• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Tabernacle Study

পবিত্র স্থান

পবিত্র স্থান
 
তক্তা
 
পবিত্র স্থানের পাত্র
 
আবাস তাম্বু ১৩.৫ মিটার (৪৫ ফিট) দীর্ঘ এবং ৪.৫ মিটার (১৫ ফিট) প্রস্থ, এবং দুই কক্ষ পবিত্র ও মহা পবিত্র স্থানে বিভক্ত৷পবিত্র স্থানের ভেতরে দীপবৃক্ষ, দর্শনরুটির মেজ এবং ধুপবেদী ছিল, মহা পবিত্র স্থানে সাক্ষ্যসিন্ধুক ও অনুগ্রহের সিংহাসন স্থাপিত ছিল৷
পবিত্র ও মহা পবিত্র স্থান দ্বারা গঠিত আবাস তাম্বু, চারিদিকে প্রায় ৭০ সেমি (২.৩ ফিট) চওড়া এবং ৪.৫ মিটার (১৫ ফিট) লম্বা শিঠিম কাঠের তক্তা দিয়ে ঘেরা ছিল৷ এবং আবাসের দ্বারে, স্বর্ণ দ্বারা মোড়ানো ৫ টি শিঠিম কাঠের স্তম্ভ স্থাপিত ছিল৷ দরজাতেই, যেখান দিয়ে একজন ব্যক্তি বহিঃস্থ প্রাঙ্গন থেকে আবাসের ভেতরে প্রবেশ করত, সেটি  নীল,বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা সুতার বস্ত্রের দ্বারা নির্মিত পর্দা দ্বারা নির্মিত ছিল৷
আবাস তাম্বুর বাইরের প্রাঙ্গনে ষাটটি স্তম্ভ দাঁড় করানো ছিল, এগুলোর প্রতিটি ২.২৫ (৭.৪ ফিট) মিটার উঁচু ছিল৷ প্রাঙ্গনের ফটক যেটি এর পূর্ব দিকে অবস্থিত ছিল, সেটিও নীল,বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা সুতার বস্ত্রের ছিল, এবং কেবলমাত্র প্রাঙ্গনের বাহিরের ফটক দ্বার পার হয়ে একজনকে আবাস তাম্বুর ভিতরে দ্বারে প্রবেশ করতে হত৷ আবাস তাম্বুর প্রাঙ্গনে যজ্ঞবেদী এবং প্রক্ষালন কক্ষ ছিল৷
এই দুটো পার হবার পর, একজন আবাস তাম্বুর দ্বারে আসতে পারত যেটি ৪.৫ মিটার (১৫ ফিট) লম্বা ছিল৷ আবাস তাম্বুর এই দ্বারের পাঁচটি স্তম্ভ ছিল যেগুলি পিত্তলের চুঙ্গি দ্বারা নির্মিত ছিল৷ আবাস তাম্বুর ফটক দ্বারের পর্দার মত আবাস তাম্বুর দ্বারের পর্দাও নীল,বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা সুতার বস্ত্রের সুতা দ্বারা নির্মিত এবং ৫ টি স্তম্ভের উপরে স্বর্ণের আঁকড়া ছিল৷ পর্দাটি আবাস তাম্বুর  ভেতর ও বাইরের দিককে পৃথক করত৷  
৪৮ টি তক্তা দ্বারা নির্মিত আবাস তাম্বুতে ঈশ্বর বাস করতেন৷ দিনে মেঘস্তম্ভে ও রাতে অগ্নিস্তম্ভে ঈশ্বর তাঁর উপস্থিতি আবাসে প্রকাশ করতেন৷ মহা পবিত্র স্থানে ঈশ্বর নিজেই বাস করতেন, এবং ঈশ্বরের গৌরবে সে স্থান পরিপূর্ণ থাকত৷ পবিত্র স্থানের ভেতরে দর্শন রুটির মেজ, দীপবৃক্ষ এবং যজ্ঞের সুগন্ধি দ্রব্য থাকত৷ মহা পবিত্র স্থানে সাক্ষ্য সিন্ধুক ও অনুগ্রহ সিংহাসন ছিল৷এই স্থানগুলি সাধারণ ইস্রায়েলীয়দের জন্য নিষিদ্ধ ছিল৷ আবাস তাম্বুর নিয়মানুসারে শুধুমাত্র যাজকগণ ও মহাযাজক প্রবেশ করতে পারত৷
পবিত্র স্থানের ভিতরের সকল পাত্রগুলো স্বর্ণে নির্মিত ছিল৷ দীপবৃক্ষ, দর্শন রুটির মেজ স্বর্ণে নির্মিত ছিল৷যেহেতু পবিত্র স্থানের সমস্ত দ্রব্য এবং তিন দিকের বেষ্টনী খাঁটি সোনার তৈরী ছিল, তাই পবিত্র স্থানের ভিতরটা সব সময় উজ্বল সোনালী আভায় পরিপূর্ণ থাকত৷
পবিত্র স্থানের ভিতরের অংশের উজ্বল সোনালী আভা এই শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের পরিত্রাণ প্রাপ্ত সন্তানগণ মন্ডলীর ভিতরে বিশ্বাসে জীবনযাপন করবে৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসী, সেই সব সাধুরা পবিত্র স্থানের অভ্যন্তরের স্বর্ণ নির্মিত অংশটির মত৷ এই পবিত্র স্থানে বাসকারী অর্থাৎ মন্ডলীতে অবস্থানরত বিশ্বাসীদের জীবন আশীর্বাদ যুক্ত তারা সবসময় ঈশ্বরের বাক্যের পরিচর্যা, প্রার্থনা ও তাঁর প্রশংসায় রত থাকে, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে অনুগ্রহের বস্ত্রে আবৃত হয়ে উপস্থিত হয়৷ পবিত্র স্থানের অভ্যন্তরে এটাই বিশ্বাসের জীবন৷ আপনি অবশ্যই এই সত্য হৃদয়ে ধারণ করেন যে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক গণিত হয়েছে, তারাই কেবল পবিত্র স্থানের বিশ্বাসের মূল্যবান জীবনযাপন করতে পারে৷
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?