধরনের লোকজন, যারা সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের উপরে নিজেদের বিশ্বাস স্থাপন করেছে, এবং তাদের হৃদয়ে ঈশ্বর এবং তাঁর বাক্যকে গ্রহণ করেছে, ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর সন্তান হবার অধিকার দিয়েছেন৷
তাই, আমি আপনাদের প্রত্যেককে বলি যে, পবিত্র ভোজে অংশগ্রহন করার পূর্বে পরিত্রাণের সত্য সম্পর্কে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত৷ আমাদের প্রত্যেকের পাপ বহন করার জন্য এবং সেগুলোর প্রায়শ্চিত্ত করতে যীশু জাগতিক মৃত্যুদন্ড ভোগ করেছিলেন৷ পাপ নিয়ে জন্মগ্রহণ করার ফলে যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, আমাদের পরিবর্তে তাঁর রক্তসেচন করেছিলেন, এবং আমাদেরকে পাপের শাস্তি থেকে মুক্ত করতে ও আমাদের নিস্কলঙ্ক তৈরী করতে, তিনি এভাবে শাস্তিভোগ করেছিলেন৷ 
পবিত্র স্থানে বাস করতে এবং প্রার্থনা করতে, তাঁর অনুগ্রহ দ্বারা আমাদেরকে বেষ্টন করার জন্য তিনি ধুপবেদীটি দিয়েছেন৷ আর এটি এমন একটি স্থান, যেখানে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদ পেতে পারি৷ তাই, আমি আপনাদের প্রত্যেককে সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের উপরে নিজেদের বিশ্বাস স্থাপন করার পরামর্শ দিচ্ছি৷ হাল্লিলুয়া!
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?